s alam cement
আক্রান্ত
৪০২৮৩
সুস্থ
৩৪০৭৯
মৃত্যু
৩৮৮

চট্টগ্রাম রেলস্টেশনে ‘টাকার পাহাড়’—পার্কিংয়ে রিকশার গ্যারেজ, গোডাউনে ডিমের আড়ত

0

চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের কার পার্কিং পরিণত হয়েছে রিকশার গ্যারেজে। দিনরাত পার্কিং স্পট পরিপূর্ণ থাকে রিকশার সারিতে। রাত হলে এখানেই রিকশা তালাবদ্ধ করে রাখেন চালকরা। ফলে যাত্রীদের নিয়ে আসা গাড়ি রাখার স্থান হচ্ছে না কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত রেলের পার্কিংয়ে।

শুধু পার্কিং নয়, এক ডিমের আড়তদারকে অবৈধভাবে ভাড়া দেয়া হয়েছে সরকারি গোডাউন। গোডাউন ভাড়া কাকে দেয়া হয়েছে, কে ভাড়া তুলছে, সে টাকা কোথায় জমা হচ্ছে তা জানতে চাইলে -নাম মনে পড়ছে না বলে এড়িয়ে যান সংশ্লিষ্ট রেল কর্মকর্তা।

রেলওয়ে নিরাপত্তা বাহিনির (আরএনবি) চিফ ইন্সপেক্টর সালামত উল্লাহ চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে জানান, ‘পার্কিং লিজ নিয়েছে রেলের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান।’

সরেজমিনে দেখা গেছে, রেলের পার্কিং যেন রিক্সার গ্যারেজ। গাড়ি রাখার জায়গাটুকুও নেই। সারিবদ্ধভাবে রিক্সা ও সিএনজি অটোরিকশা। এই সবই দৈনিক টাকার বিনিময়ে সেখানে রাখতে দেওয়া হয়। সামান্য জায়গা নেই যাত্রীদের গাড়ী রাখার।

অভিযোগ রয়েছে, রেল কর্মকর্তাদের নিয়োজিত কিছু বহিরাগত দৈনিকভিত্তিতে রিকশা ও সিএনজি চালকদের কাছ থেকে টাকা তুলেন। সে টাকার মূল অংশ চলে যায় কতিপয় রেল কর্মকর্তাদের পকেটে।

Din Mohammed Convention Hall

একইভাবে রেলের গোডাউনটিও দেয়া হয়েছে বাইরের একটি প্রতিষ্ঠানটিকে ভাড়ায়। প্রতিদিন শত শত ডিমের খাঁচা ঢুকছে আর বেরুচ্ছে দেশের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন থেকে। রাত হলে ডিমের পঁচা গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে পুরো রেল স্টেশন এলাকায়। রিকশা গ্যারেজ আর ডিমের আড়ত থেকে প্রতিবছর অবৈধ আয়ের লাখ লাখ টাকা ঢুকছে অসাধু রেল কর্তাদের পকেটে।

আরএনবি’র চিফ ইন্সপেক্টর সালামত উল্লাহ বলেন, ‘রাত এগারোটার পর কোনো ট্রেন না থাকায় আমরা স্টেশনের গেট বন্ধ রাখি। এ সুযোগে কিছু রিকশাওয়ালা হয়তো তাদের রিকশা এখানে রাখেন।’

গোডাউন ভাড়ার বিষয়ে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা আনসার আলীর কাছে জানতে চাইলে তিনি-কাকে ভাড়া দেয়া হয়েছে তার নাম মনে করতে পারছেন না বলে জানান।

কেএস

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm