বিটার সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের শান্তিনিকেতনের সঙ্গে তুলনা করে সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ বলেছেন, আমি শান্তিনিকেতনে গিয়েছি। এটি হলো ‘ছোট শান্তিনিকেতন’। সেখানকার মতোই এখানে একাডেমী ভবন, খোলা জায়গায় গাছের নিচে ক্লাসরুম। অসাধারণ, বিটার এই আয়োজন দারুণ।
বুধবার (১০ মার্চ) সকাল ১১টায় পটিয়ায় বাংলাদেশ থিয়েটার ইনস্টিটিউট অব আর্টসের (বিটা) সংস্কৃতি ও উন্নয়ন কেন্দ্রে শ্যাম শেফালী মুক্তমঞ্চ ও আন্তর্জাতিক ভবন উদ্বোধন করতে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, বিটা গত ২৫ বছর ধরে তৃণমূলের মানুষকে সঙ্গে নিয়ে সাংস্কৃতিক উন্নয়ন এবং বাংলার লোকজ ঐতিহ্যগুলোকে বাঁচিয়ে রাখতে কাজ করছে। তারই ধারাবাহিকতায় পটিয়ায় বিটা তৈরি করেছে চট্টগ্রামে আঞ্চলিক গানের কিংবদন্তী শ্যামসুন্দর বৈষ্ণব ও শেফালী ঘোষ স্মরণে শ্যাম শেফালী মুক্তমঞ্চ।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা স্বাধীনতার ৫০ বছরের দ্বারপ্রান্তে দাঁড়িয়ে আছি। এই স্বাধীনতার বীজ রোপণ হয়েছিল ৭ মার্চে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ভাষণের মধ্য দিয়ে। তিনি বাঙালি জাতিকে একটি সার্বভৌম বাংলাদেশ উপহার দিয়েছেন।
এ সময় শ্যাম শেফালী মুক্তমঞ্চসহ বিটার থিয়েটার লাইব্রেরিকে সমৃদ্ধ করতে অনুদান প্রদানের প্রতিশ্রুতিও দেন প্রতিমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে পটিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান মোতাহেরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, আমাদের এই পটিয়া সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে সমৃদ্ধ। এই পটিয়ায় জন্মগ্রহণ করেছেন বীর প্রীতিলতা, শ্যাম-শেফালী। তাই পটিয়ার সাংস্কৃতিক উন্নয়ন অব্যাহত রাখতে আমরা বিটার সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।
এদিন জাতীয় সংগীত গাওয়ার মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা হয়। আলোচনা সভা শেষে বিটার সংস্কৃতি কর্মীদের অংশগ্রহণে পরিবেশিত হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর, জাতির বন্দনায় মুজিব শতবর্ষ’। গান পরিবেশন করেন শেফালী ঘোষের নাতনি চন্দ্রিমা ভৌমিক ও শ্যাম সুন্দর বৈষ্ণবের সন্তান প্রেম সুন্দর বৈষ্ণব।
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন পটিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ফয়সাল আহমেদ, পটিয়া সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার তারিক রহমান, নাট্যব্যক্তিত্ব ম. হামিদ, ইলমার প্রধান নির্বাহী জেসমিন সুলতানা পারু, বিটার কার্যকরী পরিষদের সহসভাপতি আবদুস সালাম আদু প্রমুখ।
এসএ