s alam cement
আক্রান্ত
৯৫০৪৪
সুস্থ
৬১৫০২
মৃত্যু
১১২৮

চট্টগ্রাম বন্দর ২৩ কোটি টাকা বিল দিয়ে দিল টাগবোট না পেয়েই, তদন্তের নির্দেশ হাইকোর্টের

0

চট্টগ্রাম বন্দরে টাগবোট (সাহায্যকারী জলযান) না পেয়েই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধের ঘটনা তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। দুর্নীতি দমন কমিশনকে (দুদক) বিষয়টি অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে হাইকোর্টে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।

এছাড়া তদন্তে দুদককে সহযোগিতা করার জন্য চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আদালত পরবর্তী শুনানির জন্য ২৪ অক্টোবর দিন ধার্য করেছেন।

বৃহস্পতিবার (১৯ আগস্ট) বিচারপতি মো. নজরুল ইসলাম তালুকদার ও বিচারপতি এস এম মজিবুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বপ্রণোদিত হয়ে এ আদেশ দেন।

‘টাগবোট না পেয়েই ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ’ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত সংবাদ নজরে নিয়ে হাইকোর্ট এ নির্দেশ দিলেন।

প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষ টাগবোট (সাহায্যকারী জলযান) কিনতে ৩৭ কোটি ৭৫ লাখ টাকায় চুক্তি করেছিল একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে। চুক্তি অনুযায়ী ২০১৮ সালের ২২ ডিসেম্বরের মধ্যে টাগবোটটি বন্দর কর্তৃপক্ষকে সরবরাহের কথা ছিল। কিন্তু কয়েক দফায় সময় বাড়িয়েও তা সরবরাহ করতে পারেনি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান নিউ ওয়েস্টার্ন মেরিন শিপ বিল্ডার্স লিমিটেড। এমন পরিস্থিতিতে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় থেকে ঠিকাদারের সঙ্গে চুক্তি বাতিলের নির্দেশনা দেওয়া হয়। কিন্তু ওই নির্দেশনা পালন না করে উল্টো টাগবোটের দেখা না পেলেও বন্দর কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে চার ধাপে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে ২৩ কোটি ৮ লাখ ৮৩ হাজার ৩৪৩ টাকা বিল দিয়েছে।’

আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. খুরশিদ আলম খান, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এ কে এম আমিন উদ্দিন মানিক, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল আন্না খানম কলি ও মো. সাইফুর রহমান।

Din Mohammed Convention Hall

অ্যাটর্নি জেনারেল একেএম আমিন উদ্দিন মানিক জানান, বৃহস্পতিবার দৈনিক দেশ রূপান্তর পত্রিকায় ‘টাগবোট না পেয়েই ২৩ কোটি টাকা বিল পরিশোধ’ শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদ হাইকোর্টের নজরে এলে আদালত স্বপ্রণোদিত হয়ে দুদককে অনুসন্ধান করে দুই মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলেছেন।

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm