৪৩ কোটি টাকা ‘মূল্যের’ জিয়া চট্টগ্রামে ছিলেন দীর্ঘদিন, ঢাকা থেকে আসতো টাকা

ঢাকায় থাকাকালে চট্টগ্রাম থেকে যেতো বিশেষ ‘ব্যাগ’

0

২০১৯ সালের ঈদুল ফিতরের আগে চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের ভেতর হঠাৎ করেই হইচই শুরু করেন এক লোক। সেই হইচই এমনই রূপ নেয় যে, প্রচুর লোকের ভিড় জমে যায় তাকে ঘিরে। লোকটি স্টেশনে গিয়েছিলেন ঢাকা যাওয়ার টিকেট কাটতে। কিন্তু টিকেট না পেয়ে স্টেশনের ভেতরেই তুমুল হট্টগোল শুরু করেন। এ সময় লোকটি চিৎকার করে বলছিলেন, ‘অসৎ লোকজন কালোবাজারি করছে, টিকিট থাকার পরও বিক্রি করছে না।’ কেউ কৌতূহল নিয়ে, কেউ বা আবার সমব্যথী হয়ে তাকে ঘিরে ভিড় জমান।

হইচই-হট্টগোলে সেই ঘটনা শেষ হলেও পুলিশ পরে নিশ্চিত হয়, হট্টগোল করা ব্যক্তিটি ছিলেন সৈয়দ জিয়াউল হক। সোমবার (২০ ডিসেম্বর) মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় যার ব্যাপারে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার (৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে। তিনি বাংলাদেশের ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যায় দণ্ডিত পলাতক দুই ঘাতকের একজন। অপর ঘাতকের নাম আকরাম হোসেন।

গত প্রায় ১০ বছর ধরে দুর্ধর্ষ ও ধূর্ত এই জিয়া থেকে গেছেন ধরাছোঁয়ার বাইরে। সর্বাত্মক তৎপরতা চালিয়েও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তার হদিস পায়নি। তবে পুলিশের দাবি, ২০২০ সালের মার্চ পর্যন্ত জিয়ার গতিবিধি সম্পর্কে তারা মোটামুটি জানতে পেরেছেন। এর মধ্যে অন্তত চারবার তার খুব কাছাকাছি গিয়েও তাকে ধরা সম্ভব হয়নি। বাংলাদেশ মিলিটারি একাডেমির ৪১তম লং কোর্স করা জিয়া এই সময়ের মধ্যে চট্টগ্রাম ছাড়াও ছিলেন ঢাকা, কুমিল্লা ও ময়মনসিংহে।

ব্যর্থ অভ্যূত্থানের পরই পলাতক

২০১১ সালের ২০ ডিসেম্বর মেজর জিয়াউলের নেতৃত্বে সেনাবাহিনীতে ব্যর্থ অভ্যুত্থান চালানোর পর একটি গোয়েন্দা সংস্থার হাতে আটক হন তিনি। ওই সময় জিয়া সাভার সেনানিবাসে কর্মরত ছিলেন। ১৫ দিন আটক থাকার পর তাকে সাভার সেনানিবাসে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। সেখানে এক সপ্তাহ অবস্থান করার পর কৌশলে তিনি পরিবার নিয়ে সেনানিবাস থেকে বের হয়ে আমিনবাজারে একটি ভাড়া বাসায় ওঠেন। এরপর থেকেই তিনি লাপাত্তা।

২০১২ সালের ১৯ জানুয়ারি সেনা সদর দপ্তর আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, সেনাবাহিনীর অভ্যন্তরে ব্যর্থ এক অভ্যুত্থানচেষ্টায় জড়িত থাকার দায়ে দুই অবসরপ্রাপ্ত সেনা কর্মকর্তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং সৈয়দ জিয়াউল হক পালিয়ে গেছেন।

ওই সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, ‘সেনাবাহিনীতে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির অপপ্রয়াসের অন্য পরিকল্পনাকারী মেজর সৈয়দ মো. জিয়াউল হক গত ২২ ডিসেম্বর (২০১১) অন্য এক কর্মরত কর্মকর্তার সঙ্গে দেখা করে তাকেও রাষ্ট্র ও গণতন্ত্রবিরোধী কর্মকাণ্ড তথা সেনাবাহিনীকে অপব্যবহার করার কর্মকাণ্ডে সম্পৃক্ত হতে প্ররোচনা দেন। ওই কর্মকর্তা বিষয়টি যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানালে সদ্য দীর্ঘমেয়াদি প্রশিক্ষণ সম্পন্নকারী মেজর জিয়ার ছুটি ও বদলি আদেশ বাতিল করে তাকে দ্রুত ঢাকার লগ এরিয়া সদর দপ্তরে যোগ দিতে বলা হয়। বিষয়টি টেলিফোনে গত ২৩ ডিসেম্বর (২০১১) তাকে জানানো হলেও তিনি পলাতক থাকেন।’

