অর্থ আত্মসাৎ মামলায় গ্রেপ্তার হয়েছেন চট্টগ্রাম নগর ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ও কোতোয়ালী থানা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি মো. সাইফুল আলম। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নিয়ে তিনি ঢাকা পালিয়ে যান। সেখান থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
মো. সাইফুল আলম (৪০) চট্টগ্রামের কোতোয়ালীর নন্দনকানন এলাকার খাইরুল আলমের ছেলে। ওই এলাকায় গ্লাসের ব্যবসা করতে তিনি। ঢাকায় গিয়ে তিনি রামপুরার নিবরাস মাদ্রাসায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসেবে চাকরি করতেন।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) দুপুর ১২টায় সাইফুলকে রামপুরার বনশ্রী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
থানা সূত্রে জানা গেছে, কোতোয়ালী থানা ছাত্রশিবিরের সাবেক সভাপতি ছিলেন মো.সাইফুল আলম। পরে তিনি চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রশিবিরের প্রচার সম্পাদক ছিলেন। নন্দনকানন এলাকায় গ্লাসের ব্যবসা করার সময় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও লোকজনের কাছ থেকে কোটি টাকা ঋণ নেন তিনি। টাকা পরিশোধ করতে না পেরে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় পালিয়ে যান। ঢাকায় রামপুরার নিবরাস মাদ্রাসায় প্রশাসনিক কর্মকর্তা হিসাবে কর্মরত ছিলেন তিনি।
সাইফুলের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা রয়েছে। যার ৬টি সাজা ও ৫টিতে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এদিকে ঢাকা থেকে অর্থ আত্মসাৎ মামলায় আরও এক ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তার ব্যবসায়ীর নাম মো. আনোয়ার হোসেন (৪৫)। তিনি এনএটিই গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি)। চট্টগ্রামে ব্যবসা করার সময় বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় কোটি টাকা মেরে ঢাকায় আত্মগোপনে ছিলেন তিনি।
মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) সকাল ১০টায় ঢাকার পল্টন এলাকা থেকে মো. আনোয়ার হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আনোয়ার হোসেন ফেনীর সদর থানা এলাকার লতিফ ব্যাপারীর বাড়ির মৃত আফজলের রহমানের ছেলে।
থানা সূত্রে জানা গেছে, নগরীর আন্দরকিল্লায় আনোয়ার হোসেনের বইয়ের দোকান ছিল। পাশাপাশি তিনি বিভিন্ন বইয়ের প্রকাশনার কাজ করতেন। প্রকাশনার কাজ করার সময় বিভিন্ন ব্যবসায়ীদের থেকে প্রায় দেড় কোটি টাকা আত্মসাৎ করেন। পরে তার বিরুদ্ধে মামলা হলে তিনি চট্টগ্রাম থেকে পালিয়ে ঢাকায় আত্মগোপন করেন। তিনি পুরান পল্টন লেনের এনএটিই গ্রুপের এমডি হিসেবে দায়িত্ব পালন করছিলেন।
আনোয়ার হোসেনের বিরুদ্ধে ৬টি মামলায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা রয়েছে।
এই বিষয়ে কোতোয়ালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাহিদুল কবির বলেন, ‘দীর্ঘদিন পালিয়ে থাকা চট্টগ্রাম নগরের এক শিবির নেতা ও এনএটিই কোম্পানির এমডিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা দু’জনই সাজাপ্রাপ্ত আসামি। কোটি টাকা আত্মসাৎ করে আত্মগোপনে ছিলেন তারা। তাদের দু’জনের বিরুদ্ধে ১৭টি মামলা রয়েছে।’
আরএ/ডিজে