‘আইনজীবীরা সবাই চট্টগ্রামের মানুষ। আমিও চট্টগ্রামের ছেলে। কেউ এখানে মঙ্গলগ্রহ থেকে আসেনি। এ মুহূর্তে এ বিষয়ে আমি কোনো সিদ্ধান্ত জানাতে পারবো না। তবে সকলের মঙ্গলের জন্য যা করা দরকার, তাই করা হবে। শুধু তাই নয়, পুরো বিষয়টি দেখছে সরকার।’
শনিবার (২৫ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের পরীর পাহাড় (কোর্ট হিল) পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস।
এর আগে সকালে চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার কার্যালয় ও জেলা প্রশাসকের কার্যালয় পরিদর্শন করেন তিনি। সেখানে চট্টগ্রামে কর্মরত বিসিএস (প্রশাসন) কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় করেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব।
মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস বলেন, ‘চট্টগ্রামের কোর্ট হিল নিয়ে বিভিন্ন দপ্তর কাজ করছে। সরকার পুরো বিষয়টি দেখছে। এখনো পর্যন্ত আমাকে বিষয়টি নিয়ে কোনো দায়িত্ব দেওয়া হয়নি। তাই এ ব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। আইনজীবীদের জন্য যেটা করলে উপকার হবে, সেটিই করবে সরকার।’
কোর্ট হিলে অবৈধ স্থাপনা বিষয়ে জানতে চাইলে মূখ্য সচিব বলেন, ‘আইনজীবীরা মঙ্গলগ্রহ থেকে আসে নাই। সবাই চট্টগ্রামের। আমিও চট্টগ্রামের ছেলে। চট্টগ্রামের মানুষের মঙ্গল হয়, যেটার দ্বারা উপকার হয় সেটিই করবে সরকার।’
আইনজীবীদের প্রস্তাবিত দুটি নতুন ভবন বিষয়ে তিনি বলেন, ‘আমি এ বিষয়ে কিছুই বলবো না।’
তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘একসময় কোর্ট বিল্ডিংয়ের একপাশ দিয়ে উঠে আরেক পাশ দিয়ে বের হতাম। এখন কি সেটা সম্ভব?’
গত বৃহস্পতিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) তিন দিনের সফরে ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম আসেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব ড. আহমদ কায়কাউস। ওইদিন তিনি চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ের বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিল্প নগরসহ বিভিন্ন উন্নয়ন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন। পরদিন শুক্রবার চট্টগ্রাম বন্দরের বে-টার্মিনাল পরিদর্শন, কাট্টলীর মুক্তিযুদ্ধ স্মৃতিসৌধ ও জাদুঘরের জন্য প্রস্তাবিত ভূমি এবং মুসলিম ইনস্টিটিউট সাংস্কৃতিক কমপ্লেক্সের নির্মাণ কাজ পরিদর্শন করেন।
মুআ/এমএফও