পুরনো আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরার পর পাঁচলাইশ থানায় বিক্ষোভে চরমোনাই পীরের দল
পাঁচ ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে নামাজ ও জিকির
পুলিশের ওপর হামলার মামলায় আওয়ামী লীগ থেকে চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নেতায় পরিণত হওয়া এক ব্যক্তিকে গ্রেফতারের পর বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ থানা এলাকা।

শনিবার (১ নভেম্বর) দুপুর থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত টানা পাঁচ ঘণ্টা থানা ঘেরাও করে রাখেন দলটির শতাধিক নেতাকর্মী।

দুপুর ১টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত বিক্ষোভ চলাকালে থানা ঘিরে অবস্থান নেন তারা। পুলিশবিরোধী নানা স্লোগানে মুখর থাকে এলাকা। বিকেলে থানার সামনেই তারা আসরের নামাজ আদায় করেন।
বিক্ষোভকারীরা জানান, গ্রেফতার হওয়া ব্যক্তি মো. সালাউদ্দিন (৫০) ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের চট্টগ্রাম মহানগর বাকলিয়া থানা কমিটির সভাপতি। তিনি রাজাখালী এলাকায় বসবাস করেন। সালাউদ্দিন আগে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। তিনি চট্টগ্রাম নগরের ৩৫ নম্বর বক্সিরহাট আওয়ামী লীগের নেতা ছিলেন বলে জানা গেছে। আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতাচ্যূত হওয়ার পর তিনি চরমোনাই পীরের নেতৃত্বাধীন ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশে আশ্রয় নেন।
পাঁচলাইশ থানার ওসি মোহাম্মদ সোলায়মান বলেন, ‘মুরাদপুরে পুলিশের ওপর হামলার ঘটনায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা হয়। গ্রেফতার হওয়া সালাউদ্দিন ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। আজ সকালে তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এরপর আদালতে পাঠানো হয়, আদালতের নির্দেশে তিনি কারাগারে গেছেন। বিক্ষোভকারীদেরও বুঝিয়ে সেখান থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে।’
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ মে ইসলামী ছাত্রসেনার সাবেক নেতা মাওলানা রইস উদ্দিন হত্যার বিচার দাবিতে আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাআত ও ছাত্রসেনার নেতাকর্মীরা চট্টগ্রামে সড়ক-রেল অবরোধ করে বিক্ষোভ করেন। এ সময় মুরাদপুর এলাকায় কওমিপন্থী একটি গ্রুপের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়, তখন পুলিশের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
এর আগে গত ১৯ জুন একই ইস্যুতে ইসলামী আন্দোলনের আরেক নেতা হাবিবুর রহমানকে আটকের প্রতিবাদে চান্দগাঁও থানা ঘেরাও করেন দলটির কর্মীরা। বিক্ষোভের চাপে পরদিন ওই নেতাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় পুলিশ।



