ঢাকায় বসে থাকা একজনের কলকাঠিতে চট্টগ্রামের সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় রক্ত ঝরছে বলে অভিযোগ করেছেন চট্টগ্রাম-১৫ আসনের আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভী। আবারও যদি কোনো ভোটার কিংবা নৌকার সমর্থকদের রক্ত ঝরানো হয় তাহলে ঢাকায় বসে বসে যিনি এসব করছেন তার মুখোশ উন্মোচন করা হবে বলেও হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন তিনি।
শুক্রবার (২২ ডিসেম্বর) বিকেলে সাতকানিয়ার কেওচিয়ার একটি রেস্টুরেন্টে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকার প্রার্থী নদভীর নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগে হামলা এবং বিভিন্ন অপকর্মের অভিযোগ তুলে এ সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন তার স্ত্রী ও মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য রিজিয়া রেজা চৌধুরী।
এতে উপস্থিত ছিলেন দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের আইনবিষয়ক সম্পাদক এডভোকেট মির্জা কছির উদ্দিন, প্রচার সম্পাদক নুরুল আবছার চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম ফারুক ডলার, জেলা পরিষদের সাবেক সদস্য ও দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ নেতা মো. জসিম উদ্দিন, লোহাগাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া মোহাম্মদ ফারুক ও বিজ্ঞান-প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক আজিজুর রহমান, উপ-দপ্তর সম্পাদক এমএস মামুনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা।
সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় নির্বাচনী প্রচারণাকালে নৌকার প্রার্থী নদভীর সমর্থকদের ওপর দফায় দফায় হামলার অভিযোগ এনে সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘একের পর এক হামলার ঘটনা ঘটিয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের লোকজন আতংক ছড়িয়ে দিচ্ছে, যেন ভোটাররা কেন্দ্রে না যায়। তারা দখলদারি মনোভাব পোষণ করে পেছনের দরজা দিয়ে ভোটের পরিবেশ বিনষ্টের কূটকৌশল করছে। আমরা স্পষ্ট করেই বলতে চাই, ঢাকায় বসে থাকা একজনের কলকাঠিতে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ায় রক্ত ঝরছে। যদি আবারও যদি কোনো ভোটার কিংবা নৌকার সমর্থকদের রক্ত ঝরানো হয়, তাহলে ঢাকায় বসে বসে যিনি এসব করছেন তার মুখোশ উন্মোচন করা হবে। পাশাপাশি সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগণ এই সন্ত্রাসী বাহিনীকে রাজপথে প্রতিহত করে একটি সুষ্ঠু, গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজনের পরিবেশ তৈরি করবে।’
এতে বলা হয়, ‘আমরা নির্বাচন কমিশন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে উদাত্তস্বরে আহবান জানাই, আমরা আচরণবিধি মেনে চলার মাধ্যমে সুন্দর পরিবেশে প্রচারণা চালানোর জন্য প্রতিনিয়ত সকল নেতাকর্মীকে আহ্বান জানিয়ে আসছি। এ পর্যন্ত সকল পরিস্থিতিতে ধৈর্যধারণ করে আসছি। কিন্তু শান্তির জনপদ সাতকানিয়া-লোহাগাড়াকে অশান্ত করতে যারা ভোটারদের রক্ত ঝরাচ্ছে, তাদের গ্রেপ্তার করে যেন ত্বরিৎ আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়।’
লিখিত বক্তব্যে সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি এমএ মোতালেবের বিরুদ্ধে অভিযোগ করে বলা হয়, ‘এ পদে থেকে এমএ মোতালেব জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতীক, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকার বিরুদ্ধে অশ্লীল, কুরুচিপূর্ণ, অকথ্য ভাষায় বিষোদগার করে বেড়াচ্ছেন। নিজেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী ঘোষণা দেওয়ার পর থেকে এমএ মোতালেবকে যখন সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে, ঠিক তখনই এমএ মোতালেব নিজের সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে জনগণের ঘরবাড়িতে হামলা, লুটপাট শুরু করেছে।’
