চট্টগ্রাম নগরের ৮০ ভাগ কোচিং সেন্টার ব্যানার টাঙাতে অনুমতি নেয় না
১ থেকে ২ হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট, বললেন মেয়র
চট্টগ্রাম নগরীতে ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি না নিয়ে পোস্টার-ব্যানার লাগায়। এতে বিপুল পরিমাণের রাজস্ব হাতছাড়া হচ্ছে। ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পোস্টার-ব্যানার বা সাইনবোর্ড টাঙানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন মেয়র ডা. শাহাদাত হোসেন। একইসঙ্গে দুর্গাপূজা উপলক্ষে টাঙানো ব্যানার দ্রুত অপসারণেরও নির্দেশ দেন তিনি।
সোমবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে নগরীর বিভিন্ন এলাকায় অবৈধ পোস্টার, ব্যানার, সাইনবোর্ড উচ্ছেদ অভিযানে নামে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন। এ সময় মেয়র শাহাদাত অভিযানে নেতৃত্ব দেন। নগরীর কাজীর দেউড়ি, চেরাগি পাহাড়, আন্দরকিল্লা, লালদীঘি ও চকবাজার এলাকায় এ অভিযান চালানো হয়।
সিটি মেয়র বলেন, ব্যানারের জন্য মাত্র এক-দুই হাজার টাকা কর দিলেই যথেষ্ট। সেই অর্থ দিয়েই শহরকে পরিষ্কার ও সবুজ রাখতে কাজ করা যাবে। অনেক প্রতিষ্ঠান কোনো অনুমতি ছাড়াই অসংখ্য ব্যানার টাঙিয়েছে। এসব প্রতিষ্ঠান অন্যদেরও উৎসাহিত করছে। আমরা চাই, তারা যেন দ্রুত সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি নেয়, আইন মেনে চলে। যারা অনুমতি ছাড়া ব্যানার-পোস্টার টানাচ্ছে, তারা যেন নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেগুলো সরিয়ে ফেলে। ভবিষ্যতে অনুমতি ছাড়া কোনো ধরনের পোস্টার, ব্যানার বা সাইনবোর্ড টানানো হলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ডা. শাহাদাত বলেন, আমরা চাই, প্রতিটি প্রতিষ্ঠান, কোচিং সেন্টার কিংবা ব্যক্তিগত ব্যবসা সবকিছুই আইনের আওতায় আসুক। যত্রতত্র ব্যানার-পোস্টার বন্ধ করতে হবে। এর পরিবর্তে ডিজিটাল বোর্ড বা এলইডি স্ক্রিনের মাধ্যমে বিজ্ঞাপন প্রচারের ব্যবস্থা করা হবে, যাতে সৌন্দর্য নষ্ট না হয় এবং ব্যবসায়ীরাও নিয়ম মেনে প্রচার করতে পারবেন।
কোচিং সেন্টারের ব্যানার টাঙানো নিয়ে মেয়র বলেন, ৮০ শতাংশ কোচিং সেন্টার কোনো অনুমতি ছাড়াই পোস্টার-ব্যানার লাগায়। মাত্র ২০ শতাংশ প্রতিষ্ঠান নিয়ম মেনে কর্পোরেশনের অনুমোদন নেই। এতে বিপুল রাজস্ব হাতছাড়া হচ্ছে।
এছাড়া মেয়র বলেন, পূজার সময় অনেকেই শুভেচ্ছা ব্যানার দিয়েছেন। সেগুলোর জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ছাড় দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু পূজার পর এখন এসব ব্যানার সরিয়ে ফেলতে হবে। আমরা প্রতিটি উৎসবকে সম্মান করি, তবে শহরের সৌন্দর্যের প্রশ্নে কোনো ছাড় দেওয়া হবে না। ক্লিন সিটি গড়তে আমরা বদ্ধপরিকর। আমরা চাই, এই শহরকে সুন্দর রাখতে সবাই যেন সচেতন হয়। ব্যানারের কারণে কত সুন্দর দৃশ্য ঢেকে গেছে, সবুজ গাছপালা, রাস্তার সৌন্দর্য।
অভিযানে মেয়রের সঙ্গে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা ইখতিয়ার উদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, উপ-প্রধান পরিচ্ছন্নতা কর্মকর্তা প্রণব কুমার শর্মা, ম্যালেরিয়া ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মকর্তা মো. শরফুল ইসলাম মাহি, মেয়রের একান্ত সহকারী মারুফুল হক চৌধুরী মারুফ ছিলেন।
ডিজে