s alam cement
আক্রান্ত
৫৯৩১৬
সুস্থ
৪৯৩২৮
মৃত্যু
৭০৬

লকডাউন যতো গর্জেছে, চট্টগ্রামে ততো বর্ষেনি— ভোর থেকে রাত ঢিলেঢালা অনেকটাই

মূল সড়ক প্রায় ফাঁকা থাকলেও অলি-গলি জমজমাট

0

করোনার সংক্রমণ রোধে দেশব্যাপী এক সপ্তাহের ‘লকডাউনের’ প্রথম দিনে চট্টগ্রামের রাস্তায় পণ্যবাহী গাড়ি ও রিকশার আধিপত্য ছিল প্রবলভাবে। এর বাইরে উল্লেখযোগ্যসংখ্যক মোটর সাইকেলের সাথে মাঝে মাঝে নজরে পড়েছে অল্পস্বল্প প্রাইভেটকার ও মাইক্রোবাসও। তবে রাস্তার মোড়ে মোড়ে কিংবা অলিগলির মুখে বরাবরই ছিল মানুষের ছোট বড় জটলা ও আড্ডা। এসব জমায়েতে যেমন ছিল ঘরমুখো কর্মজীবী মানুষের জটলা, তেমনি কম ছিল না লকডাউন দেখার আগ্রহ নিয়ে বের হওয়া উৎসুক মানুষের সংখ্যাও।

বৃহস্পতিবার (১ জুন) সকাল থেকে নগরের মূল সড়ক প্রায় ফাঁকা থাকলেও অলি-গলি ছিল নারী-পুরুষের পদচারণায় জমজমাট। নগরীর বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক ঘুরে দেখা গেছে রিক্সার পাশাপাশি মোটরসাইকেলের আধিক্য। এর বেশিরভাগই ছিল যাত্রীবাহী। মোটরসাইকেলে চালক ছাড়া কোনো যাত্রী বহনে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের (সিএমপি) নিষেধাজ্ঞা থাকলেও সেটি খুব একটা মানতে দেখা যায়নি।

কেমন ছিল প্রথম দিনের লকডাউন— এমন প্রশ্নের জবাবে জীবন নামে একজন রিকশাচালক চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘রিক্সা আর বাইক ছাড়া অন্য কোন গাড়ি তেমন নাই। যা বাইক রাস্তায় আছে এর অর্ধেক যাত্রী আনা-নেওয়া করছে। সারাদিনে অল্পস্বল্প প্রাইভেটকার আর মাইক্রোবাস ছিল রাস্তায়। মোটামুটি ভালই গেছে প্রথমদিন।’

লকডাউন যতো গর্জেছে, চট্টগ্রামে ততো বর্ষেনি— ভোর থেকে রাত ঢিলেঢালা অনেকটাই 1

লকডাউনের প্রথম দিনে মহাসড়কে যানচলাচলের এমন চিত্রের পাশাপাশি প্রায় সব মোড়েই ছিল কমবেশি মানুষের ভীড়। এর বেশিরভাগেরই ছিল অফিসফেরত মানুষ। নগরীর আগ্রাবাদ, দেওয়ানহাট, বড়পুল ও বিশ্বরোড মোড় ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে।

Din Mohammed Convention Hall

এই যখন ছিল মূল সড়কগুলোতে লকডাউনের অবস্থা, তখন অলিগলিতে ছিল একদমই ভিন্ন চিত্র। প্রায় সব গলির মুখেই ছিল ছোট ছোট জটলা। পাশাপাশি গলির ভেতর চায়ের দোকানের আড্ডাও ছিল বরাবরের মতই।

লকডাউন কার্যকরে বৃহস্পতিবার ভোর থেকে চট্টগ্রাম নগরের বিভিন্ন জায়গায় অবস্থান নিয়েছিল সেনাবাহিনী। নগরের বিভিন্ন প্রবেশপথে অবস্থান নিয়ে তাদের তল্লাশিও চালাতে দেখা গেছে। এর পাশাপাশি র‍্যাব, বিজিবি, পুলিশসহ ১২ জন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাঠে সরব ছিলেন সারাদিন।

তবে শেষপর্যন্ত এত আয়োজন, কড়াকড়ি ও হুঁশিয়ারির পরও ভয়-ভীতি উপেক্ষা করে সাধারণ মানুষ বাইরে বেরিয়ে আসছে। কোনো কোনো জায়গায় এর মাশুলও গুণতে হয়েছে।

লকডাউনে অযথা বের হওয়ায় বৃহস্পতিবার নগরের ২১ জনকে জরিমানা ও ৫ গাড়ি জব্দ করেছে পুলিশ। এছাড়া সরকারি অ্যাম্বুলেন্সে যাত্রী পরিবহনের দায়ে জরিমানা করেছেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট।

এআরটি/সিপি

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm