চট্টগ্রামের চান্দগাঁওয়ে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যা মামলায় আরেক আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। ভিডিও ফুটেজের মাধ্যমে শনাক্তের পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলি করার আগে ব্যবসায়ী অবস্থান সম্পর্কে তথ্য দেন ওই আসামি।
গ্রেপ্তার আসামির নাম মোহাম্মদ এমরান (১৯)। তিনি ওই এলাকায় ফ্রিজ ও এসি মেরামতের দোকানের কর্মচারী।
শনিবার (২৭ অক্টোবর) দিবাগত রাত ৩টায় চান্দঁগাও থানার শমসের পাড়া এলাকা থেকে মোহাম্মদ এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এনিয়ে মামলায় তিনজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তবে ঘটনার মূলহোতা সাজ্জাদ এখনও পলাতক রয়েছে বলে জানায় পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২১ সেপ্টেম্বর বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে নগরীর চান্দগাঁও থানার শমসের পাড়া এলাকার জাগরণী সংঘ ক্লাব পাশে চায়ের দোকানে বসে ছিলেন ইট-বালু ব্যবসায়ী তাহসিন। এ সময় একটি মাইক্রোবাসে করে দলবল নিয়ে কয়েক রাউন্ড গুলি চালান শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদ ও তার দলবল। এতে ঘটনাস্থলে মৃত্যু হয় তাহসিনের।
পরে এ ঘটনায় সাজ্জাদসহ পাঁচজনকে আসামি করে চান্দগাঁও থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন নিহতের বাবা মো. মুছা। মামলার পরপরই পুলিশের বিশেষ টিম শুক্রবার সকালে রাউজানের জলিল নগর বাসস্টেশন এলাকা থেকে হত্যার ঘটনায় সরাসরি জড়িত মো. হেলালকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যমতে, হাটহাজারী ও রাউজান উপজেলা থেকে ইলিয়াছ হোসেন অপুকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
জানা গেছে, তাহসিনের অবস্থানের তথ্য দিয়ে সাহায্যকারী করেন এমরান। সিসিটিভি ফুটেজ দেখা গেছে, যে মাইক্রোবাসে করে ঘাতকরা এসেছিল, সেই মাইক্রোবাসের পাশে গিয়ে এমরানকে কথা বলছিলেন। পুলিশ জিজ্ঞাসাবাদে জানতে পারে, তাহসীনের অবস্থানের তথ্য খুনিদের দিয়ে সহযোগিতা করেন এমরান।
উপ-পুলিশ কমিশনার (উত্তর) ফয়সাল আহম্মেদ জানান, চাঁন্দগাও থানা এলাকায় তাহসিন নামে ব্যবসায়ীকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় তথ্য দিয়ে সাহায্যকারী মো. এমরানকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনার মূলহোতা সাজ্জাদসহ অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তার হয়নি। তাদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
আরএ/ডিজে