জাতীয় সংসদের হুইপ ও পটিয়ার সংসদ সদস্য সামশুল হক চৌধুরীর তথ্য পাচারের অভিযোগে দুই ভাইকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। গোপন ডিভাইসে রেকর্ড করা কথোপকথন তারা ঢাকায় ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে সরবরাহ করতেন। আর ওই ডিভাইস সরবরাহ করেন চট্টগ্রামের এক সাংবাদিক— প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পুলিশ এমন তথ্য পেয়েছে।
উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের হুইপের নিজ বাড়ি থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। তারা হলেন— মেহেবুবুর রহমান ও আবদুল দয়ান।
সোমবার (৮ নভেম্বর) তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মামলার পর তাদের আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাদের জেলে পাঠানোর নির্দেশ দেন। দুজনই উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের আবদুল মান্নান চৌধুরীর ছেলে।
হুইপের একান্ত সহকারী হাবীবুল হক চৌধুরী বলেন, গ্রেপ্তার দুজন ছাড়াও সংঘবদ্ধ ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের আরও দুজনকে আসামি করে মামলা হয়েছে।
মামলার এজাহার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত রোববার সন্ধ্যায় জাতীয় সংসদের হুইপ সামশুল হক চৌধুরী উপজেলার শোভনদণ্ডী ইউনিয়নের রশিদাবাদ গ্রামের বাড়িতে যান। সেখানে দর্শনার্থীদের ভিড়ের মধ্যে এক যুবকের গতিবিধি দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যদের কাছে রহস্যজনক মনে হলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। পরে তার শরীর তল্লাশি করে প্যান্টের পকেট থেকে দুটি ডিভাইস উদ্ধার করা হয়— যেখানে হুইপের বিভিন্ন কথাবার্তার রেকর্ড পাওয়া যায়।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, ১ নম্বর আসামি মেহেবুবুর ৬৩ হাজার টাকার বিনিময়ে হুইপের সম্মানহানির জন্য তার ছোট ভাই দয়ানকে ইলেকট্রনিক ডিভাইসগুলো দিয়ে হুইপের বাড়িতে পাঠান। দয়ান হুইপের কাছাকাছি অবস্থান করে তার কথোপকথন রেকর্ড করেন এবং এডিট করে বিভিন্ন মাধ্যমে পাঠিয়ে সম্মানহানির চেষ্টা চালান।
আবদুল দয়ানের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী তার বড় ভাই মেহেবুবুর রহমানকে আটক করে পুলিশ।
পটিয়া থানার ওসি রেজাউল করিম মজুমদার জানান, হুইপের সম্মানহানি করার জন্য টাকার বিনিময়ে দুই ভাই ব্ল্যাকমেইলিং চক্রের কাছে হুইপের তথ্য সরবরাহ করত। ওই চক্রের যোগসাজশে তারা দুজন দীর্ঘদিন ধরে তথ্য সরবরাহ করেছে। চক্রের মূল হোতাসহ যারা জড়িত রয়েছে তাদের আইনের আওতায় আনতে দুই আসামিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রিমান্ড আবেদন করা হয়েছে।
সিপি