হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট রানা দাশ গুপ্ত বলেছেন, ‘সাতকানিয়ার কেঁওচিয়ার চণ্ডী বৈদ্যের বাড়ির আসন ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় ছাত্রলীগ নেতা জড়িত। তারা ঘটনার আগে এলাকায় গিয়ে হুমকি ধমকি দিয়ে দোকান-পাট বন্ধ করার নির্দেশ দেয়। মোটরসাইকেলের বহর নিয়ে পুরো এলাকায় মহড়া দিয়ে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
শুক্রবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) বিকালে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী চণ্ডী বৈদ্যের বাড়ির আসন ঘর পুড়িয়ে দেওয়ার ঘটনায় সাতকানিয়া হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত প্রতিবাদ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
রানা দাশ গুপ্ত বলেন, ‘এসব ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের টর্চলাইটের আলো ফেলে চিহ্নিত করতে হবে না। এলাকার সবাই তাদের চেনে। তারা দিনের বেলায় জয় বাংলা বলে জায়গা দখল করে, রাতের বেলায় সংখ্যালঘুদের বসত ঘরে আগুন দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘চণ্ডী বৈদ্য বাড়ির আসন ঘরে অগ্নিসংযোগকারীরা আপনাদের অনেকের সঙ্গে রাজনীতি করে। তারা খন্দকার মোস্তাক ও মেজর ডালিমের অনুসারী। তারা আপনাদের ভেতরে থেকেই এসব কর্মকাণ্ড চালাচ্ছে। প্রশাসনকে অনুরোধ করব ঘটনাস্থল থেকে পেট্রোল-অকটেনের বোতল উদ্ধার করলে হবে না, জড়িতদেরও গ্রেপ্তার করুন। তাদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করতে হবে।’
সাতকানিয়া উপজেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট প্রদীপ কুমার চৌধুরী সভাপতিত্বে ও সহসভাপতি কাঞ্চন আচার্য্যের সংঞ্চালনায় প্রতিবাদ সভায় বক্তব্য রাখেন চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তাপস হোড়, সাতকানিয়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অ্যাডভোকেট আহমদ সাইফুদ্দিন ছিদ্দিকী, শেখর দত্ত, তাপস কান্তি দে, চেয়ারম্যান ওচমান আলী, মাষ্টার মো. ইউনুচ, সুজন কান্তি প্রমুখ।
উল্লেখ্য, গত ১০ ফেব্রুয়ারি রাত দেড়টার দিকে উপজেলার কেঁওচিয়া ইউনিয়নের তেমুহনী চণ্ডী বৈদ্যের বাড়িতে দুর্বৃত্তরা আগুন দিয়ে একটি আসন ঘর (রোগীদের চিকিৎসা দেওয়া হয়) পুড়িয়ে দেয়।
ডিজে