ছাত্রদের আন্দোলনের মুখে ঢাকার পর এবার চট্টগ্রাম নগরীতেও গণপরিবহনে শিক্ষার্থীদের হাফ ভাড়া কার্যকর করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাস মালিকরা। এক্ষেত্রে কিছু শর্তও নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী শনিবার (১১ ডিসেম্বর) থেকে এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে।
রোববার (৫ ডিসেম্বর) বেলা ১১টার দিকে চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মেলনে সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্যাহ এ সিদ্ধান্তের কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে এনায়েত উল্যাহ বলেন, দেশের অন্য শহরে যদি সিটি সার্ভিস থাকে সেখানেও হাফ ভাড়া নেওয়া হবে। তবে আন্তঃজেলা পর্যায়ে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া নেওয়ার দাবিতে শিক্ষার্থীরা রাজপথে আন্দোলন করে যাচ্ছেন অনেকদিন যাবৎ। আমরা গত ৩০ নভেম্বর ঢাকা শহরে হাফ ভাড়া কার্যকর করেছি।
তিনি আরও বলেন, হাফ ভাড়া কার্যকরের সময় সকাল ৭টা থেকে রাত ৮টা। এজন্য শিক্ষার্থীর ছবিযুক্ত আইডি কার্ড প্রদর্শন করতে হবে। সরকারি ছুটির দিন, সাপ্তাহিক ছুটির দিন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মৌসুমি ছুটিতে হাফ ভাড়া কার্যকর হবে না। হাফ ভাড়া শুধু চট্টগ্রাম শহরে কার্যকর হবে, বাইরে হবে না। যেখানে সিটি সার্ভিস চালু আছে সেখানেও এ সিদ্ধান্ত কার্যকর হবে। আমরা ছাত্রদের দাবির প্রতি সম্মান জানিয়ে হাফ ভাড়া কার্যকর করেছি। সুতরাং তারা তাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাবে বলে আশা করছি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সিনিয়র সহ সভাপতি কফিল উদ্দিন আহামদ, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি খোরশেদ আলম, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি-ঢাকার যুগ্ম-সম্পাদক নিয়াজ মোর্শেদ এলিট, চট্টগ্রাম সড়ক পরিবহন মালিক গ্রুপের মহাসচিব গোলাম রসুল বাবুল, মেট্রোপলিটন পরিবহন মালিক গ্রুপের সভাপতি বেলায়েত হোসেন বেলাল, মো. শাহজাহান মিজানুর রহমান, আহসান উল্যাহ চৌধুরী হাসান, শহিদুল ইসলাম সুমু, অলি আহমেদ, নুরুল ইসলাম প্রমুখ।







