ঢাকায় শিক্ষক হত্যা ও সংখ্যালঘু শিক্ষককে লাঞ্ছিত করার প্রতিবাদে চট্টগ্রাম নগরীর চেরাগি পাহাড় মোড়ে মানববন্ধন করে ক্ষোভ জানিয়েছেন সংস্কৃতিকর্মী ও সচেতন নাগরিক সমাজ। মানববন্ধনে সাম্প্রদায়িক বর্বরতার অবসান এবং দোষীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়।
বুধবার (২৯ জুন) নগরীর চেরাগির মোড়ে এই মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়।
এর আগে গত ২৭ জুন এক শিক্ষার্থীর আঘাতে সাভারের আশুলিয়ায় কলেজ শিক্ষক উৎপল কুমার সরকার মারা যান। এছাড়াও সারাদেশে সংখ্যালঘু শিক্ষকদের লাঞ্ছিত করা হচ্ছে। এসব ঘটনার প্রতিবাদে দোষীদের শাস্তির দাবি জানানো হয় মানববন্ধনে।
মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন কবি ও সাংবাদিক আবুল মোমেন, কবি ও অনুবাদক আলম খোরশেদ, অধ্যক্ষ ড. আনোয়ারা আলম, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মফিজুর রহমান, কবি কামরুল হাসান বাদল, আবৃত্তিশিল্পী ও সংস্কৃতি সংগঠক রাশেদ হাসান, অধ্যাপিকা শীলা দাশগুপ্ত।
মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, আমাদের নতুন প্রজন্মকে ধর্মান্ধতা থেকে বের করে পরমত সহিষ্ণু, অসাম্প্রদায়িক ও মুক্তচিন্তা-ধারায় উদ্বুদ্ধ করতে হবে। যাতে তারা আদর্শ জীবন গঠনসহ দেশ ও জাতির উন্নয়নে অবদান রাখতে পারে। এক্ষেত্রে শিক্ষক, অভিভাবক ও শিক্ষার্থী—সবাইকে ভূমিকা রাখতে।
এ সময় বক্তারা আরও বলেন, হিন্দু সম্পত্তি গ্রাস ও ভারতের দিকে ঠেলে দেওয়ার জন্য নির্যাতন করা হয়। ১৯৭৫-এর পর মৌলবাদীদের রাজনীতি করার অধিকার দেওয়া হয়েছিল। এরপর সমাজে বড় পরিবর্তন ঘটেছে। সাম্প্রদায়িক চেতনা, ধর্মান্ধতা এগুলো বিস্তার লাভ করেছে। ধর্মভিত্তিক দলগুলো সমাজে জোট তৈরি করছে। আমরা এটাও দেখছি- ধর্মনিরপেক্ষ, প্রগতিশীলদের পাশাপাশি ধর্মান্ধদের নিয়েও সমন্বয় করার চেষ্টা করছে। আমাদের পরিষ্কার করে বলে দিতে হবে- এটি বাংলাদেশ, এখানে এটি চলবে না। এই আপস ১৯৭১ সালে হয়নি। আজ হয়তো আমাদের এই আয়োজন ক্ষুদ্র। এই আয়োজন অচিরেই বড় হবে। মানুষের মধ্যে যেমন পুঁজিবাদী চেতনা জেগেছে তেমনি কিশোর সমাজের অবক্ষয়, যাতে অভিভাবকদের মনে বড় রকমের দুশ্চিন্তা সৃষ্টি করেছে।
বিএস/ডিজে