s alam cement
আক্রান্ত
৫০৪৭৮
সুস্থ
৩৬৭০৮
মৃত্যু
৫৪০

চট্টগ্রামে ঘুরছে দুই দেশের করোনার বিপজ্জনক ধরন, আছে অস্ট্রেলিয়াও

2

চট্টগ্রামে ঢুকে গেছে দুটি দেশের নতুন ভ্যারিয়েন্ট বা নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস। এতোদিন এ বিষয়ে নানা অনুমান প্রকাশ করা হলেও এই প্রথম চট্টগ্রামভিত্তিক একদল গবেষক কাগজেকলমে পরীক্ষা করেই জানিয়েছেন, যুক্তরাজ্য ও আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্ট বা বৈশিষ্ট্যের করোনাভাইরাস এখন চট্টগ্রামে ঘুরছে। সীমিত আকারে মিলেছে অস্ট্রেলিয়া-আইসল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড অঞ্চলভিত্তিক করোনার ধরনও।

নতুন বৈশিষ্ট্যের করোনার উপস্থিতি পাওয়া গেছে যাদের শরীরে, তারা চট্টগ্রামের মেহেদিবাগ, জামালখান, রহমতগঞ্জ, শুলকবহর, মুরাদপুর, কাজির দেউড়ি, বন্দর, কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকা এবং চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের বাসিন্দা।

চট্টগ্রামে ক্রমেই করোনাভাইরাস পরিস্থিতি খারাপের দিকে এগোচ্ছে। গত ২৪ ঘণ্টায়ও করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৭ জন। ওই ২৪ ঘন্টায় সংক্রমণ ধরা পড়ে নতুন ১০৬ জনের শরীরে। সরকারি হিসেবেই চট্টগ্রামে এ পর্যন্ত করোনায় আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ৫৩৫ জন। চলতি মে মাসের প্রথম দুই দিনেই মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের।

চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা।
চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) গবেষকরা।

এমন পরিস্থিতিতে গত এক মাস ধরে বিশেষ ১০টি নমুনা বিশ্লেষণ করে চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও অ্যানিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিভাসু) এই গবেষকরা জানাচ্ছেন, ওই ১০টি নমুনার ছয়টিতেই করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের (B.1.1.7) উপস্থিতি রয়েছে। অপর তিনটি নমুনায় মিলেছে দক্ষিণ আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের (B.1.351) উপস্থিতি। একটিমাত্র নমুনায় পাওয়া গেছে অস্ট্রেলিয়া-আইসল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড (B.1.1.142) অঞ্চলভিত্তিক করোনার ভ্যারিয়েন্ট।

সিভাসুর গবেষণায় যেসব নমুনা সংগ্রহ করা হয়, সেগুলো নেওয়া হয়েছে বিভিন্ন বয়সের করোনা রোগীর কাছ থেকে। এর মধ্যে পাঁচজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন হাসপাতালে ভর্তি হয়ে। এসব নমুনা বিশ্লেষণে দেখা যায়, কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউয়ে চট্টগ্রাম অঞ্চলে ৫ এপ্রিলের আগ পর্যন্ত যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের উপস্থিতি বেশি ছিল। অবশ্য ওই একই সময়ে সক্রিয় ছিল দক্ষিণ আফ্রিকান ধরনও।

Din Mohammed Convention Hall

গবেষণায় করোনাভাইরাসের যুক্তরাজ্য ভ্যারিয়েন্টের (B.1.1.7) উপস্থিতি পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের মেহেদিবাগের ৩২ বছর বয়সী এক পুরুষ, জামালখান এলাকার ৬৪ বছর বয়সী এক পুরুষ, রহমতগঞ্জ এলাকার ৬৩ বছর বয়সী এক পুরুষ, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ ছাত্রী হোস্টেলের ২৪ বছর বয়সী এক তরুণী, শুলকবহর এলাকার ৩২ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং মুরাদপুরের ৬০ বছর বয়সী এক পুরুষের শরীরে।

অন্যদিকে আফ্রিকান ভ্যারিয়েন্টের (B.1.351) উপস্থিতি মিলেছে জামালখান এলাকার ২২ বছর বয়সী এক তরুণ, বন্দর এলাকার ৬৫ বছর বয়সী এক পুরুষ এবং কাজির দেউড়ি এলাকার ৩২ বছর বয়সী এক পুরুষের মধ্যে। এছাড়া অস্ট্রেলিয়া-আইসল্যান্ড-সুইজারল্যান্ড অঞ্চলভিত্তিক করোনার ধরনে মিল পাওয়া গেছে চট্টগ্রামের কুঞ্জছায়া আবাসিক এলাকার ৩১ বছর বয়সী এক পুরুষের শরীরে।

জানা গেছে, করোনাভাইরাসের এই ১০টি নমুনা থেকে নোভেল করোনাভাইরাসের পূর্ণাঙ্গ জিনোম সিকোয়েন্স বা জীবনরহস্য উন্মোচন করার জন্য ঢাকার বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদে (বিসিএসআইআর) পাঠানো হয়। বর্তমানে এই ১০টি নমুনার জিনোম সিকোয়েন্সের তথ্য পাবলিক ডাটাবেজ জিআইএসএআইডিতে সংরক্ষিত আছে।

গবেষণাকাজটি পরিচালনা করেন সিভাসুর অধ্যাপক ড. পরিতোষ কুমার বিশ্বাস, অধ্যাপক ড. শারমিন চৌধুরী, ডা. ইফতেখার আহমেদ রানা, ডা. ত্রিদীপ দাশ, ডা. প্রণেশ দত্ত, ডা. মো. সিরাজুল ইসলাম ও ডা. তানভীর আহমদ নিজামী। বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদের মূখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. সেলিম খান ও ড. মোরশেদ হাসান সরকারও এই গবেষণায় অংশ নেন। সিভাসুর উপাচার্য অধ্যাপক ড. গৌতম বুদ্ধ দাশের নির্দেশনায় পরিচালিত এই গবেষণায় আর্থিক সহায়তা দেয় পোল্ট্রি রিসার্চ ও ট্রেনিং সেন্টার।

সিপি

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

2 মন্তব্য
  1. Ibn sina Ovi বলেছেন

    ভাই কেউ তো মানে না নিরাপত্থা বিধি,তাই আরকি

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm