চট্টগ্রামে জিপিএ-৫ পেয়ে শীর্ষে কলেজিয়েট, দ্বিতীয় অবস্থানে ডা. খাস্তগীর স্কুল

চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে এবারের এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় বোর্ড সেরা হয়েছে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল। দ্বিতীয় অবস্থানে আছে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে সরকারি মুসলিম হাই স্কুল।

এবার চট্টগ্রাম সরকারি কলেজিয়েট স্কুলে মোট পরীক্ষার্থী সংখ্যা ছিল ৪৭২ জন। মোট জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪১০ জন। মোট পাস করেছে ৪৭১ জন। অকৃতকার্য হয়েছে ১ জন। সে হিসেবে পাশের হার ৯৯ দশমিক ৮ শতাংশ৷

অন্যদিকে ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ে মোট পরীক্ষার্থী ৪৭৩ জনের মধ্যে জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩৭৩ জন। মোট পাস করেছে ৪৬৮ জন। অকৃতকার্য শিক্ষার্থীর সংখ্যা ৫ জন। পাশের হার ৯৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

২০২২ সালের তুলনায় এবার ২০২৩ সালে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে পাশের হার ও মোট জিপিএ–৫ কমেছে। এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মোট জিপিএ–৫ পেয়েছে ১১ হাজার ৪৫০ জন যা গতবছর ছিল ১৮ হাজার ৬৬৪ জন।

এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে মোট পাশের হার ৭৮ দশমিক ২৯ শতাংশ, যা গেল বছর ছিল ৮৭ দশমিক ৫৩ শতাংশ।

এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডে ছাত্রের পাশের হার ৭৭ দশমিক ৭৫ শতাংশ। ছাত্রীর পাশের হার ৭৮ দশমিক ৭২ শতাংশ। এবার বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পাশ করেছে ৯৩ দশমিক ৮৪ শতাংশ৷

Yakub Group

মানবিক বিভাগ থেকে পাশ করেছে পাশ করেছে ৬৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগের মোট পাশের হার ৮২ দশমিক ৬ শতাংশ।

এবার চট্টগ্রামে শতভাগ পাস করেছে ৪৫টি বিদ্যালয়ের পরীক্ষার্থী।

এ বছর চট্টগ্রাম শিক্ষাবোর্ডের অধীনে ১ লাখ ৫৪ হাজার ৮১৯ জন পরীক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নেয়। ১ হাজার ১০৭টি প্রতিষ্ঠানের জন্য কেন্দ্র ছিল ২১৬টি। পরীক্ষার্থীর মধ্যে ছাত্র ৬৮ হাজার ২৭০ জন ও ছাত্রী ৮৬ হাজার ৪৯৯ জন। তিন বিভাগেই পরীক্ষার্থীর সংখ্যা বেড়েছে।

এ বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে অংশ নিয়েছে ৩৪ হাজার ৩২ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ৫৩৩ জন ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে ৬১ হাজার ২০৪ জন পরীক্ষার্থী।

গত বছর বিজ্ঞান বিভাগ থেকে পরীক্ষায় বসেছিল ৩০ হাজার ৩৭১ জন, মানবিক থেকে ৫৯ হাজার ১৩৭ ও ব্যবসায় শিক্ষা বিভাগ থেকে পরীক্ষা দেয় ৬০ হাজার ২০৪ জন।

এবার নগরসহ চট্টগ্রাম জেলায় পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ১ লাখ ৬ হাজার ৮৮৫ জন। কক্সবাজার জেলায় পরীক্ষার্থী ছিল ২৪ হাজার ৩৩০ জন, রাঙামাটি জেলা থেকে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে ৮ হাজার ৭৪২ জন, খাগড়াছড়ি থেকে ৯ হাজার ৮৬৬ জন, বান্দরবান থেকে ৪ হাজার ৯৪৫ জন।

এ প্রসঙ্গে শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক নারায়ণ চন্দ্র নাথ সাংবাদিকদের বলেন, গত বছরের সাথে তুলনা করলে এবার চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে ৫ বছরের পরিসংখ্যানে চট্টগ্রাম শিক্ষা বোর্ডের এবারের ফলাফল সন্তোষজনক বলা যায়।

শিক্ষার্থীদের খারাপ ফলাফল প্রসঙ্গে নারায়ণ চন্দ্র নাথ বলেন, করোনার পর এবার পূর্ণাঙ্গ সিলেবাসে এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যা আগে সংক্ষিপ্ত সিলেবাস অনুষ্ঠিত হতো। তাই শিক্ষার্থীদের ফলাফল কিছুটা খারাপ হয়েছে। তবে শুধু চট্টগ্রাম বোর্ড নয় সব শিক্ষা বোর্ডের ফলাফল চিত্র এমন দেখা গেছে৷

এ প্রসঙ্গে চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুল প্রধান শিক্ষকমুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমাদের বিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের ফলাফল সন্তোষজনক। আমাদের একজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে। সেও ভালো ছাত্র। সে হয়তো পুন:নিরীক্ষণের মাধ্যমে পাস হয়ে আসবে আশা করছি।

ডা. খাস্তগীর সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা সাহেদা আক্তার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, আমাদের বিদ্যালয়ে বরাবরের মতোই মেয়েরা ভালো ফলাফল করেছে। পাঁচজন শিক্ষার্থী অকৃতকার্য হয়েছে তারা সবাই গণিত, ইংরেজিতে খারাপ করেছে। আমাদের পাশের হার ৯৮ দশমিক ৯৪ শতাংশ।

এমএফও/এমএহক

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!