s alam cement
আক্রান্ত
১০২৪১৫
সুস্থ
৮৬৮৫৬
মৃত্যু
১৩৩১

অপরাধ ঠেকাতে চট্টগ্রামের সিএনজি অটোরিকশা আসছে সিএমপির কব্জায়

0

সিএনজি চালিত অটোরিকশার মাধ্যমে সংঘটিত হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধ। এই অপরাধ ভাবাচ্ছে পুলিশকে। এসব অপরাধ ঠেকাতে এবার প্রযুক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে পুলিশ। অপরাধের ধরণ উদঘাটন ও নিয়ন্ত্রণ করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) অ্যাপস ‘হ্যালো সিএমপি’কে আরও কার্যকর করছে। এই অ্যাপসের মাধ্যমে যাত্রী সুরক্ষা নিশ্চিত করতে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে একটি প্রকল্প হাতে নিয়েছে এই আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। পুলিশ বলছে, যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই এই প্রযুক্তির ব্যবহার কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।

সিএমপির ট্রাফিক বিভাগ উত্তরের উপ কমিশনার জয়নুল আবেদীন চট্টগ্রাম প্রতিদিনকে বলেন, ‘সিএনজি অটোরিকশার মালিক ও চালকদের একটি ডাটাবেজের আওতায় আনতে এই প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সিএমপি’র মাননীয় কমিশনার মহোদয়ের নির্দেশনায় দুই দিন ধরে চট্টগ্রাম নগরীর মোট ৮টি বুথে সিএনজি চালকেরা তাদের ডাটা দিতে পারবেন। পর্যায়ক্রমে সকল সিএনজি এই ডাটাবেজের আওয়তায় আসবে। এই প্রকল্পের অধীনে সিএনজি অটোরিকশার ভেতর একটি কিউআর কোড থাকবে। যাত্রী বা চালকের হাতে থাকা মোবাইলে হ্যালো সিএমপি অ্যাপসটি ডাউনলোড করা থাকলে এই কিউআর কোড স্ক্যান করলে চালক ও মালিকের সকল তথ্য যাত্রীরা পেয়ে যাবেন। এতে নিরাপত্তা নিশ্চিত করা সহজ হবে।’

তিনি আরও বলেন, ‘স্মার্টফোন না থাকলে গাড়ি সাটানো থাকা নিউম্যারিক কোড সিএমপি’র নির্ধারিত নম্বরে পাঠালে করলে একটি ফিরতি এসএমএস পাবে। এই এসএমএসে চালক ও মালিকের সব তথ্য জানানো হবে।’

জানা গেছে, সিএনজি চালিত অটোরিকশাকে সব ধরনের যাত্রীদের পাশাপাশি নারী ও শিশুদের জন্য একটি নিরাপদ বাহন হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করতে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ (সিএমপি) ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ নামে এই উদ্যোগ গ্রহণ করেছে।

‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ এই উদ্যোগের আওতায় মহানগরী এলাকায় চলাচলরত বৈধ কাগজ সম্বলিত সকল সিএনজি চালিত অটোরিকশার মালিক ও ড্রাইভারদের নির্দিষ্ট ফরম পূরণের মাধ্যমে ভেরিফাইড করা হবে। মালিক ও ড্রাইভারদের সব তথ্য পুলিশ সার্ভারে জমা রেখে প্রত্যেককে একটি আলাদা কিউআর কোড ও নিউম্যারিক আইডি কার্ড দেওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা এই আইডি অথবা কিউআর কোডটি স্ক্যান করে ড্রাইভার ও মালিক সম্পর্কিত সকল তথ্য জানতে পারবেন। আর এডভান্স লেভেলের ভেরিফাই করার জন্য যাত্রীর স্মার্টফোনে ‘হ্যালো সিএমপি’ অ্যাপসটি ইন্সটল করতে হবে।

