চট্টগ্রামে কলেজছাত্র খুনের মামলায় হাসিনা-কাদের-হাছান মাহমুদসহ ২৫৬ জন

একঝাঁক ক্যাডারসহ তালিকায় ১৭ কাউন্সিলর, ১৯ জন চকরিয়া-পেকুয়ার

চট্টগ্রামে ছাত্র-জনতার গণআন্দোলন চলাকালে গুলিতে কলেজছাত্র নিহত হওয়ার ঘটনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান মাহমুদ ও আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ মোট ২৫৬ জনকে আসামি করে মামলা হয়েছে। এর মধ্যে ১০৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এর বাইরে অজ্ঞাতনামা আরও ১৫০ জন সন্ত্রাসীকে আসামি করা হয়েছে।

রোববার (১৮ আগস্ট) রাতে নিহত কলেজছাত্র ওয়াসিম আকরামের মা জোসনা বেগম বাদী হয়ে চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ থানায় মামলাটি দায়ের করেন। ওয়াসিম চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র ছিলেন। তার বাড়ি কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার দক্ষিণ মেহেরনামা এলাকায়।

এজাহারে উল্লেখ করা হয়, গত ১৬ জুলাই ছাত্র-জনতার গণআন্দোলনে বাদী জোসনা বেগমের ছেলে ওয়াসিম আকরাম চট্টগ্রাম নগরীর মুরাদপুর এলাকায় কর্মসূচিতে অংশ নেন। মামলার আসামিদের নির্দেশে ও নেতৃত্বে আন্দোলনকারীদের তার ওপর হামলা করা হয়। এ সময় অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে আন্দোলনকারীদের ওপর গুলি চালায়। সেই গুলিতে ওয়াসিম আকরাম নিহত হন।

এর আগে শনিবার (১৭ আগস্ট) কোটা সংস্কার আন্দোলনে গলিতে নিহত তানভির সিদ্দিকীর চাচা বাদী হয়ে নগরীর চান্দগাঁও থানায় অপর একটি হত্যামামলা দায়ের করেন। সেখানেও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ৮০ জনকে আসামি করা হয়।

গুরুত্বপূর্ণ আসামি যারা

আসামি তালিকার শীর্ষে আরও রয়েছেন— সাবেক শিক্ষামন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল, চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন, বর্তমান মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী ও সংসদ সদস্য মহিউদ্দিন বাচ্চু।

তালিকায় এবার ১৭ কাউন্সিলর

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন জামালখান ওয়ার্ডের শৈবাল দাশ সুমন, রামপুর ওয়ার্ডের আবদুস সবুর লিটন, ৪ নম্বর ওয়ার্ড চান্দগাঁওয়ের এসরারুল হক এসরারুল, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোবারক আলী, পূর্ব বাকলিয়া ১৮ নম্বর ওয়ার্ডের হারুন অর রশীদ, ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মোরশেদুল আলম, ১৬ নম্বর চকবাজার ওয়ার্ডের নুর মোস্তফা টিনু, ৩২ নম্বর আন্দরকিল্লা ওয়ার্ডের চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আশরাফুল আলম, ১৫ নম্বর বাগমনিরাম ওয়ার্ডের গিয়াস উদ্দিন, আন্দরকিল্লার ৩২ নম্বর ওয়ার্ড জহরলাল হাজারী, ৩৩ নম্বর ফিরিঙ্গীবাজার ওয়ার্ডের হাসান মুরাদ বিপ্লব, দক্ষিণ হালিশহর ৩৯ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল হক সুমন, পাথরঘাটা ৩৪ নম্বর ওয়ার্ডের পুলক খাস্তগীর, ১৯ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ নুরুল আলম মিয়া, ১৩ নম্বর ওয়ার্ডের মোহাম্মদ ওয়াসিম, ৩১ নম্বর ওয়ার্ডের আবদুস সালাম মাসুম।

নেতা যারা আসামি

বহিষ্কৃত যুবলীগ নেতা হেলাল আকবর চৌধুরী বাবর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীর, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি এনএইচ মিন্টু, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি দেবাশীষ নাথ দেবু ও সাধারণ সম্পাদক আজিজুল হক আজিজ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ চান্দগাঁও থানার সাধারণ সম্পাদক মো. জাবেদ, চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি জয়নাল উদ্দিন জাহেদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের সভাপতি নুর নবী সাহেদ, চান্দগাঁও থানা ছাত্রলীগের শহীদুল ইসলাম, মোহরা ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সাগর দাস, চকবাজার ছাত্রলীগের সভাপতি জাহেদ হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক জিএম তৌসিফ, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড চকবাজার ছাত্রলীগের সাদ্দাম হোসেন ইভান, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের যুগ্ম সম্পাদক ও পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান দিদারুল আলম, চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ১ নম্বর যুগ্ম সম্পাদক মোহাম্মদ সাইফুদ্দীন, পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সভাপতি জিহান আলী খান, শুলকবহর ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সম্পাদক জসিম উদ্দীন, চট্টগ্রাম কলেজ ছাত্রলীগের সভাপতি মাহামুদুল করিম ও সাধারণ সম্পাদক সুভাষ মল্লিক সবুজ, চট্টগ্রাম মহানগর চান্দগাঁও থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সভাপতি মহিউদ্দিন ফরহাদ, চট্টগ্রাম সরকারি সিটি কলেজের ভিপি মো. তাহসিন, ১৬ নম্বর ওয়ার্ড চকবাজার ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান রাসেল, লালখান বাজার ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক দিদারুল আলম মাসুম, স্বেচ্ছাসেবক লীগের সোহেল।

