‘মুছে যাক গ্লানি, ঘুচে যাক জরা, অগ্নিস্নানে শুচি হোক ধরা’ শিরোনামে বোধন আবৃত্তি পরিষদ চট্টগ্রামের ফেইসবুক পেইজ থেকে “বোধন বর্ষবরণ ১৪২৮” অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বুধবার (১৪ এপ্রিল) সকাল ৯টায় আবৃত্তিশিল্পী প্রশান্ত চক্রবর্তীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের শুরুতে নববর্ষ আবাহন করেন বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ও অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়।
তিনি কবিগুরুর ‘এসো হে বৈশাখ’-এর পংক্তিমালা উল্লেখ করে বলেন, ‘নববর্ষ সমাজের সকল অসঙ্গতি কাটিয়ে নতুনভাবে সমাজকে এগিয়ে নিয়ে যায়।’
কথামালায় অংশ নিয়ে একুশে পদকপ্রাপ্ত সাংবাদিক ও কবি আবুল মোমেন বলেন, করোনার কারণে উৎসবের বিপরীতমুখী বাস্তবতা তৈরি হয়েছে। এই বাস্তবতায় আমাদের উৎসবের বার্তা নতুন করে শোনাতে হবে। আমাদের সুন্দর, সুশৃংখল, যথাযথ জীবনযাপন আমাদের উৎসবকে যথাযথ আঙ্গিকে পালন করতে সাহায্য করবে।
আবৃত্তি শিল্পে সকলকে সম্পৃক্ত করার জন্য বোধনকে ধন্যবাদ জানান একুশে পদকপ্রাপ্ত বরেণ্য আবৃত্তিশিল্পী ড. ভাস্বর বন্দোপাধ্যায়। তিনি ভারতের বিভিন্ন রাজ্যে এবং চীনে নববর্ষ কিভাবে ও কি নামে পালিত হয় তার উপর আলোকপাত করেন।
তিনি বলেন, লকডাউন, রমজান মাস আজকে থেকে শুরু। এর মধ্যেও কিন্তু যতটুকু পারা যায় সকল ধর্ম বর্ণ নির্বিশেষে ভার্চুয়াল মাধ্যমে হলেও আমরা প্রাণের উৎসব পালন করছি।
নাট্যকলায় একুশে পদকপ্রাপ্ত নাট্যজন আহমেদ ইকবাল হায়দার বলেন, আমি যদি বাইরে যেতে না পারি, মানুষের কাছে যেতে না পারি, ছোঁয়া না পাই, গাছের নিচে বসে গান শুনতে না পারি তাহলে ওই উপলব্ধিটি থাকে না। প্রকৃতি আমাদের শিক্ষা দেয় যে, আমাদের ঘুরে দাঁড়াতে হবে। মহামারি কেটে যাক, আবার মানুষ উঠে দাঁড়াক।
অনুষ্ঠানের সভাপতিত্ব করেন বোধনের সভাপতি আবদুল হালিম দোভাষ। তিনি শৈশবের বর্ষবরণের স্মৃতিচারণ করে বলেন, করোনার কারণে আমরা বর্ষবরণে যেতে পারছি না, কিন্তু আমাদের প্রাণ তো থেমে নেই, আমাদের আকাঙ্ক্ষা থেমে নেই। তাই অন্তত অনলাইনে প্রাণের বন্ধুদের সাথে দেখা করার প্রয়াস বোধন নিয়েছে।
অনুষ্ঠানে কবিতা পাঠ করেন কবি এজাজ ইউসুফী এবং কবি সুব্রত চৌধুরী। আবৃত্তি পরিবেশন করেন আবৃত্তিশিল্পী ড. অমিতাভ কাঞ্জিলাল (ভারত), শিমুল নন্দী, মৌমিতা চৌধুরী। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী পপলি চক্রবর্তী, মন্দিরা চৌধুরী এবং মধুলিকা মন্ডল। নৃত্য পরিবেশন করে ওডিসি এন্ড টেগোর ডান্স মুভমেন্ট সেন্টার এবং নটরাজ নৃত্যাঙ্গন একাডেমি।
এসএ