চার দিনের জ্বরে শেষ হয়ে গেল ২৬ বছরের তরুণীর নাতিদীর্ঘ জীবন। আর এই সঙ্গে তার জীবন কেড়ে চট্টগ্রামে ডেঙ্গুতে মৃত্যুর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১৩ জনে।
শুক্রবার (২১ অক্টোবর) চট্টগ্রাম মা ও শিশু হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রেসি বিশ্বাস নামে বাবা-মা হারা ওই তরুণী মারা যান। শনিবার তার মৃত্যুর বিষয়টি সংবাদমাধ্যমকে জানায় জেলা সিভিল সার্জন কার্যালয়।
২৬ বছর বয়সী রেসি বিশ্বাস আগে থেকে এসএলই বা সিস্টেমিক লুপাস ইরাথেমেটাস রোগে ভুগছিলেন বলে জানিয়েছেন রেসির স্বামী রিগান মজুমদার। ১০ বছরের প্রেমের পর আড়াই বছর আগে তারা বিয়ে করেন।
সারা বিশ্বেই নারীরা বিশেষ করে কমবয়সী মেয়েরা এসএলই রোগের প্রধান শিকার। এই রোগে আক্রান্তদের ইমিউন সিস্টেম নিজের শরীরের বিরুদ্ধে কাজ করে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বিপজ্জনকভাবে কমে যায়। এমনকি এতে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গও।
রেসির স্বামী রিগান মজুমদার বলেন, ‘গত সোমবার রেসির জ্বর হয়। আগে থেকে তার এলএসই ছিল। এর চিকিৎসা করাচ্ছিলাম। প্রথম দিন তাকে প্যারাসিটামল খাওয়াই। কিন্তু এর মধ্যে তার বমি ভাব দেখা দিলে ডাক্তারের সাথে কথা বলে মঙ্গলবার ডেঙ্গু টেস্ট করাই। এতে পজিটিভ এলে বুধবার মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি করাই।’
রিগান মজুমদার বলেন, ‘রাতে হঠাৎ সে শকে চলে যায়। কিছুক্ষণ পর স্বাভাবিকও হয়। সকালে আবার শকে চলে যায়। দুপুরের দিকে আইসিইউতে নিয়ে যায় তাকে। আর ফেরেনি।’
কান্নারুদ্ধ কণ্ঠে রিগান মজুমদার বলেন, ‘আমাদের দুজনের ১০ বছরের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিয়ে করেছি আড়াই বছর। ওর বাবা-মা মারা যাওয়ার পর ওর সব দেখাশোনা আমিই করতাম। অনেক ভালোবাসতাম। এত বড় একটা রোগ ছিল সেটাও সেরে উঠছিল। অথচ ৪ দিনের জ্বরেই সব শেষ।’
সিপি