পটিয়ায় সুষ্ঠু ভোট নিয়ে শঙ্কা, ছাড় দিতে রাজি নন নৌকার বিদ্রোহীরা

0

আসন্ন চতুর্থ ধাপের ইউপি নির্বাচনের প্রচার-প্রচারণা শেষ হল। এখন অপেক্ষা ভোটের। প্রার্থী ও ভোটারদের এই অপক্ষো করতে হবে মাত্র একদিন (২৪ ঘণ্টা)। রোববার (২৬ ডিসেম্বর) সকাল ৮টা থেকে শুরু হবে ভোটগ্রহণ। কোনও বিরতি ছাড়া চলবে ওইদিন ৪টা পর্যন্ত। এই রায়ে আগামী পাঁচ বছরের জন্য জনপ্রতিনিধির ভার নেবে নতুন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সাধারণ সদস্য ও সংরক্ষিত নারী সদস্যরা।

এদিকে চতুর্থ ধাপের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনের জন্য যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে নির্বাচন কমিশন। রিটার্নিং কর্মকর্তাদের কার্যালয়ে আসতে শুরু করেছেন যাবতীয় নির্বাচনী সামগ্রী। আজ শনিবার সকাল হতে চলে যাবে নির্বাচনী সব কেন্দ্রে।

নির্বাচনী প্রস্তুতি বিষয়ে উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আরাফাত আল হোসাইনী বলেন, শুক্রবার প্রচার-প্রচারণা প্রচারণা শেষ হয়েছে। ১৭টি ইউনিয়নে নির্বাচনের জন্য আমরা সম্পূর্ণভাবে প্রস্তুত।

তিনি বলেন, এই মুহূর্ত পর্যন্ত যতটা প্রস্তুতি দরকার সেটা আমরা সম্পন্ন করতে পেরেছি। নির্বাচনী সামগ্রীসহ ব্যালট পেপার পৌঁছে গেছে। এলাকাগুলোতে ব্যালট পেপার বন্টন শুরু হয়েছে।

এদিকে সবার অংশগ্রহণে এবারের ভোটটিকে উৎসব প্রত্যাশা করা হলেও এটি উৎসবের হবে, না শঙ্কার— তা নিয়ে সংশয় সৃষ্টি হয়েছে।

নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা শুরুর পর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রতিপক্ষের হামলা-ভাঙচুরে ভোটের দিনের শান্তির পরিবেশ বিনষ্টের আশঙ্কা করা হচ্ছে। রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র প্রার্থীরা এই সহিংসতার জন্য প্রতিপক্ষকে দোষারোপ করেছে।

উপজেলার ১৬০টি ভোট কেন্দ্রের মধ্যে ১০০টি কেন্দ্রই বেশি ঝুঁকিপূর্ণ বলে চিহ্নিত করেছে নির্বাচন কমিশন ও উপজেলা প্রশাসন।

এ ছাড়া ৫০টি ভোটকেন্দ্রকে অধিক গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। এর মধ্যে কয়েকটি ইউনিয়ন হলো— কুসুমপুরা, কোলাগাঁও, হাবিলাসদ্বীপ, জঙ্গলখাইন, ছনহরা, কচুয়াই, হাইদগাঁও, ধলঘাট, খরনা, জিরি, কাশিয়াইশ ও আশিয়া।

১০০টি কেন্দ্র বেশি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ার কারণ হিসেবে পটিয়া নির্বাচন অফিস সূত্র জানায়, এসব ইউনিয়নে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীদের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে সংঘাত-সংঘর্ষ হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এ ছাড়া মহাসড়কের পাশে এবং কেন্দ্রের উভয় পাশ দিয়ে লোক সমাগমের ব্যবস্থা থাকার কারণেও কিছু কেন্দ্র ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে।

অন্যদিকে বহিরাগত ও উঠতি বয়সের ছেলেদের আনাগোনা, থানা থেকে দূরবর্তী এবং অস্থায়ী কেন্দ্র, ভোটার বেশি, পাহাড়ের পাদদেশে অস্থায়ী কেন্দ্র— এসব কারণেও নৌকা ও বিদ্রোহী প্রার্থীদের মধ্যে গোলযোগ হতে পারে। এসব ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রে সুষ্ঠু ভোট গ্রহণ নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন প্রার্থী ও ভোটাররা। তবে প্রশাসন বলছে, ভোট সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে।

১৭টি ইউনিয়নের মধ্যে হাবিলাসদ্বীপ ও কুসুমপুরা ইউনিয়নে ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ব্যবহার করা হচ্ছে। শোভনদন্ডী, বড়লিয়া ও দক্ষিণ ভূর্ষি ইউনিয়নের তিনজন নৌকা প্রতীকের চেয়ারম্যান প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন। বাকি ১২টি ইউনিয়নে ব্যালট পেপারে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।

এবারের ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ১০ হাজার সদস্য মাঠে থাকবেন। এছাড়াও ভোটগ্রহণ কাজে নিয়োজিত থাকবেন আট হাজার কর্মকর্তা।

এরই মধ্যে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশসহ (বিজিবি) অন্যান্য বাহিনীর সদস্যরা মাঠে নেমেছেন। ২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাত থেকে উপজেলাজুড়ে মোটরসাইকেল চলাচলে বিধিনিষেধ থাকছে।

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm