চট্টগ্রামের চান্দগাঁও থানার বহদ্দারহাটের পূর্ব ষোলশহরের আঁছি শাহ মাজার এলাকায় একটি ভবন ঘেরাও করে অভিযান চালিয়েছে চান্দগাঁও থানা পুলিশ। মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত পূর্ব ষোলশহর আঁছি শাহ মাজার সংলগ্ন মোহাম্মদ আলীর বিল্ডিংয়ে এ অভিযান চলে।
এ সময় পতিতা, জুয়াড়ি, মাদকদ্রব্য ও দেশীয় অস্ত্রসহ ১১জনকে গ্রেফতার করে হয়।
গ্রেফতারকৃতরা হলেন, মোহাম্মদ সরওয়ার সওদাগর, মাহমুদুল হক, জাহাঙ্গীর আলম, বোরহান উদ্দিন, ওমর ফারুক, দিদারুল আলম, জমিস উদ্দিন, জাহিদুল ইসলাম, রিমা আকতার, ছেনোয়ারা বেগম ও মোহাম্মদ নেজাম।
পুলিশ জানায়, ভবনটির নীচ তলার ডান পাশের ফ্ল্যাটে চলছিল জুয়ার আখড়া। বিক্রি হত মাদকদ্রব্যও। আর বাম পাশের ফ্ল্যাটে ছিল পতিতালয়। অভিযোগ ছিল, অসহায় নারীকে চাকরির প্রলোভনে এনে সেখানে আটকে রেখে পতিতাবৃত্তিতে বাধ্য করা হত।
ভবনটি স্থানীয় সন্ত্রাসী ফ্রুট সোহেল ও জসিমের আখড়া হিসেবে পরিচিত ছিল এলাকায়। তাদের হয়ে কামরুল হাসান ও রুবেল প্রকাশ পাঙ্গাস এ আখড়া পরিচালনা করতেন। একই চক্রের নিয়ন্ত্রণে একই আখড়া গড়ে উঠেছে পুকুরপাড় এলাকার এসকে আবাসিক হোটেলেও।
এদিকে পতিতা, জুয়াড়ি, মাদকদ্রব্য আস্তানায় রাতে পুলিশের অভিযানের পর এলাকাবাসী আনন্দ মিছিল করেন।
চান্দগাঁও থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘অনেকদিন থেকেই এখানে পতিতা, জুয়াড়ি, মাদকদ্রব্যের আখড়া চলছি। এলাকাবাসীর সহযোগিতায় আমরা রাত ১২টার দিকে অভিযান চালিয়ে ১১ জনকে গ্রেফতার করি। আরো ৪ জন পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও জানান, কামরুল হাসানকে প্রধান আসামী করে পতিতা, জুয়াড়ি, মাদকদ্রব্য উদ্ধারের ঘটনায় তিনটি মামলা করা হয়েছে।
আরএ/এমএফও