চট্টগ্রামে গ্যাসের ১ লাখ প্রিপেইড মিটার যারা পাবেন, যেভাবে পাবেন (ভিডিও)

1

আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে চট্টগ্রামে গ্যাসের নতুন প্রিপেইড মিটার দেওয়া শুরু হয়েছে। চট্টগ্রাম নগরীর ১৫ থানা এলাকা ছাড়াও চট্টগ্রামের আট উপজেলার ১ লাখ গ্রাহক এই প্রিপেইড মিটার পাবেন। এজন্য আবেদন করতে হবে অনলাইনে। যার আবেদন আগে জমা পড়বে, তাকে আগে দেওয়া হবে এই মিটার।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) থেকে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি লিমিটেডের (কেজিডিসিএল) ওয়েবসাইটে গ্যাসের নতুন প্রিপেইড মিটারের জন্য আবেদন জমা নেওয়া হচ্ছে।

প্রিপেইড মিটার পাবেন যেসব এলাকার গ্রাহকরা

যেসব এলাকার গ্রাহকরা প্রিপেইড মিটার পাবেন, তার মধ্যে রয়েছে চট্টগ্রাম নগরীর সদরঘাট, বায়েজিদ, চান্দগাঁও, পাঁচলাইশ, চকবাজার, হালিশহর, পাহাড়তলী, খুলশী, ইপিজেড, বাকলিয়া, কোতোয়ালী, ডবলমুরিং, বন্দর, পতেঙ্গা, আকবরশাহ এলাকা। অন্যদিকে চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ উপজেলার গ্রাহকরা এই প্রিপেইড মিটার নেওয়ার জন্য আবেদন করতে পারবেন। সবমিলিয়ে এক লাখ গ্রাহককে এই প্রিপেইড মিটার দেওয়ার লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেছে কর্ণফুলী গ্যাস।

আবেদনের আগে জানা দরকার

  • কেজিডিসিএলের সকল অনলাইন রেজিস্ট্রেশনকৃত আবাসিক গ্রাহক প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য আবেদনের আগে গ্রাহকের সকল বকেয়া বিল হালনাগাদ পরিশােধ থাকতে হবে।
  • যে সকল গ্রাহকের প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য গ্রাহকের রান্নাঘর পর্যন্ত পৃথক পৃথক জিআই লাইন রয়েছে, সেসব গ্রাহক প্রিপেইড মিটার স্থাপনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।
  • প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আগে গ্রাহকের সরঞ্জামের অভ্যন্তরীণ জিআই লাইনে কোনো লিকেজ দেখা গেলে গ্রাহককে কেজিডিসিএল অনুমােদিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্য থেকে যেকোনো ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে লিকেজ মেরামত করে নিতে হবে।

  • গ্রাহকের রান্নাঘরে পর্যাপ্ত পরিমাণে ভেন্টিলেশনের ব্যবস্থা থাকতে হবে।

আবেদন করতে হবে যেভাবে

  • প্রথমে কেজিডিসিএলের পাের্টালে (https://prepaid.kgdcl.gov.bd/) ব্যবহারকারীর নাম, মােবাইল নম্বর ও পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।
  • অনলাইনে নিবন্ধন সম্পন্ন হয়ে গেলে ব্যবহারকারীর মােবাইল নম্বর/ই-মেইল এবং পাসওয়ার্ড এর মাধ্যমে পাের্টালে লগ ইন করতে হবে।
  • লগ ইন করার পর ড্যাশবাের্ড পেইজের আবেদন ফর্ম বাটনে ক্লিক করতে হবে।
  • আবেদন ফর্মে গ্রাহক সংকেত ও মােবাইল নম্বর যাচাইপূর্বক অন্যান্য তথ্যাদি পর্যায়ক্রমে পূরণ করতে হবে।
  • প্রয়ােজনীয় তথ্যাদির (যেমন- সর্বশেষ বিল পরিশোধের কপি, গ্রাহকের জাতীয় পরিচয় পত্র, নকশা, সরঞ্জাম ইত্যাদি) স্ক্যান কপি (পিডিএফ ফাইল) আপলােড করা যাবে।
  • একাধিক স্ক্যান কপি হলে তা .zip আকারে আপলােড করা যাবে।