এতে বলা হয়, ‘মোতালেব বাহিনীর সঙ্গে যোগ দিয়েছে সাতকানিয়ার শীর্ষ সন্ত্রাসীদের গডফাদার হিসেবে পরিচিত ডা. আ ম ম মিনহাজুর রহমান। আওয়ামী লীগের নাম ভাঙ্গিয়ে অসংখ্য খুনের সঙ্গে যুক্ত ডা. মিনহাজ নৌকার বিরুদ্ধে সরাসরি অবস্থান নিয়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থী মোতালেবের টাকায় এই মিনহাজ তার ভাড়াটে খুনিদের নামিয়েছে এই শান্ত জনপদকে অশান্ত করতে। এই অপকর্মের সাথে সরাসরি যুক্ত রয়েছে আবু ছালেহ চেয়ারম্যান, মেয়র জোবায়ের, সুমন চেয়ারম্যান প্রমুখ।’
গত ১৯ ডিসেম্বর বিকেল তিনটার দিকে চরতী ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ডে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দ স্থানীয় লোকজনের সঙ্গে নৌকার প্রার্থীর পক্ষে গণসংযোগ করেন। তারা ৮নং ওয়ার্ড শেষ করে ফিরে যাওয়ার পরপর এমএ মোতালেব ও ডা. মিনহাজের ভাড়াটে সন্ত্রাসী স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য মো. সাইফুল সশস্ত্র অবস্থায় লোকজন নিয়ে এসে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাবেক ইউপি সদস্য ইলিয়াস শাহীনের ওপর প্রথমে হামলা চালায়। এ সময় তাদের বাধা দিতে এগিয়ে আসলে স্থানীয় ৮-১০ জন লোক আহত হন। হামলাকারীরা ইলিয়াস শাহীনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ভেঙে গুঁড়িয়ে দেয়। আসবাবপত্র ভেঙে বাইরে ছুঁড়ে ফেলে। টাকাপয়সা লুট করে নিয়ে যায়।
এই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই ২১ ডিসেম্বর আবারও হামলা চালানো হয়। সেদিন চরতী ইউনিয়নের প্রত্যেক ওয়ার্ডে নারীদের নিয়ে সমাবেশ ও উঠান বৈঠক করেন মহিলা আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও নদভীর স্ত্রী রিজিয়া রেজা চৌধুরী।
অভিযোগে বলা হয়, ‘এই পরিস্থিতিতে কালা ফারুক ও মোস্তফা মেম্বার দ্বীপ চরতী এলাকায় মহিলা সমাবেশ মোস্তফা মেম্বার বাধা দেওয়ার চেষ্টা চালায়। এর মধ্যেই এমএ মোতালেব, ডা. মিনহাজ, মোতালেবের ছেলে ওয়াহেদ, মোতালেবের ভাই মাহমুদুল হক, পশ্চিম ঢেমশার চেয়ারম্যান রিদুয়ানুল হক সুমন, এওচিয়ার চেয়ারম্যান আবু ছালেহসহ নৌকাবিরোধী অপশক্তি নোংরা খেলায় মেতে ওঠে।’
এতে অভিযোগ করা হয়, ‘তারা চরতী ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ডে দক্ষিণ চরতী কাটাখালী ব্রিজ সংলগ্ন বাজারের পথসভায় হামলার পরিকল্পনা করে। তাদের পরিকল্পনা অনুযায়ী চরতী ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার সন্ত্রাসী সাইফুল, মোস্তফা মেম্বার, নজরুল মেম্বার, লম্বা ফারুকসহ ৫০-৬০ জনের সশস্ত্র সন্ত্রাসী বাহিনী নৌকা প্রতীকের পক্ষে রিজিয়া রেজা চৌধুরীর চলমান গণসংযোগ কর্মসূচিতে হামলা চালায়। এ সময় রিজিয়া রেজা চৌধুরীকে তারা হত্যার উদ্দেশ্য হামলা করে।’
এ সময় চরতী ইউনিয়নের নৌকা প্রতীকে নির্বাচিত চেয়ারম্যান রুহুল্লাহ চৌধুরী, সাতকানিয়া উপজেলা ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক আব্দুল মান্নান, দক্ষিণ জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সম্পাদক আমিন, স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রমজান, উপজেলা ছাত্রলীগ নেতা মিনহাজ, ছাত্রলীগ নেতা শাহজাহান, বাংলাদেশ ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি মাঈনুদ্দিন হাসান চৌধুরীর ভগ্নিপতি গোলাম ফেরদৌস রুবেল, যুবলীগ নেতা কচির আহমেদ কায়সারসহ অন্তত ২৫ নেতাকর্মী গুরুতর আহত হন। তারা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও সাতকানিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, ‘নির্বাচনী প্রচারণার শুরুর আগে গত ২ ডিসেম্বর পশ্চিম ঢেমশার আওয়ামী লীগ নেতা রিয়াদের বাড়িতে গুলি বর্ষণ করে পশ্চিম ঢেমশা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান সুমন। এটা পত্রিকায় নিউজ হয়েছে এবং সাতকানিয়া থানায় অভিযোগ করা হয়েছে। কিন্তু এখনও পর্যন্ত মামলা নেয়নি পুলিশ। পশ্চিম ঢেমশায় আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী হিসেবে চেয়ারম্যান হওয়া সুমন ফেসবুক লাইভে এসে আবু রেজা নদভীকে সরাসরি প্রকাশ্যে হুমকি দিয়েছে।’