স্লিপার সেলের ইশতিয়াকই এই জিয়া

এই ঘটনার চার বছর পর ২০১৬ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর বাড্ডার সাতারকুলে একটি অভিযানের পর পুলিশ সদর দপ্তর আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়, চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক আল-কায়েদাপন্থী জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামের সামরিক শাখার প্রধান। পুলিশ তখন এও নিশ্চিত করে যে, জিয়ার নেতৃত্বে আনসার আল ইসলাম (আনসারুল্লাহ বাংলা টিম) নামের জঙ্গি সংগঠনটি মুক্তমনা লেখক, প্রকাশক ও ব্লগারদের হত্যায় ২০১৩ সাল থেকে সরাসরি জড়িত।

পুলিশ জানায়, জিয়ার তত্ত্বাবধানে আনসার আল ইসলামের কমপক্ষে আটটি স্লিপার সেল রয়েছে। চার থেকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট এসব সেলে অন্তত ৩০ জন দুর্ধর্ষ ‘স্লিপার কিলার’ তৈরি করেছেন জিয়া। যদিও স্লিপার সেলের সদস্যরা তাকে ইশতিয়াক নামেই চেনে। এরাই মূলত ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্নমতাবলম্বীদের হত্যা করেছে। এই স্লিপার সেলগুলো কাজ করে থাকে ‘কাট আউট’ পদ্ধতিতে। এ কারণে কোনও একজন সদস্যকে গ্রেপ্তার করা গেলেও তার কাছ থেকে অন্যদের সম্পর্কে বেশি তথ্য পাওয়া যায় না।

স্কুলে থাকতেই ওমরাহ করেছেন সাতবার

মৌলভীবাজারের মোস্তফাপুরের ছেলে জিয়া ছিলেন সিলেট ক্যাডেট কলেজের ছাত্র। তখন থেকেই ধর্মের ব্যাপারে তিনি ছিলেন অস্বাভাবিক ‘গোঁড়া’। ওই কলেজে ভর্তির আগেই ওমরাহ করেছেন অন্তত সাতবার। কর্মসূত্রে বাবা-মাসহ তার পরিবারের সদস্যরা বসবাস করতেন সৌদি আরবে। ক্যাডেট কলেজে ছুটি থাকলে জিয়া চলে যেতেন সেখানে। মেধাতালিকায় স্থান নিয়ে এসএসসি পাস করেন তিনি। ১৯৯৭ সালে উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার পর জিয়া যোগ দেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে। চট্টগ্রামের ভাটিয়ারীর বিএমএতে লং কোর্সের প্রশিক্ষণ শেষে তিনি ‘সোর্ড অব অনার’ অর্জন করেন। তবে সেখানেও ধর্মীয় বিষয়ে তার ‘গোঁড়ামি’ নজর কাড়ে সংশ্লিষ্টদের।

সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পর বিয়ে করেন জিয়া। তবে ২০০৯ সালে তার স্ত্রী লিপি মারা যান। এ সময় জিয়া হয়ে ওঠেন আরও কট্টর। প্রথম স্ত্রীর মৃত্যুর ৪০ দিন পর তিনি দ্বিতীয় বিয়ে করেন পটুয়াখালীর সবুজবাগ এলাকার এক নারীকে। ওই ঘরে দুই সন্তান রয়েছে তার। জিয়ার শ্বশুর একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি। জিয়ার সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার পর শ্বশুর জিয়ার ছেলের অভিভাবকত্ব নেন আদালতের মাধ্যমে।

ছয় খুনে সরাসরি জড়িত জিয়া

২০১৩ সালের পর থেকে ব্লগার, প্রকাশক, মুক্তমনা ও ভিন্নমতাবলম্বী হত্যার ঘটনার তদন্তে নেমে পুলিশ নিশ্চিত হয়, জিয়ার পরিকল্পনাতেই মূলত ঘটছিল একের পর এক হত্যাকাণ্ড। ব্লগার হত্যার যতো মামলা আছে, প্রায় সবগুলোতেই চাকরিচ্যুত মেজর জিয়ার নাম এসেছে। ২০১৩ সাল থেকে একে একে হত্যার শিকার হন ব্লগার রাজীব হায়দার, ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায়, ব্লগার ওয়াশিকুর রহমান, ব্লগার অনন্ত দাস, ব্লগার নীলাদ্রি চট্টোপাধ্যায়, প্রকাশক ফয়সাল আরেফিন দীপন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র ও ব্লগার নাজিম উদ্দিন, সমকামীদের অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয়।