যেসব তথ্য জেনে রাখা দরকার

  • প্রিপেইড মিটার গ্রহণের ক্ষেত্রে গ্রাহককে কোন ধরণের ফি প্রদান করতে হয় না।
  • বর্তমান প্রকল্পের আওতায় মিটার স্থাপনের জন্য গ্রাহককে পৃথকভাবে কোন প্রিপেইড মিটার কিনতে হবে না। কেজিডিসিএল প্রকল্পের আওতায় ক্রয়কৃত মিটার গ্রাহক আঙিনায় স্থাপন করা হবে।
  • যে সকল গ্রাহকের প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য রাইজারের ঠিক পর হতে রান্নাঘর পর্যন্ত পৃথক পৃথক জি আই লাইন ব্যবহারযোগ্য অবস্থায় বিদ্যমান রয়েছে সে সকল গ্রাহকের জন্য আবেদন প্রদান যথেষ্ট হবে। যে সকল গ্রাহকের প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য পৃথক পৃথক জি আই লাইন রান্নাঘর পর্যন্ত বিদ্যমান নেই, সে সকল গ্রাহককে যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেজিডিসিএল অনুমোদিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে যেকোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে প্রতিটি সরঞ্জামের জন্য রাইজারের ঠিক পর হতে পৃথক পৃথক জি আই লাইন নিজ ব্যবস্থায় নির্মাণ করতে হবে। এছাড়া মিটার স্থাপনের সময়ে বা পরবর্তীতে গ্রাহকের অভ্যন্তরীণ জি আই লাইনে কোন লিকেজ পরিলক্ষিত হলে গ্রাহক যথাযথ প্রক্রিয়ায় কেজিডিসিএল অনুমোদিত ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্য থেকে যেকোন ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিজ ব্যবস্থায় লিকেজ মেরামত করবেন।
  • প্রিপেইড মিটারের ব্যালেন্স শেষ হয়ে গেলে গ্রাহকবৃন্দ রিচার্জ ব্যতিরেকে মিটার হতে একটি নির্দিষ্ট পরিমাণ ইমার্জেন্সি ব্যালেন্স গ্রহণের সুযোগ পাবেন, যা পরবর্তী রিচার্জের সাথে সমন্বয় করা হবে।
  • প্রিপেইড মিটারের মাধ্যমে অনুমোদনের অতিরিক্ত কোন সরঞ্জামে গ্যাস ব্যবহার করা সম্পূর্ণরূপে অবৈধ। গ্রাহক কর্তৃক এরূপ কোন কার্যক্রম সম্পাদিত হলে তার বিরুদ্ধে কোম্পানির প্রচলিত নিয়ম/আইন মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
  • প্রিপেইড মিটার স্থাপনের আবেদনের ক্ষেত্রে আগে কোন বকেয়া বিল থাকলে তা পরিশোধ করতে হবে। পোস্ট-পেইড/ফ্লাটরেট ব্যবস্থায় সর্বশেষ পরিশোধিত বিল হতে প্রিমিটার চালু করার ঠিক পূর্ববর্তী সময়ের ভগ্নাংশ বিল গ্রাহকগণকে নিজ ব্যবস্থায় কেজিডিসিএল এর সংশ্লিষ্ট রাজস্ব ডিপার্টমেন্ট থেকে সংগ্রহ করে পরিশোধ করতে হবে। পোস্ট-পেইড/ফ্লাটরেট ব্যবস্থায় পরিশোধযোগ্য বিল নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পরিশোধে ব্যর্থ হলে কোম্পানির প্রচলিত নিয়ম/আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

1 মন্তব্য
  1. রিয়াদ বলেছেন

    ওয়েবসাইটে শুধু মাত্র চট্টগ্রাম শহরের থানাগুলো লিস্টে আছে, চট্টগ্রাম জেলার হাটহাজারী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই, কর্ণফুলী, আনোয়ারা, পটিয়া, বোয়ালখালী ও চন্দনাইশ উপজেলার নাম ওয়েবসাইট এর আবেদনের তালিকায় নেই।

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm