সিএনজি অটোরিকশা ছিনতাই করতেই হত্যা করা হয় চালক নূর আলমকে। প্রথমে ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিএনজি ভাড়া নেওয়া হয়। পরে তাকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পুলিশের চোখ ফাঁকি দিতে এক জায়গায় হত্যা করে লাশ ফেলা হয় অন্য জায়গায়।
চট্টগ্রামের পটিয়ায় সিএনজি চালক নূর আলম হত্যার ঘটনায় হত্যাকারী মোমিন সরকারকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পটিয়া থানা পুলিশ। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তিনি এসব তথ্য জানান।
মঙ্গলবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে মোমিনকে পটিয়ায় সিনিয়র জুডিশিয়াল বিচারক বিশ্বেশ্বর সিংহের আদালতে হাজির করা হয়। এ সময় পুলিশ এক সপ্তাহের রিমান্ড চাইলে বিচারক তিনদিনের রিমান্ড মন্জুর করেন।
এর আগে সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) গভীর রাতে পটিয়া পৌর এলাকা থেকে মোমিনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি গাইবান্ধা জেলার সাঘাটা থানার ভাটি এলাকার মৃত মোজাম্মেল হক সরকারের ছেলে।
মোমিনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, পটিয়ার একটি গ্যারেজ থেকে ছিনতাই হওয়া সিএনজি গাড়িটি উদ্ধার করা হয়। এরপর সারা রাত তাকে নিয়ে বোয়ালখালী উপজেলার গোমদন্ডী এলাকার মুজাহিদ চৌধুরী পাড়ার সিরাজ কলোনিতে অভিযান চালিয়ে হত্যায় ব্যবহার করা বেশ কিছু আলামত উদ্ধার করে পুলিশ।
এ ব্যাপারে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পটিয়া সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার তারিক রহমান বলেন, সিএনজি চালক নূর আলম হত্যার পর আমরা এ ঘটনায় গুরুত্বপূর্ণ একটা ক্লু নিয়ে কাজ করতে থাকি এবং চারদিনের মাথায় হত্যাকারীকে আটক করেছি। এ ঘটনার সঙ্গে আর কেউ জড়িত আছে কি-না তা রিমান্ডে জানা যাবে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে নূর আলমকে হত্যার কথা স্বীকার করেছে মোমিন। এছাড়া নিহত নূর আলমের ছিনতাই হওয়া সিএনজি উদ্ধার করা হয়েছে।
গ্রেপ্তার মোমিনের বরাত দিয়ে তারিক রহমান আরও বলেন, ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে সিএনজিটি ভাড়া করেছিল হত্যাকারী। এরপর ওই রাতেই নূর আলমকে ছুরিকাঘাত ও শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়। পুলিশকে ফাঁকি দিতে এক জায়গায় হত্যা করে অন্য জায়গায় রাস্তার পাশে লাশটি ফেলে রেখে সিএনজি নিয়ে পালিয়ে যায় হত্যাকারী। এরপর খুনি সিএনজিটি নিজেদের বলে পটিয়ায় একটি সিএনজি গ্যারেজে রাখে।
গত ১১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৯টার দিকে পটিয়ার কর্তলা এলাকায় রাস্তা পাশে সিএনজি চালক নূর আলমের রক্তাক্ত মরদেহ দেখতে পান স্হানীয়রা। পরে পুলিশে খবর দিলে এলাকাবাসীর সহযোগিতায় মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়।
ওইদিন রাতে নূর আলমের স্ত্রী মুন্নি আকতার বাদি হয়ে অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জনকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন।
এক সন্তানের জনক নিহত নূর আলম পটিয়া উপজেলার জিরি ইউনিয়নের ইদির মোল্লার বাড়ির মো. আলীর ছেলে।
ডিজে