s alam cement
আক্রান্ত
৫০৭৭৫
সুস্থ
৩৬৮৬৭
মৃত্যু
৫৪৯

দর্জির আত্মহত্যা, কী কারণে জানল না পরিবার

0

ভালো মাইনে, স্ত্রীর চাকুর, মা ভাইয়ের সাথে যৌথ পরিবারের জীবন ছিল দেলোয়ার হোসেনের (২২)। কিন্তু বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকালে সিলিং ফ্যানের সাথে ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করেছে দেলোয়ার হোসেন।

পরিবারের আক্ষেপ, কি অভিমান ছিল দেলোয়ারের মনে কেউ তা জানল না। ১ বছর ৩ মাস আগে বিয়ে করেছিলেন তিনি। তার স্ত্রী খোসনাহার গার্মেন্টসে চাকরি করেন। দেলোয়ার হোসেন দর্জির কাজ করতেন। পরিবারসহ থাকতেন বাকলিয়া থানার মাস্টারপুল বউ বাজার এলাকার জোস মোহাম্মদ বিল্ডিংয়ের চতুর্থ তলায়, ভাড়া বাসায়। কুমিল্লা জেলার মুরাদনগর থানার সোনাপুর এলাকার মৃত আলাউদ্দিনের ছেরে দেলোয়ার।

দেলোয়ার হোসেনের ভাই মো. দিদার চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘দেলোয়ারসহ আমরা ৪ ভাই। আমার মা ও ভাবীসহ আমরা একসাথে ছিলাম। আমরা দুই ভাই দর্জির কাজ করি। দেলোয়ার মাসে ১৫ হাজার টাকা মাইনে পেত। তার স্ত্রী গার্মেন্টে চাকুরি করে ৭-৮ হাজার টাকা বেতন পেতেন।’

তিনি বলেন, ‘প্রতি সপ্তাহে আমার ভাই দেলোয়ার সংসারে ২ হাজার টাকা খরচের জন্য দিত। কারো সাথে কোন ঝগড়া হয়নি। টাকা-পয়সার কোনো সমস্যাও হয়নি। বৃহস্পতিবার সকাল ৮টার দিকে ভাইকে কাজে যাওয়ার জন্য ডাকতে গিয়ে দেখি ভেতর থেকে দরজা বন্ধ। ভাবি সকাল ৬টায় গার্মেন্টসে যাওয়ার জন্য বাসা থেকে বের হয়ে যান। ডাকাডাকি করে দরজা না খুললে মোবাইলে কল করি। তারপরও সাড়া না পেয়ে দরজা ভেঙ্গে ঘরে গিয়ে দেখি আমার ভাই ফ্যানের সাথে ঝুলছে। পরে তাকে নামিয়ে হাসপাতালে নিয়ে যাই।’

চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির উপসহকারী পরিদর্শক আলাউদ্দিন আলী জানান, দুপুর ১২টার দিকে হাসপাতালে নিয়ে আসলে জরুরি বিভাগের চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে মর্গে পাঠানো হয়েছে। তবে কি কারণে আত্মহত্যা করেছে তা তার পরিবার জানাতে পারেনি।

আইএমই/এমএফও

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm