s alam cement
আক্রান্ত
৪০২৮৩
সুস্থ
৩৪০৭৯
মৃত্যু
৩৮৮

লকডাউনে খেলার মাঠে ব্যস্ত রাজস্থলীর ইউএনও

0

মাস্ক না পড়ার অপরাধে ৪ এপ্রিল সাধারণ মানুষকে জরিমানা করেছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, সামাজিক দূরত্ব মেনে ও মাষ্ক পরিধান করে সীমিত পরিসরে দোকান খোলার জন্যও তাকে বাজারে কাউন্সিলিং করতে দেখা যায়। কিন্তু বেলা না গড়াতেই নিজেই মাষ্ক বিহীনভাবে ফুটবল নিয়ে দৌড়াচ্ছেন মাঠে, সাথে রয়েছে উপজেলার বিভিন্ন সরকারি অফিসের কর্মকর্তা। বলছিলাম রাঙামাটি জেলার রাজস্থলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ ছাদেক এর কথা।

সরকার যেখানে বিনা প্রয়োজনে বাইরে বের না হওয়ার জন্য আদেশ জারী করেছেন সেখানে একটি উপজেলা প্রধানের এমন কান্ডজ্ঞানহীন কর্মকাণ্ড হতবাক কররেছে রাজস্থলীবাসীকে। শেখ ছাদেকের নেতৃত্বে অভিযানে মাষ্ক না পরার অভিযোগে একদিন আগেই ৫০০ টাকা জরিমানা করেছিলেন রাজস্থলী বাজারের এক দোকানদারকে, আর একদিন পর শেখ ছাদেক নিজেই মাষ্ক ছাড়া গোল দিচ্ছেন ফুটবলের মাঠে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে অর্থদণ্ড পাওয়া সেই দোকানদার এ ঘটনার ব্যাপারে ক্ষোভের সুরে বলেন- আইন শুধু আমাদের মতো গরীব লোকের জন্য। আমি মাষ্ক না পড়ে দোকানদারী করার জন্য যদি জরিমানা দিতে হয় তবে ইউএনও সাহেব মাষ্ক ছাড়া ফুটবল খেলার জন্য নিজেকে নিজে কতটাকা জরিমানা করবেন তা একটু দেখতে ইচ্ছে হচ্ছে।

সরজমিনে দেখা যায়, সোমবার(৫ এপ্রিল) বিকাল ৫টায় উপজেলা পরিষদের মাঠে প্রতিদিনের মতো ফুটবল খেলায় অংশ নেন ইউএনও শেখ ছাদেক। সাথে রাজস্থলী উপজেলার বিভিন্ন সরকারি বেসরকারি দপ্তরের কর্মকর্তা কর্মচারীসহ প্রায় ২০-২৫ জনের একটি দল। যাদের দুজন ছাড়া ইউএনও সহ বাকি কারোরই মুখে ছিলো না মাষ্ক, মানা হয়নি সামাজিক দূরত্বও।

দিনে সচেতনার বুলি উড়িয়ে বিকালে অসেচতনভাবে প্রকাশ্য এভাবে ফুটবল খেলাটা কতটা যৌক্তিক তা জানতে রাজস্থলীর উপজেলা নির্বাহী অফিসার শেখ ছাদেকের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। খেলা শেষ করে সন্ধ্যা ৬টা ২০ মিনিটে শেখ ছাদেক তার সরকারি বাসভবন ছায়াবীথিতে যান, সেসময়ও তাকে মাষ্ক পড়তে দেখা যায়নি। এমনকি সন্ধ্যা ৬টার পর দোকান বন্ধ রাখার নির্দেশ থাকলেও ইউএনওর বাসভবনের সামনে সবকয়টি দোকান খোলা থাকতে দেখা যায়।

Din Mohammed Convention Hall

এ ব্যাপারে রাজস্থলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মফজল আহমদ খান চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন- করোনার আগে আমাদের থানার মাঠেও ভলিবল খেলা হতো, সরকারি আদেশ মেনে আমি ভলিবল খেলা বন্ধ করে দিই এবং মাষ্ক ব্যাতীত কাউকে থানাতে প্রবেশের নিষেধাজ্ঞা দিই। কিন্তু ইউএনও স্যারের বিষয়টাতো আমি জানি না, আমি আজ ওদিকে যায়নি।

সন্ধ্যা ৬টার পর থানার পাশে চায়ের দোকানসহ সব ধরনের দোকান খোলা রাখার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি বলেন- আমাদের এখানে সীমান্ত সড়কের কাজ চলছে, ওখানকার শ্রমিকরা সন্ধ্যায় এসে নাস্তা করে সেজন্য হয়ত দোকানগুলো খোলা আছে, তবে আমরা সরকারি নির্দেশ মানতে ও মানাতে যথাসাধ্য চেষ্টা করছি।

বিএস/কেএস

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm