চট্টগ্রামের পরীর পাহাড়ে ভবন নির্মাণের জন্য কেটে ফেলা গাছের গোড়াগুলো মাটি থেকে অপসারণ করছে চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। এদিকে কেটে ফেলা গাছের গোড়া মাটি থেকে অপসারণ করার মাধ্যমে সরকারের সম্পত্তি বিনষ্ট ও আলামত ধ্বংস করার অপপ্রয়াস বলে মনে করছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন।
সোমবার (৭ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে গাছের গোড়াগুলো মাটি থেকে তোলা হয় বলে জানা গেছে। এর আগে শনিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) কোর্ট হিলে অবৈধভাবে গাছ কাটার অভিযোগে ৪ জনকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে জেলা প্রশাসন কর্তৃপক্ষ বলছে, প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন উপেক্ষা করে পরীর পাহাড়ে ১নং খাস খতিয়ানভুক্ত সরকারি জায়গায় স্থাপনা নির্মাণের জন্য গত ৩১ জানুয়ারি একুশে ভবন নামক একটি স্থাপনা নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেছে আইনজীবী সমিতি।
৫ ফেব্রুয়ারি জেলা আইনিজীবী সমিতি হিলটপ রেস্টুরেন্টের সামনে কিছু জায়গা ঘিরে ১৫-২০ জন শ্রমিক নিয়োগ করে বাউন্ডারি নির্মাণ করে এবং তার আড়ালে প্রায় ১০০ বছর পুরনো গাছ কেটে ফেলে। আজকে (সোমবার) সকাল থেকে কর্তনকৃত গাছের গোড়া অপসারণ শুরু করে।
এ ব্যাপারে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মমিনুর রহমান বলেন- ‘প্রধানমন্ত্রী পরীর পাহাড়ে আর কোনো স্থাপনা যেন না হয় সে বিষয়ে আইন ও বিচার বিভাগকে, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় এবং ভূমি মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দিয়েছেন।
গত ১৩ সেপ্টেম্বর মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ এ বিষয়ে চিঠি দিয়েছে সংশ্লিষ্ট বিভাগ ও মন্ত্রণালয়গুলোকে। মন্ত্রণালয়গুলো আমাদের যেরকম নির্দেশনা দেবে সেভাবে কাজ করব।’
তিনি বলেন- ‘পরীর পাহাড়ে চট্টগ্রাম আদালত ভবন এলাকায় থাকা অবৈধ স্থাপনা অপসারণেরও নির্দেশনা দেয়া হয়। এই পরীর পাহাড়ের ১ নং খাস খতিয়ানভুক্ত জমির উপর পরিবেশ বিনষ্টকরণমূলক সকল ধরনের কার্যক্রমের বিষয়ে ইতোমধ্যে স্ব স্ব মন্ত্রণালয়কে জানানো হয়েছে। উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষ হতে নির্দেশনা পাওয়া মাত্র প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরএম/কেএস