গত বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হওয়া চলমান লকডাউন শেষ হচ্ছে ৭ জুলাই বুধবার মধ্যরাতে। তবে এই লকডাউন আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে সরকার। করোনাসংক্রান্ত কারিগরি পরামর্শক কমিটি ইতিমধ্যে বিধিনিষেধ আরও এক সপ্তাহ বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। মঙ্গলবার (৬ জুলাই) এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক ঘোষণা আসতে পারে।
এর আগে গত ২৮ জুন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, ১ জুলাই সকাল ছয়টা থেকে ৭ জুলাই রাত ১২টা পর্যন্ত কঠোর বিধিনিষেধ থাকবে। তবে প্রয়োজন মনে হলে তা আরও এক সপ্তাহ বাড়তে পারে।
চলমান লকডাউনে অতি জরুরি প্রয়োজন (ওষুধ-নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনা, চিকিৎসাসেবা, মৃতদেহ দাফন বা সৎকার ইত্যাদি) ছাড়া ঘরের বাইরে বের হতে মানা করেছে সরকার। সব সরকারি-বেসরকারি অফিস, শপিং মল, দোকানপাট এবং গণপরিবহন ছাড়াও যন্ত্রচালিত যানবাহন (জরুরি কাজে নিয়োজিত ছাড়া) চলাচল বন্ধ রয়েছে। এছাড়া সব পর্যটনকেন্দ্র, রিসোর্ট, কমিউনিটি সেন্টার ও বিনোদনকেন্দ্র, জনসমাবেশ হয়—এ ধরনের সামাজিক (বিবাহোত্তর অনুষ্ঠান, জন্মদিন, পিকনিক, পার্টি ইত্যাদি), রাজনৈতিক ও ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠানও বন্ধ।
তবে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাঁচাবাজার এবং নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য কেনাবেচা করতে দেওয়া হচ্ছে।
বাংলাদেশে করোনাভাইরাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার বেড়ে যাওয়ায় আগের বিধিনিষেধের সাথে নতুন কিছু শর্ত যোগ করে সোমবার (২৮ জুন) থেকে তিনদিনের লকডাউন জারি করা হয়েছিল। এরপর বৃহস্পতিবার (১ জুলাই) থেকে এক সপ্তাহের জন্য আরও ‘কঠোর’ লকডাউন জারি করা হয়।