বাবা-মা গার্মেন্টসে চাকুরি করেন। তাই ছয় বছরের শিশু ওমর ফারুক থাকত নানীর কাছেই। নানীরও একটা ছেলে ছিল ফারুকের বয়সী। দুজন পড়ত একই স্কুলে। পরীক্ষা শেষে সহপাঠী মামার সঙ্গে দৌড়ে স্কুল থেকে বের হয়ে ব্যাটারিচালিত রিকশার রডে মাথায় আঘাত পায় ওমর ফারুক।
পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
বুধবার (১ জুন) সকাল পৌনে ১১টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর বাকলিয়ার বউবাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
ওমর ফারুক স্থানীয় নুরুল কোরআন ইসলামি একাডেমি মাদ্রাসার নুরানি বিভাগের ছাত্র। সে বাবা-মায়ের একটা মাত্রই সন্তান। তারা বাকলিয়া এলাকার চর পাসানিয়া কলোনিতে থাকতো।
বাকলিয়া থানার এসআই আবদুল্লাহ আল ইমরান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমরা স্কুলের সামনের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে তেমন কিছু দেখতে পাইনি। রিকশাটি স্কুলের গেটের সামনে দাঁড়ানো ছিল। গাড়িতে চালক ছিল না। শিশুটি পরীক্ষা শেষ করে দৌড় দিয়ে বের হয়ে আসার পথে রিকশার রডের সঙ্গে ধাক্কা খেলে মাথায় আঘাত লাগে। পরে চট্টগ্রাম মেডিকেলে নিয়ে গেলে সেখানেই তার মৃত্যু হয়।
ঘটনায় এখনো কোনো মামলা হয়নি। লাশ মর্গে আছে বলে জানান তিনি।
আইএমই/ডিজে