চট্টগ্রামে রেলের দুই কর্মচারীর অনৈতিক কাজের অভিযোগ, তদন্তে কমিটি

রেলওয়ে পূর্বাঞ্চল চট্টগ্রামের বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগ-১ অফিস পাহাড়ি টিলার ওপর হওয়ায় জায়গাটি অনেকটা নির্জন। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে দুই অফিস সহকারী দীর্ঘদিন ধরে অনৈতিক কর্মকাণ্ড চালিয়ে আসছিলেন। তাদের এমন কাজের প্রতিবাদে গত বছরের ডিসেম্বর এক খালাসি লিখিত অভিযোগ দিলেও অদৃশ্য কারণে তা নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি কর্তৃপক্ষ। তবে সম্প্রতি আবারও দুইজনের কুকর্মের বিষয়টি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় আসলে ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।

চলতি বছরের ১৪ জুন চট্টগ্রামের সহকারী প্রকৌশলী-১-কে আহ্বায়ক এবং সহকারী সংস্থাপন কর্মকর্তাকে (চট্টগ্রাম) ও আএনবি চট্টগ্রামের সহকারীর কমান্ড্যান্টকে সদস্য করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।

অভিযুক্ত দুইজন হলেন—বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগ-১ এর অফিস সহকারী সাখাওয়াত হোসেন ও নিলীমা মজুমদার।

এ ঘটনায় চলতি বছরের ২ জানুয়ারি খালাসি আরিফ ও ওয়েম্যান শান্তনু রেলওয়ে পূর্বাঞ্চলের ব্যবস্থাপক বরাবরে অভিযোগ দেন। এর আগে ২০২৪ সালের ২৬ ডিসেম্বরও রেলওয়ের প্রধান প্রকৌশলী-১ এর বরাবরে অভিযোগ দেন আরিফ।

অভিযোগে উল্লেখ করা হয়, ২০২৪ সালের ৫ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে সাখাওয়াত ও নিলীমা অফিসে এসে লাইট বন্ধ করে দেন। অফিসের গেট বন্ধ করে গার্ডকে নাস্তার জন্য পাঠিয়ে দেন। এরপর তারা এক ঘণ্টা ধরে অসামাজিক কাজে লিপ্ত ছিলেন। পরে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গার্ডসহ কয়েকজন তাদের অফিসের গেট খুলতে বললেও তারা খুলেনি। পরে বিষয়টি অফিসের প্রধান সহকারী নজরুল ইসলামকে জানানো হয়। নজরুল ইসলাম বিষয়টি বিভাগীয় প্রকৌশলী -১-কে জানাবেন বলে লোকজনকে শান্ত করেন।

অভিযোগকারীরা বিষয়টি তদন্তে পাশের গ্রামীণ ফোন অফিসের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহের দাবি জানান৷

অভিযোগের ১০ মাস পরেও বিষয়টি নিয়ে কোনো পদক্ষেপ নেওয়ার হয়নি। এর মধ্যে কয়েকদিন আগে বিষয়টি নিয়ে সমাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনা শুরু হয়।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগ-১ এর অফিস সহকারী সাখাওয়াত হোসেন বলেন, ‘আমি এসব বিষয়ে কিছু জানি না।’

এ বিষয়ে জানতে বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগ-১ এর অফিস সহকারী নীলিমা মজুমদারকে একাধিকবার কল করা হলে তিনি রিসিভ করেননি। পরে ক্ষুদেবার্তা পাঠিয়েও বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।

বিভাগীয় প্রকৌশলী এবিএম মনিরুজ্জামানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি খোঁজ নিবেন বলে জানান।

বিভাগীয় প্রকৌশল বিভাগের প্রধান সহকারী নজরুল ইসলাম প্রথমে অস্বীকার করলেও পরে এ বিষয়ে নিউজ না করার অনুরোধ করেন।

তদন্ত কমিটির আহ্বায়ক সহকারী প্রকৌশলী -১ মো. ফারুক আহমেদ বলেন, ব্যস্তার কারণে এখনও তদন্ত কাজ শুরু করতে পারিনি। আমি যথাসময়ে সঠিক তদন্ত করে প্রতিবেদন জমা দেব।

সিএম/ডিজে

ksrm