চট্টগ্রাম কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে নিখোঁজ কয়েদি ফরহাদ হোসেন রুবেলের পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা আনুষ্ঠানিকভানে সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছে পুলিশ। পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী শনিবার (৬ মার্চ) ভোর ৫ টার দিকে কেন্দ্রীয় কারাগারের পাশের একটি ভবনের ৪ তলা থেকে লাফিয়ে কারাগারের প্রাচীর টপকে পালিয়ে যায় রুবেল।
শুধু তাই নয় পুলিশের বক্তব্য অনুযায়ী ৪ তলা থেকে লাফিয়ে নিচে পরার পর পুরোপুরি অক্ষত অবস্থায় নিজ পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন চলে যায় সে। সেখান থেকে সকাল ১০টার ট্রেন ধরে নরসিংদীতে তার ফুফুর বাড়িতে চলে যায় রুবেল।
মঙ্গলবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় নগরীর কোতোয়ালী থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এ কথা জানিয়েছেন অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ।
কারাগার থেকে পালিয়ে যাওয়ার ৩ দিনের মাথায় রুবেলকে নরসিংদী থেকে গ্রেপ্তারের পর চট্টগ্রাম নিয়ে এসে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ।
উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) পলাশ কান্তি নাথ জানান, ‘রুবেল একজন দুর্ধর্ষ আসামি। সে ৬ মার্চ ভোর পৌনে ৫টায় কারাগারে চতুর্থ তলায় কর্ণফুলী (পানিশমেন্ট) ওয়ার্ড থেকে নেমে পার্শ্ববর্তী নির্মানাধীন ভবনের চার তলায় উঠে। ওই ভবনের ছাদ থেকে সাড়ে ৫টার দিকে লাফ দিয়ে কারাগারের সীমানা প্রাচীরের বাইরে গিয়ে পড়ে। সেখান থেকে সে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে যায়। পরে সকাল ১০টার ট্রেনে নরসিংদীর রায়পুরে তার ফুফুর বাসায় আত্মগোপন করে।’
পলাশ কান্তি নাথ আরো জানান, ‘আসামি রুবেল শারীরিকভাবে সক্ষম একজন ব্যক্তি। তার মনোবল প্রচুর স্ট্রং। চার তলা ভবন থেকে লাফিয়ে পড়ার পর সে নিজেই পায়ে হেঁটে চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে যায়। বর্তমানে সে একটু অসুস্থ। প্রকৃত ঘটনা উদঘাটনে আমরা তার রিমান্ড চাইবো। রিমান্ড শেষে বিস্তারিত জানা যাবে।’
প্রসঙ্গত সদরঘাট থানার এসআরবি রেল গেট এলাকায় আবুল কালাম আবু নামের এক ব্যবসায়ীকে ছুরিকাঘাতে হত্যার ঘটনায় মামলায় হলে রুবেল গত ৬ ফেব্রুয়ারি কারাগারে যান। তার বিরুদ্ধে এর আগেরও ৪ টি অস্ত্র মামলা রয়েছে।
এআরটি/কেএস