পুলিশের দাবি, এই ৯ হত্যাকাণ্ডের আটটিতেই জড়িত আনসার আল ইসলামের সদস্যরা। এর মধ্যে ছয়টি হত্যার সঙ্গে সরাসরি জড়িত ছিলেন সৈয়দ জিয়াউল হক।

গত ফেব্রুয়ারিতে ব্লগার ও লেখক অভিজিৎ রায় হত্যামামলার রায়ে বরখাস্ত হওয়া মেজর সৈয়দ জিয়াউল হক, জঙ্গিনেতা আকরাম হোসেন ওরফে আবির ওরফে আদনানসহ পাঁচজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং একজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এর মধ্যে অন্য সবাই ধরা পড়লেও এখনও ধরাছোঁয়ার বাইরে রয়েছেন জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেন।

২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল ঢাকায় সমকামী অধিকারকর্মী জুলহাজ মান্নান ও তার বন্ধু মাহবুব তনয় হত্যা মামলার গত আগস্টে দেওয়া রায়ে সেনাবাহিনীর চাকরিচ্যুত মেজর জিয়াউল হক জিয়া ও আকরাম হোসেন ওরফে হাসিব ওরফে আবির ওরফে আদনান ওরফে আবদুল্লাহসহ ছয় আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়।

নাসিরাবাদে ছিলেন জুবায়েরের বাড়িতে

ছয় বছর আগে সমকামীসহ চার ধরনের লোককে খুন করার সিদ্ধান্ত নেয় জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলাম। চাকরিচ্যূত মেজর জিয়াউল হকের এই পরিকল্পনা বাস্তবায়নের অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন চট্টগ্রামের নাসিরাবাদের বাসিন্দা জুবায়ের। ঢাকায় সমকামী অধিকার নিয়ে কাজ করা আমেরিকান সংস্থার কর্মকর্তাকে খুনের আগে নিপুণ কৌশলে তার সঙ্গে ভাব জমিয়েছিলেন চট্টগ্রামের আন্তর্জাতিক ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইআইইউসি) ছাত্র মো. জুবায়ের। আইআইইউসির ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের পঞ্চম সেমিস্টারের ছাত্র জুবায়েরের দেওয়া তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই ২০১৬ সালের ২৫ এপ্রিল কলাবাগানে বাসায় কুপিয়ে খুন করা হয় আমেরিকান সংস্থা ইউএসএআইডির কর্মকর্তা জুলহাজ মান্নান ও অভিনেতা খন্দকার মাহবুব রাব্বী তন্ময়কে।

ধরা পড়ার পর জুবায়ের পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, ২০১৩ সালে জঙ্গি সংগঠন আনসার আল ইসলামে যোগ দেওয়ার পরের বছর তার সঙ্গে পরিচয় হয় সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গে। এ সময় থেকে অন্তত এক বছর ধরে প্রতিমাসেই জুবায়ের সাংগঠনিক কাজে চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় যেতেন। চট্টগ্রাম থেকে অজ্ঞাতনামা লোকদের দেওয়া একটি বিশেষ ব্যাগ ঢাকায় বহিষ্কৃত মেজর জিয়ার কাছে পৌঁছে দিতেন তিনি।

২০১৮ সালের ১৭ জুলাই চট্টগ্রাম থেকে ধরা পড়ার পর জুবায়ের পুলিশের কাছে স্বীকার করেন, চাকরিচ্যুত মেজর সৈয়দ জিয়াউল হকের সঙ্গে তার সরাসরি যোগাযোগ ও আলোচনা হতো। ২০১৮ সালের শুরুতেও চট্টগ্রামের নাসিরাবাদ এলাকার জাকির হোসেন রোডে জুবায়েরের ৭৬/বি নম্বর বাড়িতে ছিলেন বরখাস্ত মেজর জিয়াউল।

ওই সময় জুবায়ের জানান, প্রতি মাসে তিনি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় গিয়ে একজনের কাছ থেকে পাঁচ বা ছয় লাখ টাকা করে নিয়ে আসতেন। সেই টাকা থেকে তিনি মেজর জিয়াকেও দিতেন। আবার জিয়ার নির্দেশে বিভিন্ন ইউনিটের মধ্যে টাকা ভাগ করে দিতেন।

