জাতীয় পরিচয়পত্রের (এনআইডি) তথ্য বিক্রির অভিযোগে দায়ের হওয়া মামলায় সাবেক এক সিনিয়র সচিবকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। পরে তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে ক্রাইম ইনভেস্টিগেশন ডিপার্টমেন্টের (সিআইডি) কর্মকর্তারা।
গ্রেপ্তার সাবেক সিনিয়র সচিবের নাম এনএম জিয়াউল আলম। তিনি তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের কর্মরত ছিলেন।
বুধবার (৫ মার্চ) চট্টগ্রাম নগরীর পাঁচলাইশ আবাসিকের একটি বাসা থেকে জিয়াউলকে গ্রেপ্তার করা হয়।
এর আগে গত বছরের ৯ অক্টোবর সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহ্মেদ পলকসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করে সাইবার নিরাপত্তা আইনে রাজধানীর কাফরুল থানায় এনামুল হক নামে এক ব্যক্তি মামলা করেন। তাদের বিরুদ্ধে এনআইডির তথ্য ফাঁস ও বিক্রির অভিযোগ আনা হয়। ১৯ জন আসামির মধ্যে রয়েছে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব এনএম জিয়াউল আলমের নামও।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, এনআইডির তথ্য ব্যবহার করে ডিজিকন গ্লোবাল সার্ভিসেস লিমিটেড নামে একটি প্রতিষ্ঠানকে ব্যবসার অনুমতি দেন আসামিরা। জাতীয় নিরাপত্তা ও ব্যক্তিগত তথ্যের নিরাপত্তা নিশ্চিত না করে এনআইডির তথ্য দেশ-বিদেশের প্রায় ১৮২টি প্রতিষ্ঠানের কাছে বিক্রি করে ডিজিকন। তথ্য বিক্রি করে প্রায় ২০ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ করা হয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে পাঁচলাইশ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ সোলায়মান জানান, পাঁচলাইশ থানা পুলিশের সহযোগিতায় সিআইডি টিম পাঁচলাইশ আবাসিক এলাকায় এনএম জিয়াউল আলমকে গ্রেপ্তার করেছে। তিনি ডা. হাবিব নামে এক আত্মীয়ের বাসায় ছিলেন। বুধবার সন্ধ্যায় পাঁচলাইশ থানা থেকে সিআইডির টিম তাকে ঢাকায় নিয়ে গেছে।
ডিজে