চট্টগ্রামে একদিনের ব্যবধানে আবারও কমে গেল মৃত্যু। আগেরদিন ১০ জনের মৃত্যু হলেও গত ২৪ ঘণ্টায় সেটি নেমে এসেছে ২ জনে। তবে এদিন শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে দুেই শতাধিক। নতুনভাবে শনাক্ত ২০৬ জনের মধ্যে নগরে ১২১ এবং উপজেলা পর্যায়ে ৮৫ জন।
এ নিয়ে চট্টগ্রামে মোট শনাক্ত বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯৯ হাজার ৩৪১ জন। এর মধ্যে নগরের ৭২ হাজার ২২৮ জন এবং উপজেলা পর্যায়ে ২৭ হাজার ১১৩ জন। আক্রান্তদের মধ্যে ইতিমধ্যে ১ হাজার ২২৭ জন মারা গেছেন। এর মধ্যে নগরে ৬৮৮ এবং উপজেলায় ৫৩৯ জন।
মঙ্গলবার (৩১ আগস্ট) চট্টগ্রাম জেলার করোনা সম্পর্কিত এসব তথ্য নিশ্চিত করেন সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি।
তিনি বলেন, চট্টগ্রামের ১১টি ল্যাব এবং কক্সবাজারের একটি ল্যাব মিলে ১ হাজার ৫৮৩ জনের নমুুুুনা পরীক্ষা করা হয়েছে। পরীক্ষায় চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত শনাক্ত হয়েছে ২০৬ জনের।
ল্যাবভিত্তিক প্রতিবেদনে দেখা যায়, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় ল্যাবে ১২৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনকে করোনার জীবাণুবাহক হিসেবে শনাক্ত করা হয়েছে। বিআইটিআইডিতে ৫৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৮৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজে ১৭৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৭ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ২৬ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
এদিন এন্টিজেন টেস্ট এবং আরটিএলে নমুনা পরীক্ষা হয়নি। অন্যদিকে, কক্সবাজারে মেডিকেল কলেজে চট্টগ্রামের ৭ জনের নমুনা পরীক্ষা করে কারো করোনা শনাক্ত হয়নি।
নগরীর বেসরকারি ল্যাবগুলোর মধ্যে ইমপেরিয়াল হাসপাতালে ৭২ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা পজিটিভ এসেছে। শেভরনে ৩১৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালে ৪৪ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৯ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে। মেডিকেল সেন্টার হাসপাতালে ১১ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৫ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে এবং ইপিক হেলথ কেয়ারে ৬৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ১৮ জনের করোনা শনাক্ত হয়েছে।
উপজেলা পর্যায়ে শনাক্ত ৮৫ জনের মধ্যে সবচেয়ে বেশি করোনার রোগী পাওয়া যায় হাটহাজারীতে। সেখানে ১৬ জনের শরীরে মিলে করোনার জীবানু। এছাড়া, লোহাগাড়ায় ১২ জন, রাউজানে ১১ জন, সীতাকুণ্ডে ১০ জন, রাঙ্গুনিয়া ও ফটিকছড়িতে ৯ জন করে, মিরসরাই ও সাতকানিয়ায় ৭ জন করে, বোয়ালখালীতে ২ জন, আনোয়ারা ও সন্দ্বীপে ১ জন করে করোনা শনাক্ত হয়। এদিন বাঁশখালী, চন্দনাইশ ও পটিয়ায় কোন রোগী পাওয়া যায়নি।
এমএহক