রোববার থেকেই নিখোঁজ থাকা হেফাজতে ইসলামের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে অবশেষে সোমবার (১২ এপ্রিল) আনুষ্ঠানিকভাবে গ্রেপ্তার করার কথা স্বীকার করলো ঢাকার গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। হেফাজতে ইসলামের শীর্ষ সারির কোনো নেতার গ্রেপ্তার হওয়ার ঘটনা এটিই প্রথম।
সোমবার আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে আদালতে পাঠানোর পর পুলিশ ১০ দিনের জন্য রিমান্ড চায়। তবে আদালত সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এর আগে রোববার হেফাজতে ইসলামের প্রচার সম্পাদক জাকারিয়া নোমান ফয়েজী ও সহকারি প্রচার সম্পাদক এনামুল হাসান ফারুকী দাবি করেছিলেন, আজিজুল হক ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের হাটহাজারী বাসস্ট্যান্ডে গাড়ির অপেক্ষায় ছিলেন। এরপর থেকে তার আর খোঁজ মিলছিল না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) উপকমিশনার (ডিসি) আসাদুজ্জামান রিপন সোমবার জানিয়েছেন, রোববার সন্ধ্যায় আজিজুল হক ইসলামাবাদীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সোমবার তাকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এদিকে চট্টগ্রামে আজিজুল হক ইসলামাবাদীর পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, রোববার (১১ এপ্রিল) বৈঠক শেষে শহরের দিকে আসার পথে সন্ধ্যা সাতটা পর্যন্ত তার সাথে পরিবারের লোকজনের সাথে মোবাইলে যোগাযোগ হয়। তবে রাত ৮ টার দিকে তার মোবাইল বন্ধ পাওয়ায় আর যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। পরে তার পরিবার হেফাজত নেতা ও আত্মীয়স্বজনের কাছে তার খোঁজ করলেও কোনো সন্ধান পাননি।
আজিজুল হকের ছোট ভাই মুহাম্মদ ইরফানুল হক জানান, রোববার হাটহাজারী মাদ্রাসায় হেফাজতের বৈঠক শেষে মাগরিবের নামাজ পড়ে আমার মাওলানা আজিজুল হক ইসলামাবাদী চট্টগ্রামের চকবাজারের বাসার উদ্দেশে রওনা দেন। সন্ধ্যা ৭টায় আমার ভাইয়ের সাথে পরিবারের সদস্যদের যোগাযোগ হয়। তবে রাত ৮টার দিকে যোগাযোগ করা হলে তার ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়। সারারাত মোবাইল ফোন বন্ধ ছিল। সম্ভাব্য সব স্থানে খোঁজ নিয়েও তার কোনো সন্ধান পায়নি পরিবার। সোমবার ভোর ৪টা থেকে ইসলামাবাদীর বন্ধ থাকা মোবাইল সচল হলেও ফোন রিসিভ হয়নি।
সংগঠনটির কেন্দ্রীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মাওলানা মীর ইদ্রিস বলেন, হাটহাজারী মাদ্রাসায় বৈঠক শেষে বাস স্টেশন থেকে আরেক সঙ্গীসহ শহরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন মাওলানা আজিজুল হক। এর ওর থেকে তাদের কোন খোঁজ মেলেনি। আমরা গভীর রাত পর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সাথে যোগাযোগ করেও তার কোন খোঁজ পাইনি।
সিএম/সিপি