জুবায়ের এও জানান, চট্টগ্রামে অবস্থান করার সময় জিয়ার মুখে দাড়ি ছিল না।

জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনসহ অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার (৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনসহ অভিজিৎ রায় হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার (৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।

জিয়ার সঙ্গে চট্টগ্রামে দেখা করেছেন মুফতি জসীমও

তদন্তে নেমে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানতে পারেন, ২০১৮ সালে চট্টগ্রামে অবস্থানকালে নগরীর একটি সড়কে ট্রাফিক পুলিশের এক কনস্টেবলের সঙ্গেও বাকবিতণ্ডায় জড়ান জিয়াউল হক। কিন্তু ওই পুলিশ সদস্য জিয়াকে চিনতে পারেননি। এরপর ওই বছরের শেষ দিকে তার মালদ্বীপে যাওয়ার তথ্যও পান গোয়েন্দা কর্মকর্তারা।

এর আগে ২০১৩ সালের আগস্টে ‘আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের’ প্রধান মুফতি জসীম উদ্দিন রাহমানী পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হওয়ার পর জিজ্ঞাসাবাদে জানিয়েছিলেন, ধরা পড়ার আগে তিনি একাধিকবার ঢাকা ও চট্টগ্রামে মেজর জিয়ার সঙ্গে দেখা করেছেন।

জিয়াকে ধরিয়ে দিলে পুলিশ দেবে ২০ লাখ

২০১৬ সালের আগস্টে রাজধানীর গুলশান, কল্যাণপুর ও শোলাকিয়া হামলার ‘মাস্টারমাইন্ড’ তামিম চৌধুরী ও ব্লগার হত্যায় সন্দেহভাজন চাকরিচ্যুত সেনা কর্মকর্তা জিয়াউল হককে ধরিয়ে দিলে ২০ লাখ টাকা করে ৪০ লাখ টাকা পুরস্কার দেওয়া হবে বলে ঘোষণা দেন পুলিশের তৎকালীন আইজিপি একেএম শহীদুল হক। তথ্যদাতার নাম-পরিচয় গোপন রাখা হবে।

তথ্য দিলে এবার ৪৩ কোটি টাকা পুরস্কার

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) বাংলাদেশি ব্লগার ও লেখক হত্যায় দণ্ডিত পলাতক দুই ঘাতক সৈয়দ জিয়াউল হক ও আকরাম হোসেনসহ এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের সম্পর্কে তথ্য চেয়ে ৫০ লাখ ডলার (৪২ কোটি ৫০ লাখ টাকা) পুরস্কার ঘোষণা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ডিপ্লোমেটিক সিকিউরিটি সার্ভিসের রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস প্রোগ্রাম (আরএফজে) এক বিবৃতিতে এই ঘোষণা দিয়েছে। বাংলাদেশি মুদ্রায় এই পুরস্কারের অর্থমূল্য প্রায় ৪৩ কোটি টাকা।

+১২০২৭০২৭৮৪৩ নম্বরে হোয়াটসঅ্যাপ, টেলিগ্রাম ও সিগনালের মাধ্যমে হত্যাকারীদের সম্পর্কে তথ্য জানাতে বলা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র মনে করে, হামলাকারীরা বাংলাদেশেই অবস্থান করছেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত ২ আসামির কথা উল্লেখ করে একটি পোস্টারসহ টুইট করেছে রিওয়ার্ডস ফর জাস্টিস। ওই পোস্টারে বলা হয়েছে, ‘২০১৫ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ঢাকায় একটি বইমেলা থেকে ফেরার পথে আল-কায়েদাসংশ্লিষ্ট সন্ত্রাসীরা অভিজিৎ রায়কে হত্যা এবং তাঁর স্ত্রী রাফিদা আহমেদকে আহত করে। বাংলাদেশের আদালতে ছয়জনকে দোষী সাব্যস্ত করে হামলায় তাঁদের ভূমিকার জন্য সাজা দেওয়া হয়েছে। ওই অভিযুক্তদের দুজন সৈয়দ জিয়াউল হক (ওরফে মেজর জিয়া) এবং আকরাম হোসেনের অনুপস্থিতিতে বিচার হয়েছিল এবং এখনো তাঁরা পলাতক। যদি আপনার কাছে হক, হোসেন বা ওই হামলায় জড়িত অন্য কারও বিষয়ে তথ্য থাকে, তাহলে নিচের নম্বরে সিগন্যাল, টেলিগ্রাম বা হোয়াটসঅ্যাপ ব্যবহার করে আমাদের কাছে তা পাঠান। আপনিও পুরস্কার পেতে পারেন।’

সিপি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm