অনিয়মের কারণে চট্টগ্রামের তিন ডায়াগনস্টিক ও মেটারনিটি সেন্টারকে বন্ধ করার নির্দেশ দিয়েছে চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন অফিস।
প্রতিষ্ঠানগুলো হলো কদমতলী মিডপয়েন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড মেটারনিটি সেন্টার, আগ্রাবাদ বড়পুল কোয়েস্ট মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং একই এলাকার হাইটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টার।
রোববার (২৯ মে) সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী সরেজমিন পরিদর্শন করে প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধের নির্দেশ দেন।
জানা গেছে, হাসপাতালের লাইসেন্সসহ কোনো কাগজপত্র না পাওয়া, পরিবেশের ছাড়পত্র না থাকা, অপরিষ্কার-অপরিচ্ছন্ন পরিবেশসহ বিভিন্ন অভিযোগে প্রতিষ্ঠান তিনটি বন্ধ করা হয়েছে।
ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ‘রোববার সকাল ১১টা ৪৫ মিনিটে নাজিরপুল পাঠানটুলির মিডপয়েন্ট ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান পরিচালনা করা হয়। এ সময় কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেনি তারা। বিকালে কাগজপত্র দেখালে খুলে দেওয়া হয়। কিন্তু মিডপয়েন্ট মেটারনিটির অপারেশন টেবিল মানসম্মত না, লেবার রুম অপরিচ্ছন্ন। একজন গর্ভবতীর নিরাপদ প্রসবের জন্য এটি উপযুক্ত নয়। নার্সরা কোয়ালিফাইড ও ডিপ্লোমাধারীও না। হাসপাতালের অন্যান্য কক্ষগুলোও অপরিচ্ছন্ন। আর কয়েকজন চিকিৎসক বিএমডিসির কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। তাদের নিয়োগপত্র পাওয়া যায়নি। তাই মেটারনিটি সেন্টার বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।’
এরপর দুপুর ১টা ১০মিনিটে অভিযান চালানো হয় আগ্রাবাদ বড়পুলের হাইটেক ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। এটির বিষয়ে সিভিল সার্জন বলেন, ‘এটি কোনো ল্যাবের পর্যায়ে পড়ে না। কোনো মূল্য তালিকা পাওয়া যায়নি তাদের। ম্যানেজার বা দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তি উপস্থিত ছিলেন না। এক্সরে রুমে কোনো লিড সিট পাওয়া যায়নি। এমটি ল্যাব (টেকনোলোজিস্ট) পাওয়া যায়নি। এমটির (রেডিওলজিস্ট) উপস্থিতও পাওয়া যায়নি।’
ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর সমস্যা নিরসনের জন্য নির্দেশনা এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত প্যাথলজির কার্যক্রম বন্ধ রাখতে বলা হয়েছে।
কোয়েস্ট মেডিকেল সার্ভিস অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে অভিযান চালানো হয় দুপুর দেড়টায়। এই প্রতিষ্ঠানের নিবন্ধনের কোনো আবেদন নেই। কোনো মূল্য তালিকাও পাওয়া যায়নি তাদের। ম্যানেজার বা দায়িত্বশীল কোনো ব্যক্তির উপস্থিত পাওয়া যায়নি। এক্সরে রুমে কোনো লিড সিট পাওয়া যায়নি। এমটি ল্যাব (টেকনোলোজিস্ট) ও এমটি (রেডিওলজিস্ট) উপস্থিত ছিলেন না। প্রতিষ্ঠানের কক্ষগুলো অপরিচ্ছন্ন। সমস্যাগুলো সমাধান না করা পর্যন্ত এটি বন্ধ থাকবে বলে জানান সিভিল সার্জন।
ডায়াগনস্টিক সেন্টারগুলোর বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াছ চৌধুরী।
আইএমই/ডিজে





