ঈদের ছুটিতেও কক্সবাজারে ছিল না উত্তাপ, মুখর ছিল শুধু লাবণীই

0

কোরবানি ঈদের ছুটিতেও তেমন পর্যটক সমাগম হয়নি পর্যটন নগরীর কক্সবাজারে। পর্যটক কম হওয়ায় বেশিরভাগ হোটেলের রুম খালি ছিল। অন্যান্যবারের ঈদের তুলনায় এবার জনসমাগম কম। অথচ এই সময়ে কক্সবাজার সমুদ্র সৈকত পর্যটকে পূর্ণ থাকে। শুধুমাত্র সমুদ্র সৈকতের লাবণী পয়েন্ট ছাড়া তেমন পর্যটক সমাগম ছিল না কোথাও।

ব্যবসায়ীরা জানান, এবারের ঈদে বন্যার প্রভাব পড়েছে কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায়। যেসব জেলায় বন্যার প্রভাব পড়েছে সেখান থেকে পর্যটকরা আসেননি এবার।

বুধবার (১৩ জুলাই) সকালে সৈকতের সুগন্ধা পয়েন্টে দেখা গেছে, পর্যটকে অবস্থা। সৈকতের প্রায় আধা কিলোমিটার এলাকায় প্রায় ৩০ হাজার পর্যটকের উপস্থিতি। লাইফগার্ডকর্মীরা ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নামতে নিষেধ করছেন পর্যটকদের। বালুচরে লাল নিশানা তুলে দিয়ে এ বিষয়ে সতর্কও করা হচ্ছে। এরপরও সমুদ্রে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন পর্যটকরা।

কক্সবাজারের হোটেলগুলো পর্যটক টানতে হোটেল, গেস্ট হাউসগুলো সর্বোচ্চ ৬০ শতাংশ পর্যন্ত রুম ভাড়ায় বিশেষ ছাড় দিচ্ছে।

কক্সবাজার হোটেল মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সেলিম নেওয়াজ বলেন, ‘দেশের মধ্য ও পূর্বাঞ্চলে বন্যা, অর্থনৈতিক মন্দা আর করোনাভাইরাস সংক্রমণ আবারও বেড়ে যাওয়াসহ নানা কারণে কক্সবাজারে পর্যটকের ভাটা পড়েছে।’

Yakub Group

তবে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করছে জেলা প্রশাসন। সৈকতের ওপর সার্বক্ষণিক নজরদারি রাখা হচ্ছে। একইসঙ্গে ছুটি কাটাতে আসা পর্যটকদের স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ক্ষেত্রে সতর্ক করা হচ্ছে। সৈকতে নামার বিভিন্ন পয়েন্টে পুলিশ মাস্ক আছে কিনা চেক করছে।

কক্সবাজার জেলা সিভিল সার্জন মাহবুবুর রহমান বলেন, ‘সৈকতে জনসমাগম নিয়ন্ত্রণ, মাস্ক ব্যবহার ও হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার নিশ্চিত করতে ব্যবস্থা নিচ্ছে করোনা প্রতিরোধ কমিটি।’

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

আপনার মন্তব্য লিখুন

আপনার ইমেইল ঠিকানা প্রকাশিত হবে না।

ksrm