৪ তরুণী নিয়ে ধরা পড়া চট্টগ্রামের ছাত্রলীগ নেতাকে ৩০০ টাকার শাস্তি
সাংবাদিক দেখে তেড়ে গেল নেতার অনুসারীরা
চট্টগ্রামের পাঁচলাইশ এলাকার এক বাসা থেকে অনৈতিক কাজে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪ নারী সহ গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা আব্দুল আল আহাদ ও তার ৫ সহযোগিকে ৩০০ টাকা করে জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানার টাকা আদায় না করলে তাদের দুই দিনের কারাবাসের আদেশও দিয়েছে আদালত।
এর আগে আসামিদের ননজিআর মামলায় আদালতে হাজির করে পুলিশ। আদালতে ছাত্রলীগ নেতা আহাদ সহ সকলেই নিজেদের দোষ স্বীকার করে ক্ষমা চান বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে। শুক্রবার (১০ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জুয়েল দেবের আদালত এ আদেশ দিয়েছেন।
আবদুল আল আহাদ পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকারিয়া দস্তগীরের অনুসারী বলে ছাত্রলীগ সূত্রে জানা গেছে।
আদালত সূত্রে জানা যায়, ছাত্রলীগ নেতা আবদুল আল আহাদসহ ১০ জনকে আদালতে হাজির করা হয়। তাদের পাঁচলাইশ থানার ননজিআর মামলায় (নম্বর- ৭৬/২১) গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে হাজির করা হয়। আসামিরা আদালতে দোষ স্বীকার করেন। আদালত প্রত্যেককে ৩০০ টাকা জরিমানা অনাদায়ে ২ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন।
বৃহষ্পতিবার (৯ ডিসেম্বর ) রাতে নাসিরাবাদ হাউজিং সোসাইটির ৫ নং রোডের ১২ নম্বর বাসা থেকে ৪ নারী সহ তাদের গ্রেপ্তার করেছিল পুলিশ।
তরুণীসহ গ্রেপ্তার হওয়া ছাত্রলীগ নেতা আহাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন সময়ে একাধিক মামলা রয়েছে পাঁচলাইশ ও চকবাজার থানায়। ফুটপাত ও গার্মেন্টসকেন্দ্রিক চাঁদাবাজিতে তিনি দীর্ঘদিন ধরে সক্রিয়। পাঁচলাইশ থানা ছাত্রলীগের বিতর্কিত কমিটিতে তাকে সহ-সভাপতি করা হয়।
এদিকে ছাত্রলীগ নেতা আহাদকে আদালতে তোলার সময় দায়িত্বরত সাংবাদিকদে হুমকি দেয়ার অভিযোগ তুলেছেন সাংবাদিকরা। জানা যায়, শুক্রবার দুপুরে কোর্ট বিল্ডিংয়ে এক নেতার নিউজ সংগ্রহ করতে গিয়ে এনটিভির ক্যামেরাম্যান সুমন গোস্বামী আর যমুনা টিভির রিপোর্টার শহীদুল সুমন, ক্যামেরা পার্সন লিমন একদল যুবকের বাধার মুখে পড়েন। তারা সাংবাদিকদের গালিগালাজ করে এবং দেখে নেওয়ার হুমকি দেয়। এসময় তাদের তিনজনের ছবিও তুলে নিয়ে যায় ওই যুবকরা।
এআরটি/কেএস