পরিচয় যাদের ক্যাডার

হামজারবাগভিত্তিক যুবলীগ ক্যাডার মো. ফিরোজ, বায়েজিদ বোস্তামী ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মো. ইসমাইল, আন্দরকিল্লা ময়নামতি গলির মো. দেলোয়ার, গোয়ালপাড়ার মোহন ঘোষ ও ভূবন ঘোষ, চান্দগাঁও বাড়ইপাড়ার মো. আলী, এনায়েত বাজারের আরহাম খান, জামালখানের ইসমাইল উদ্দিন লিটন, এনায়েত বাজারের মো. মোরশেদ, শাহ আমানত হাউজিং সোসাইটির দৌলত খান, কালামিয়া বাজারের এনামুল হক মানিক, চান্দগাঁও জয়লিপাড়ার নুর মোহাম্মদ, মেডিকেল প্রবর্তক মোড়ের নেজাম উদ্দিন, কাপ্তাইয়ের আমজাদ হোসেন, মেয়র গলি কসমোপলিটনের ইরফানুল আলম তুষার, চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগ নেতা ইব্রাহিম খলিল, যুবলীগ ক্যাডার মহিউদ্দিন ও মো. জাফর, ৪ নম্বর লেন হালিশহরের মো. আলী সাহেদ, কালামিয়া বাজারের মহিম আজব, শান্তিনগর, মমিন কলোনীর মো. ইলিয়াছ সরকার, বহদ্দারহাট বাড়ইপাড়ার মো. আলী ও মো. ইসহাক, গোলপাহাড়ের যুবলীগ ক্যাডার মো. মাসুম, শাহ আমানত মাজার গেইটের মহিউদ্দীন শাহ, হাটহাজারীর আবছার উদ্দীন, পাঁচলাইশ মোহাম্মদপুরের আজিজ খান ববি, মোহাম্মদপুরের মামনুর রশিদ মামুন, ৭ নম্বর ওয়ার্ডের যুবলীগ ক্যাডার তোসাদ্দেক চৌধুরী তপু, হাটহাজারী বড়ুয়া পাড়ার মুড়া সোহেল বড়ুয়া, রাঙ্গুনিয়া লালানগরের জসিম উদ্দীন তালুকদার, শুলকবহর ওয়ার্ডের যুবলীগ ক্যাডার শাহাদাত হোসেন রুবেল, চান্দগাঁওয়ের যুবলীগ ক্যাডার মো. জালাল প্রকাশ ড্রিল জালাল ও মো. ফরিদ, চান্দগাঁওয়ের যুবলীগ ক্যাডার এইচএম মিটু, মো. জাফর, ও মো. ফিরোজ, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের ক্যাডার মো. দেলোয়ার, কসমোপলিটন মেয়র গলির ইরফানুল আলম তুষার।

নগরের ঘটনায় চকরিয়া-পেকুয়ার ১৯ জন

চকরিয়া-পেকুয়ার সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম প্রকাশ বাইট্টা জাফর, পেকুয়া মগনামার সাবেক চেয়ারম্যান শরাফত উল্লাহ চৌধুরী ওয়াসিম, চকরিয়া কোনাখালীর মোহাম্মদ রাশেদ, চকরিয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড মগনামাপাড়ার আব্দুল্লাহ আল আকিন, চকরিয়া টৈটং ইউনিয়নের জাহেদুল ইসলাম, পেকুয়া উজানটিয়ার তোফাজ্জল করিম, রাজাখালী ইউনিয়নের নজরুল ইসলাম, পেকুয়া মগনামার কাজী আফসার চৌধুরী লিটন, বারবাকিয়ার মো. বারেক, পেকুয়া ৫ নম্বর ওয়ার্ড মাতব্বর বাড়ির জাহাঙ্গীর আলম ও আজিম উদ্দিন, চকরিয়া ৬ নম্বর ওয়ার্ডের জিয়াউল করিম, চকরিয়া বরইতলীর নজরুল ইসলাম, মনকিরচরের বদিউল আলম, কোনাখালীর দিদারুল ইসলাম, চিরিঙ্গার জামাল উদ্দিন চৌধুরী, ডুলাহাজারার হাসানুল ইসলাম আদর, সাহারবিলের নবী হোসেন প্রকাশ নইব্বা চোরা, পেকুয়া মৌলভী পাড়ার আবুল কাশেম।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm