s alam cement
আক্রান্ত
৬০৯২৭
সুস্থ
৪৯৯০৫
মৃত্যু
৭২২

সাতকানিয়ায় এক বৃষ্টিতেই ধসে গেছে রামপুর ডিসি সড়ক, পাঁচদিন ধরে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ

যাতায়াতে হাজার হাজার মানুষের ভোগান্তি

0

চট্টগ্রামের সাতকানিয়া উপজেলার সোনাকানিয়া ইউনিয়নের রামপুর ডিসি সড়ক বৃষ্টিতে ধসে গিয়ে পাঁচদিন ধরে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে। এ সড়কটি সাতকানিয়ার সঙ্গে লোহাগাড়া উপজেলা ও বাঁশখালী উপজেলার সংযোগ সড়ক হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

গত ১ জুলাই (বৃহস্পতিবার) ভারী বর্ষণে সোনাকানিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনে সড়কটি ধসে গেলে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়ায় ভোগান্তিতে পড়েছেন সোনাকানিয়া, বড়হাতিয়া, মার্দাশা, এওচিয়া, পৌরসভা ও সদর ইউনিয়নের যাতায়াতকারী হাজার হাজার মানুষ।

জানা যায়, গত ১ জুলাই রাতের কোন এক সময়ে সড়কের পিচ ঢালাই ও মাটি ধসে পড়লে স্থানীয় মানুষের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। এলাকাবাসীর অভিযোগ, নির্মাণকাজে অনিয়মের জন্য এ দুরবস্থা।

স্থানীয় লোকজন জানান, উপজেলার রামপুর ডিসি সড়কের সোনাকানিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের সড়কটির নিচে পানি চলাচলের জন্য ছোট একটি পুল ছিল। পুরান সড়কটি যখন মাটির ছিল তখন ইউনিয়নের জমাদার পাড়া, তাঁতী পাড়া ও দক্ষিণ কালামিয়ার পাড়ার পানি চলাচল ছিল এ রাস্তার নিচ দিয়ে।

সাতকানিয়ায় এক বৃষ্টিতেই ধসে গেছে রামপুর ডিসি সড়ক, পাঁচদিন ধরে বিচ্ছিন্ন যোগাযোগ 1

পরবর্তীতে ওই স্থানে একটি কালভার্ট বসানো হয়। কয়েক মাস আগে রাস্তা দিয়ে ভারী যানবাহন চলাচলের ফলে ওই কালভার্টটি ভেঙে যায়। তখন কালভার্টটি নির্মাণের জন্য সরকারিভাবে বরাদ্দ আসে ২ লাখ ৯ হাজার ৭৬০ টাকা। কিন্তু ১ গাড়ি ইট, ১ গাড়ি বালু ও ২৫০০ টাকা মজুরি খরচ দিয়ে লোক দেখানোভাবে কোন প্রকারে কাজ করে চলে যায় নির্মাণকারীরা।

Din Mohammed Convention Hall

গত ৩ জুলাই শনিবার দুপুরে সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, রামপুর ডিসি সড়কের সোনাকানিয়া কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের সামনের সড়কটির পিচ ঢালাই, জমানো পুল ও মাটি ধসে গিয়ে সম্পূর্ণ যোগাযোগ বিছিন্ন হয়ে গেছে। মাটি ধসে সড়কটি দুভাগে ভাগ হয়ে গেছে। দুর্ঘটনা এড়াতে ধসে যাওয়া স্থানের মাঝে কয়েকেটি গাছের ছোট ছোট ডাল দেয়া হয়েছে।

উপজেলার সোনাকানিয়া ৪নং ওয়ার্ডের ইউপি সদস্য আইয়ুব জমিদার বলেন, ৫ দিন হয়ে গেল কালভার্টসহ রাস্তাটি ভেঙে গেছে। অথচ দেখার কেউ নেই। কিছুদিন আগে ওই স্থানে ভাঙলে চেয়ারম্যানের পক্ষ হয়ে আনিছুল হক বাবুল নামে এক ব্যক্তি ৭২ হাজার টাকার কাজ করেছিলেন বলে শুনেছি।

তিনি বলেন, এরপর একটি সাইনবোর্ড দেখলাম ২ লাখ ৯ হাজার ৭৬০ টাকার প্রকল্প। এরপর আবার ধসে গেলে আমি ১ গাড়ি ইট, ১ গাড়ি বালু ও ২৫০০ টাকা মজুরি খরচ দিয়ে মেরামত করে দিই। জনসাধারণের সুবিধার জন্য অতি দ্রুত কাজটি করার জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

এ ব্যাপারে দোহাজারী সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী সুমন সিংহের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, খবর পেয়ে স্পটটি একজন সহকারী প্রকৌশলী পরিদর্শন করেছেন। ওই স্থানে অতি দ্রুত একটি কালভার্ট নির্মাণ করা হবে।

কেএস

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm