s alam cement
আক্রান্ত
৫১৪৯৯
সুস্থ
৩৭৪৯৪
মৃত্যু
৫৭৩

স্বাধীনতা পুরস্কার পেলেন আখতারুজ্জামান বাবু, পদক নিলেন পুত্র ভূমিমন্ত্রী জাবেদ

0

মহান স্বাধীনতা যুদ্ধে অসামান্য অবদান রাখার জন্য মরণোত্তর স্বাধীনতা পদকে দেওয়া হলো বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রামের সাবেক সাংসদ প্রয়াত আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর পক্ষে তার ছেলে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ এমপি পুরস্কার গ্রহণ করেন।

বৃহস্পতিবার (২০ মে) সকালে গণভবনে ৯ বিশিষ্ট ব্যক্তি ও একটি প্রতিষ্ঠানকে স্বাধীনতা পুরস্কার-২০২১ প্রদান করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

এটি দেশের সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় পুরস্কার। সরকার ১৯৭৭ সাল থেকে প্রতি বছর এ পুরস্কার দিয়ে আসছে। স্বাধীনতা পুরস্কারের ক্ষেত্রে পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিকে ৫ লাখ টাকা, ১৮ ক্যারেট মানের ৫০ গ্রাম স্বর্ণপদক, পদকের একটি রেপ্লিকা ও একটি সম্মাননাপত্র দেয়া হয়।

পুরস্কারপ্রাপ্ত ব্যক্তিদের মধ্যে চার জন মরণোত্তর এ পুরস্কার পান। স্বাধীনতা ও মুক্তিযুদ্ধে অবদানের জন্য তাদের এই পুরস্কার দেওয়া হয়। তারা হলেন- এ কে এম ফজলুর রহমান, শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার, ব্রিগেডিয়ার জেনারেল খুরশীদ আহমেদ, আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু। ‌

অন্যরা হলেন- বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে ড. মুন্ময় গুহ নিয়োগী, সাহিত্যে মহাদেব সাহা, সংস্কৃতিতে আতাউর রহমান, গাজী মাজহারুল আনোয়ার, সমাজ সেবায় অধ্যাপক ডা. এম আমজাদ হোসেন।

এছাড়া গবেষণা ও প্রশিক্ষণে অবদান রাখায় বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা কাউন্সিল স্বাধীনতা পুরস্কার পেয়েছে।

Din Mohammed Convention Hall

আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু ১৯৪৫ সালে ৩ মে চট্টগ্রামের আনোয়ারার হাইলধর গ্রামের জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর ও মহান মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক ছিলেন। স্বাধীন বাংলা সংগ্রাম পরিষদ এবং চট্টগ্রামের আঞ্চলিক পরিষদের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যগণের মধ্যে তিনি অন্যতম। তাঁর পাথরঘাটাস্থ বাসভবনে ‘জুপিটার হাউস’ থেকেই সংগ্রাম কমিটির কার্যক্রম পরিচালনা করা হতো। বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতার ঘোষণা এই বাসভবন থেকে সাইক্লাস্টাইল করা হয় এবং কালুঘাট অস্থায়ী বেতার কেন্দ্রসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে প্রেরণ করা হয়।

মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর তিনি চট্টগ্রাম অঞ্চলে মুক্তিযোদ্ধাদের সমম্বয় এবং স্বেচ্ছাসেবক সংগ্রহ করে ভারতে অবস্থিত প্রশিক্ষণ ক্যাম্পে প্রেরণ করেছিলেন। তিনি এপ্রিলে ভারতে গমন করেন এবং বাংলাদেশ সরকারের ত্রাণ ও পুনর্বাসন কমিটির সদস্য হিসেবে শরণার্থী শিবির ব্যবস্থাপনায় গুরুত্¦পূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধের মাঝামাঝি সময়ে ইউরোপ ও আমেরিকা সফর বিশ্ব-জনমত গড়ে তোলা ও তহবিল সংগ্রহে অসামান্য অবদান রাখেন। তিনি ১৯৭২ সালে গণপরিষদ সদস্য এবং পরবর্তীতে ১৯৮৬, ১৯৯১ ও ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তিনি ৪ নভেম্বর ২০১২ সালে মৃত্যুবরণ করেন।

এমএহক

ManaratResponsive

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm