হাইকোর্টও জানালেন, চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নাম বদলানো যাবে না
কোর্ট হিলের খোলা জায়গায়ও কাজে বাধা দেওয়া যাবে না
চট্টগ্রামের পুরাতন আদালত ভবনের নাম পরিবর্তন করে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় নাম ব্যবহারের ওপর নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে আদালত ভবনের সামনের উন্মুক্ত স্থানে জনগণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রোববার (৬ মার্চ) বিচারপতি মামনুন রহমান ও বিচারপতি খোন্দকার দিলীরুজ্জামানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এ এফ হাসান আরিফ, মুরাদ রেজা, আবদুস সালাম মামুন।
এর আগে চট্টগ্রামের ঐতিহাসিক পুরাতন আদালত ভবনের নাম পরিবর্তনে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে চট্টগ্রাম বার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়াউদ্দিনের পক্ষে আইনজীবী রতন কুমার রায় ও ফারজানা সুলতানা সাথী হাইকোর্টে রিট দায়ের করেন।
গত ৮ ফেব্রুয়ারি চট্টগ্রামের কোর্ট হিলের খোলা জায়গায় কাজে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি না করতে এবং আদালত ভবনের নাম পরিবর্তন না করতে জেলা প্রশাসকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছে আইনি নোটিশ পাঠায় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতি। নোটিশের পরও কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ না করায় হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়।
গত বেশ কিছুদিন ধরে চট্টগ্রাম আদালত ভবনের নাম নিয়ে শুরু হয়েছে নতুন বিতর্ক। জেলা প্রশাসন বলছে, ব্রিটিশ আমলের ‘পরীর পাহাড়’ সংরক্ষণে কাজ করছে সরকার। অন্যদিকে আইনজীবীরা বলছেন, পাহাড়ে আদালত ভবন নির্মাণ করেছে ব্রিটিশরাই। আর এর নাম ‘কোর্ট হিল’। এদিকে কোর্ট হিলে গড়ে ওঠা আদালত ভবন এবং বিভিন্ন স্থাপনা নিয়েও মুখোমুখি অবস্থানে দাঁড়িয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসন ও আইনজীবী সমিতি। আইনজীবীদের দাবি, আইন মেনেই এসব স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে। অন্যদিকে জেলা প্রশাসন দাবি করছে, অতিরিক্ত স্থাপনা নির্মাণের কারণে পুরো পাহাড়টিই এখন ঝুঁকির মধ্যে।
সিপি