পটিয়া উপজেলার ছনহরা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের স্বতন্ত্র প্রার্থী আবদুর রশিদ দৌলতীকে নৌকার প্রার্থী মুক্তিযোদ্ধা শামসুল আলম বিভিন্নভাবে প্রচার কাজে বাধা দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন। মঙ্গলবার (২১ ডিসেম্বর) বিকেলে সংবাদ সম্মেলন ডেকে এ অভিযোগ করেন তিনি। এর আগে তিনি চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার ও থানা প্রশাসনকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানিয়েছেন এ চেয়ারম্যান প্রার্থী।
স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান আবদুর রশিদ দৌলতী সংবাদ সম্মেলনে বলেন- ‘ইউপি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়াতে আমাকে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী চাপ সৃষ্টি করছেন। এমনকি আমার প্রচার প্রচারণায় বাধা দিচ্ছেন। নৌকার প্রার্থীর পক্ষে রয়েছে কিশোর গ্যাংয়ের একাধিক সদস্য ও বিভিন্ন মামলার আসামি। আমাকে ও আমার সর্মথকদের ভয়ভীতি, হুমকি প্রদর্শনের কারণে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছি। আমার এলাকার ৬টি ভোট কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ। নির্বাচনী ক্যাম্পে আগুন দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার সমর্থকদের বিভিন্নভাবে হয়রানির চেষ্টা চালাচ্ছেন তিনি।’
দৌলতী বলেন- ‘আগামী ২৬ ডিসেম্বর রোববার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন। নির্বাচনে প্রচারনার শুরু দিন থেকে শুরু করে প্রতিনিয়ত প্রতিপক্ষ প্রার্থীর বাধার শিকার হয়েছি। আমাকে কোনো ধরনের প্রচারণা করতে দেওয়া হচ্ছে না। নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামশুল আলমম নিজেই আমাকে নির্বাচন থেকে সরে দাড়ানোর জন্য বারবার চাপ প্রয়োগ করছেন।’
আবদুর রশিদ দৌলতী আরও জানান- ‘প্রতিদ্বন্দ্বী নৌকা প্রতীকের প্রার্থী সামশুল আলম আমার পিতৃতুল্য। আমি আমার প্রতিদ্বন্দ্বীকে সম্মান জানাই। গত পাঁচ বছর চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালনকালে আমি এলাকায় ইয়াবা, কিশোর গ্যাং ও অসামাজিক কর্মকাণ্ড বন্ধে সোচ্চার ছিলাম। এ চক্রটি এখন আমার নির্বাচনী প্রচারণায় নানান ধরনের প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে। এ চক্রটি এখন ছনহরা ইউনিয়নে ত্রাস সৃষ্ঠি করার পাঁয়তারা চালাচ্ছে।’
তিনি নির্বাচনের দিন ভোটাররা যাতে নির্বিঘ্নে কেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারে সে দাবি জানান প্রশাসনের প্রতি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন মো. জাহিদুল হক সওদাগর, মো. দিদারুল আলম সওদাগর, শফি দৌলতী সওদাগর, মো. আবদুর রশিদ সওদাগর, মো. খালেক সওদাগর, মো. আবদুল মন্নান প্রমুখ।
কেএস