যাত্রীরা যদি অটোরিকশায় প্রিন্টেড কপিটি ঝুলানো দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন যে গাড়িটি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড। প্রিন্টেড কপিতে থাকা কিউআর কোডটি হ্যালো সিএমপি অ্যাপে স্ক্যান করলেই ড্রাইভার অথবা মালিক যদি সিএমপি কর্তৃক ভেরিফাইড হয় তাহলে তিনি তার স্মার্টফোনে মালিক ও ড্রাইভারের ছবি সম্বলিত তথ্য দেখতে পাবেন। যাদের স্মার্টফোন থাকবে না তারা চাইলেই তাদের ফিচার ফোন থেকে প্রিন্টেড কপিতে থাকা নিউম্যারিক কোডটি সিএমপি নির্ধারিত নম্বরে প্রেরণ করলে ফিরতি বার্তায় ড্রাইভার ও মালিক ভেরিফাইড কি-না তা জানানো হবে।

এদিকে রোববার (১২ ডিসেম্বর) জিইসির মোড়ে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ প্রকল্পের চলমান নিবন্ধন কার্যক্রম পরিদর্শন করেন সিএমপি কমিশনার সালেহ মোহাম্মদ তানভীর।

এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘বিভিন্ন সময় সাধারণ যাত্রীরা তাদের অনেক মূল্যবান সামগ্রী সিএনজিচালিত অটোরিকশায় ফেলে আসেন। যাত্রীরা যদি নিউমারিক আইডিটি অথবা কিউআর কোড স্ক্যান করে রাখেন পরবর্তীতে সহজেই সিএনজি চালিত অটোরিকশাটিকে খুঁজে পাওয়া সম্ভব হবে। সিএনজি মালিক তাঁর গাড়ি যেকোনো চালককে দেওয়ার আগে সহজেই চালকের ভেরিফিকেশন কার্ড দেখে চালক সম্পর্কে নিশ্চিত হতে পারবেন। একজন সিএনজি চালক ভেরিফাইড থাকলে যাত্রী ও গাড়ির মালিকের কাছে চালক সম্পর্কে ইতিবাচক ধারণা তৈরি হবে।’

যেভাবে রেজিস্ট্রেশন করবে চালক ও মালিকরা

‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ কার্যক্রমে নিবন্ধিত হওয়ার জন্য গাড়ির মালিকদের এনআইডি, গাড়ির রেজিস্ট্রেশন সার্টিফিকেট, গাড়ির ফিটনেস সার্টিফিকেট, গাড়ির ট্যাক্স-টোকেন ও রুট পারমিট লাগবে। আর চালকের জন্য ড্রাইভিং লাইসেন্স ও জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) লাগবে।

প্রাথমিকভাবে নগরীর টাইগারপাস, নিউ মার্কেট, বহাদ্দারহাট, জিইসি মোড়, বাদমতলী, অলংকার, মইজ্জারটেক ও সিমেন্ট ক্রসিং ট্রাফিক পুলিশ বক্সে স্থাপিত বুথের মাধ্যমে সিএনজি চালিত অটোরিকশা মালিক ও চালকের নিবন্ধন সম্পন্ন করতে হবে।

নিবন্ধনের তথ্য সিএমপি সার্ভারে জমা হওয়ার পর সার্ভার থেকে অটোমেটিক মালিক ও চালকের জন্য আলাদা আলাদা একটি ইউনিক কিউআর কোড ও নিউম্যারিক আইডি প্রস্তুত হবে।

ওই আইডি ও কিউআর কোড সম্বলিত একটি প্রিন্টেড কপি প্রতিটি গাড়ির মালিক ও চালককে দেওয়া হবে। আইডি ও কিউআর কোড সম্বলিত প্রিন্ট কপিটি গাড়িতে সবসময় এমন স্থানে ঝুলিয়ে রাখবে যাতে যাত্রীদের দৃষ্টিগোচর হয়।

এদিকে চট্টগ্রাম মহানগর এলাকায় অবৈধ সিএনজিচালিত অটোরিকশা বন্ধের দাবি জানিয়েছে চালকরা। তাদের দাবি, মহানগর এলাকায় প্রায় গ্রাম গাড়ি চলতে দেখা যাচ্চে। এই গাড়িগুলোর কারণে তারা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে।

জিইসি মোড়ে ‘আমার গাড়ি নিরাপদ’ প্রকল্পে নিবন্ধন করতে আসা চালক মোস্তাক মিয়া বলেন, ‘আমরা অনেক টাকা দিয়ে মেট্রো এলাকায় গাড়ি চালায়। অথচ অবৈধ গ্রাম গাড়ি শহর এলাকায় ভাড়া মারছে। এ বিষয়ে আমরা কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’

এমএফও

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm