চকলেটের লোভ দেখিয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে চাচার বিরুদ্ধে। চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় এই অভিযোগে এক যুবককে গ্রেফতারও করেছে লোহাগাড়া থানা পুলিশ।
ধর্ষণের অভিযোগে অভিযুক্ত মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম ভিকটিমের সম্পর্কে চাচা হয়। লোহাগাড়া থানার চুনতি ইউনিয়নের পানত্রিশা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় ৮ নভেম্বর (সোমবার) থানায় মামলা দায়ের করেন ভিকটিমের মা। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে গভীর রাতে মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর (৩০) নামের অভিযুক্ত যুবককে গ্রেফতার করে লোহাগাড়া থানা।
মুহাম্মদ জাহাঙ্গীর উপজেলার চুনতি ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের ভ্রম্মণ পাড়ার মৃত শফিকুর রহমানের পুত্র।
লোহাগাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাকের হোসাইন মাহমুদ বলেন, ‘উপজেলার একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে চতুর্থ শ্রেণিতে পড়ুয়া এক ছাত্রীর মা মামলা করেন। মামলায় অভিযুক্ত আসামি জাহাঙ্গীরকে গ্রেফতার করতে পুলিশের একটি টিম চুনতি পানত্রিশা এলাকায় গেলে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে আসামি তার বাড়ির পাশের ধান ক্ষেতে লুকিয়ে পড়ে। পরে ধানক্ষেত থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।’
ভিকটিমের মা চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘আমার মেয়ে উপজেলার আধুনগর এলাকায় আমার এক আত্নীয়ের বাড়িতে থেকে প্রাইমারি স্কুলে পড়াশুনা করে। কিছুদিন আগে বাড়িতে বেড়াতে আসে। ৩ নভেম্বর বুধবার বিকেল ৪টার দিকে বাড়ির সামনে উঠানে আমার আরেক মেয়েকে নিয়ে তারা দুই বোন খেলা করছিল। কোনো একসময় আমার মেয়েকে চকলেটের প্রলোভন দেখিয়ে আমার চাচাত দেবর জাহাঙ্গীর তার ঘরে নিয়ে গিয়ে জোরপুর্বক ধর্ষণ করে। জাহাঙ্গীর এই ঘটনা কাউকে না জানাতে বলে। মেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়লে ২ দিন পর ৫ নভেম্বর আামকে ঘটনা খুলে বলে। তখন তাকে নিয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। এরপর কর্তব্যরত চিকিৎসক তার অবস্থা আশঙ্কাজনক দেখে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসেস সেন্টারে প্রেরণ করেন। বর্তমানে আমার মেয়ে সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছে।’
এমএফও