বিভিন্ন ঘটনার বর্ণনা দিয়ে এতে বলা হয়, ‘১ ডিসেম্বর রাত দেড়টার থেকে তিনটা পর্যন্ত এমএ মোতালেব সমর্থিত জামায়াত-শিবিরের চিহ্নিত সন্ত্রাসীরা মাদার্শা, এওচিয়া ও পশ্চিম ঢেমশাসহ বিভিন্ন এলাকায় গোলাগুলি করে আতংক সৃষ্টি করেছে। ১৯ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণায় স্বতন্ত্র প্রার্থী এম.এ মোতালেব বলেছেন, ‘সংসদ ভেঙ্গে দিয়েছে নৌকার প্রার্থী আবু রেজা নদভী এখন এমপি নাই, ওনার কথা এখন প্রশাসন শোনে না, শুনবেও না। প্রশাসন এখন শুনবে আমার কথা। উক্ত বক্তব্যের ভিডিও এবং তথ্যপ্রমাণ রয়েছে।’
এতে অভিযোগ করা হয়, ‘২১ ডিসেম্বর নির্বাচনী প্রচারণার সিডিউল অনুসারে জেলা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীসহ নৌকা প্রতীকের সমর্থকরা সাতকানিয়া সদর ইউনিয়নের চিববাড়ী উচ্চ বিদ্যালয়ের সামনে দিয়ে যাওয়ার সময় স্বতন্ত্র প্রার্থী এমএ মোতালেবের নির্দেশে তার সমর্থক মো. এহছান, মো. পারভেজ, সেলিম চেয়ারম্যানের পিএসসহ স্থানীয় সন্ত্রাসীরা আমি (নদভী) এবং আমার সমর্থকদের ওপর হামলা করার চেষ্টা করে।একই দিন পশ্চিম ঢেমশা মোস্তাক মেম্বারের ভাইকে চেয়ারম্যান সুমনের সন্ত্রাসী বাহিনী হামলা করে প্রচন্ড মারধর করে গুরুতরভাবে আহত করেছে এবং বিষয়টি থানায় অবহিত করা হয়েছে। এছাড়া ২১ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৭টার দিকে সাতকানিয়া পৌরসভায় স্বতন্ত্র প্রাথী এমএ মোতালেবের সন্ত্রাসীরা নৌকার প্রতীকের নির্বাচনী প্রচারণার গাড়ি ভাংচুর করে।’
সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘একজন শান্তিপ্রিয় ইসলামিক স্কলার প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর হাতে এই জনপদের মানুষ গত ১০ বছর ধরে ছিল নিরাপদ। উনি প্রতি জুমায় এই অঞ্চলের প্রায় মসজিদে হাজির হয়ে খুতবা প্রদান করেছেন। সংসদের দাঁড়িয়ে জনগণের সমস্যার কথা উল্লেখ করে হাজার হাজার কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদন করিয়ে এনেছেন। নদী ভাঙ্গন থেকে চরতী, আমিলাইশ, নলুয়াসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের বড় জনপদকে রক্ষায় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছেন। স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা, এতিমখানাগুলোতে অভূতপূর্ব অবকাঠামো উন্নয়ন করেছেন। প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীর কাছে কোনো মানুষ অধিকার বঞ্চিত হয়নি। এলাকার মানুষকে চাকরি প্রদান করার ক্ষেত্রে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছেন।’
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, ‘মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার জনগণ তাদের কৃতিসন্তানকে আওয়ামী লীগের প্রার্থী হিসেবে পেয়ে অত্যন্ত আনন্দিত। গত ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনী প্রচারণা ও গণসংযোগ চলাকালে আমরা যেখানেই গিয়েছি, সেখানেই লোকজন জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়নে উচ্ছ্বসিত হয়ে নৌকার পক্ষে তাদের রায় দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হয়েছে। সাতকানিয়া-লোহাগাড়ার প্রতিটি জনপদে আওয়ামী লীগ সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে প্রফেসর ড. আবু রেজা মোহাম্মদ নিজামুদ্দিন নদভীর নেতৃত্ব অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। এ দুই উপজেলার জনগণের খেদমত করতে জননেত্রী শেখ হাসিনা আবারও প্রফেসর ড. আবু রেজা মুহাম্মদ নেজামুদ্দিন নদভীকে নৌকা প্রতীক তুলে দিয়েছে।’
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, ‘এত উন্নয়নের ফলশ্রুতিতে নৌকা প্রতীক নিয়ে যখনই নির্বাচনী প্রচারণা করতে মানুষের ঘরে ঘরে যাচ্ছি, ঠিক তখনই আমরা মানুষের স্বতস্ফূর্ততা দেখতে পাচ্ছি। বঙ্গবন্ধুর প্রতীক, জননেত্রী শেখ হাসিনার প্রতীক নৌকার প্রতি মানুষের এই আন্তরিক, স্বতঃস্ফূর্ত উচ্ছ্বাস দেখে আওয়ামী লীগ, জননেত্রী শেখ হাসিনা বিরোধী অপশক্তি ঈর্ষান্বিত হয়ে উঠেছে। তারা জনগণ থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় নৌকার বিরুদ্ধে চক্রান্তে নেমেছে।’