চট্টগ্রাম প্রতিদিনের অনলাইন সংস্করণে ৩০ এপ্রিল ২০২১ প্রকাশিত ‘সাংসদপুত্র মুজিবের দখল বাণিজ্যের শিকার অসহায় পরিবারটি পথে পথে ঘুরছে’ সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়েছেন সানোয়ারা গ্রুপের ম্যানেজিং ডাইরেক্টর মুজিবুর রহমান।
প্রতিবাদপত্রে তিনি বলেন, প্রকৃত ঘটনা হলো সানোয়ারা ইসলাম ট্রাস্ট’র নতুন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য ক্রয়কৃত জায়গায় (বিএস দাগ নম্বর ১৫০০২, ১৫০১৯, ১৫০২০ এবং ১৩৫৭১ বিএস নামজারী খতিয়ান নম্বর ১৫৭৩৬ আন্দর ১৪ দশমিক ১৭ শতক জায়গা সন সন খাজনাদি পরিশোধে) নির্মিতব্য স্কুল ভবনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
কিন্তু চিহ্নিত ১০/১৫ জন সন্ত্রাসী ধারাবাহিকভাবে ওই জায়গায় স্কুল ভবনের নির্মাণাধীন কাজে বাধা দিচ্ছে। তারা ৫০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। এতে অপারগতা প্রকাশ করে গত ৭ এপ্রিল চান্দগাঁও থানায় ডায়েরি দায়ের করা হয়।
জিডিতে তিনি উল্লেখ করেন, করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার সুযোগে গত ১৯ এপ্রিল দুপুরে আসামিরা আমার পরিবার পরিচালিত চিটাগাং কিন্ডার গার্টেন এবং হাজেরা তজু স্কুল এন্ড কলেজের বাউন্ডারি দেয়াল ভাংচুর করে। তারা ক্রিকেট একাডেমির অফিস কক্ষে ও স্কুলের ৩য় তলায় ৫ লাখ টাকার ক্ষতি করে। এছাড়া লুটপাট করে ক্রিকেট একাডেমির ৮০ হাজার টাকার দুইটি ল্যাপটপ, সিসিটিভির হার্ডডিস্ক, ৩০ হাজার টাকার ক্রীড়াসামগ্রী, শিক্ষার্থীদের আদায়কৃত বেতন বাবদ ড্রয়ারে রক্ষিত ৫৫ হাজার টাকা নিয়ে যায়। এছাড়া স্কুলের সিঁড়ির বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিও ভাংচুর করে।
এ সময় দারোয়ান মো. সেলিম ও সুপারভাইজার করিমকে মারধর করে জখম করে। এ বিষয়ে চান্দগাঁও থানায় মামলা দায়ের করা হয়। মামলায় শাহেদুল ইসলাম, আবদুল করিম, মানিকুল ইসলাম এবং আনোয়ারুল ইসলাম, হোসনে আরা, শাহ আলম, নুরুল আবছার, নুরুল ইসলামসহ কয়েকজনকে আসামি করা হয়।
প্রতিবেদকের বক্তব্য:
সংবাদটি ভুক্তভোগীদের করা চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের একটি সংবাদ সম্মেলনের বক্তব্য ও তথ্যের ভিত্তিতে প্রকাশিত হয়েছে। সংবাদের কোথাও প্রতিবেদকের নিজস্ব কোন বক্তব্য নেই। এটি কাউকে সামাজিক ভাবে হেয় কিংবা মর্যাদাহানির জন্য করা হয়নি।