গ্রেনেড হামলা দিবসে নগর আওয়ামী লীগের জনসমাবেশ চট্টগ্রামে

0

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেছেন, ‘পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট ট্র্যাজেডির অসম্পূর্ণ মিশন সমাপ্ত করতেই ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট শেখ হাসিনার প্রাণনাশের চেষ্টা করে গ্রেনেড হামলা চালানো হয়েছিল। আল্লাহর রহমতে শেখ হাসিনা প্রাণে বেঁচে গেলেও মহিলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আইভি রহমানসহ ২৪ জন নেতাকর্মীর প্রাণ কেড়ে নেওয়া হয়। শেখ হাসিনাসহ অন্তত তিন শতাধিক নেতাকর্মী আহত হন এবং অনেকেই চিরদিনের জন্যই পঙ্গুত্ব বরণ করেন। হামলার উদ্দেশ্য ছিল—বঙ্গবন্ধুর রক্তের উত্তরাধিকারি নিশ্চিহ্ন করা ও আওয়ামী লীগকে নেতৃত্ব শূন্য করা। তাদের এ উদ্দেশ্য পূর্ণ না হওয়ায় তারা অতৃপ্ত।’

রোববার (২১ আগস্ট) বিকালে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন চত্বরে চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জনসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। সমাবেশে সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।

সমাবেশে গ্রেনেড হামলা মামলার আদালতের রায় দ্রুত কার্যকরের আহ্বান জানান তিনি।

তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘নিম্ন আদালতের রায়ে গ্রেনেড হামলায় দোষীদের সর্বোচ্চ শাস্তিতে মূলহোতা ও সহযোগীরা দণ্ডিত হলেও তাদের ডেড রেফারেন্সের বিষয়টি এখনও হাইকোর্টে ঝুলে আছে। এতে বোঝা যাচ্ছে, বিচার বিভাগীয় ব্যবস্থাপনায় বেশ গলদ রয়েছে।’

নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন বলেছেন, ‘শেখ হাসিনাকে হত্যার উদ্দেশ্যে ২১ আগস্টে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় তৎকালীন বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের সরাসরি পৃষ্ঠপোষকতা ছিল—এই বিষয়ে কোনো বিতর্ক অর্থহীন। আমরা জানি তৎকালীন জোট সরকারের বিকল্প কেন্দ্র ছিল হাওয়া ভবন। ওই হাওয়া ভবনে বেগম জিয়ার ছেলে তারেক জিয়া তৎকালীন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর এবং জোট সরকারের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে গ্রেনেড হামলায় প্রত্যক্ষভাবে অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে বৈঠক হয়েছিল। এমনকি ওই হাওয়া ভবন থেকে গ্রেনেড হামলার মূল পরিকল্পনাটি সরাসরি মনিটরিং করা হচ্ছিল।’

Yakub Group

তিনি আরও বলেন, ‘ঘটনার পর ওইদিন সন্ধ্যায় আওয়ামী লীগের তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক এমএ জলিল রমনা থানায় মামলা করতে গেলে তাকে বলা হয় ঘটনাস্থল রমনা নয়, মতিঝল থানার অধীন। এমএ জলিল মামলা করার জন্য মতিঝিল থানায় গেলে ওসিসহ থানার দায়িত্বশীল সকল কর্মকর্তা পালিয়ে যান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা স্বদেশ প্রত্যাবর্তনের পর থেকে এ পর্যন্ত ২৪ বার তাকে হত্যার অপচেষ্টা হয়েছে। তাদের কোনো অপচেষ্টা সফল হয়নি, তবে আশঙ্কা এখনও দূর হয়নি। তারা নানাভাবে সরকার উৎখাতের ষড়যন্ত্র করছে।’

চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও সিটি মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ‘আগস্ট মাস আমাদের জন্য মর্মান্তিক শোকাবহ। এ মাস এলেই আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হয়। এ মাসের ১৫ তারিখ আমরা বঙ্গবন্ধুর সপরিবারকে হারিয়েছি। আবার এ মাসের ২১ তারিখ তৎকালীন বিরোধী দলীয় নেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেনেড মেরে হত্যার চেষ্টা করা হয়।’

নগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাংগঠনিক সম্পাদক হাসান মাহমুদ হাসনীর সঞ্চালনায় বক্তব্য রাখেন নগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নঈম উদ্দিন চৌধুরী, অ্যাডভোকেট ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য চন্দন ধর, হাজী মোহাম্মদ হোসেন, হাজী জহুর আহমেদ, আব্দুল আহাদ, মো. আবু তাহের, মো. শহিদুল আলম, নির্বাহী সদস্য মো. মোরশেদ আক্তার চৌধুরী, থানা আওয়ামী লীগের মো. হারুনুর রশিদ, কাজী আলতাফ হোসেন, মো. মোমিনুল হক, টিংকু বড়ুয়া, সিদ্দিক আহমদ, মো. আতিকুর রহমান, সৈয়দ মো. জাকারিয়া।

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm