চট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী সেজে বাসায় ঢুকে দুজনকে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়
ধরা পড়েছে চারজন, পলাতক আরও চার
রাতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি সেজে বাসায় ঢুকে চট্টগ্রামের একটি রপ্তানিমুখী প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা ও তার গাড়িচালককে অপহরণ করে মুক্তিপণ আদায়ের অভিযোগ চারজনকে আটক করেছে পুলিশ।
এ ঘটনায় অপহরণের শিকার হন চট্টগ্রাম নগরীর ইপিজেডভিত্তিক প্যাসিফিক জিনসের সহকারী মহাব্যবস্থাপক আবেদীন আল মামুন এবং তার গাড়িচালক মো. জুয়েল। অন্যদিকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পরিচয়ে অপহরণ ও মুক্তিপণ আদায়ের ঘটনায় গ্রেপ্তার দুর্বৃত্তরা হলেন— নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন, আরাফাত হোসেন ও রিসতি বিন ইউসুফ। তাদের সকলেই বয়স ২২ থেকে ২৩ বছর বয়সী। এরা পুলিশের কাছেই নিজেদের বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি বলে দাবি করেছেন। অপহরণকারী দলের সদস্যদের মধ্যে অপি, আলাউদ্দিন, আরাফাত ও আসিফ এখনও পলাতক রয়েছেন।
ঘটনার বিস্তারিত উল্লেখ করে পুলিশ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাত ৮টার দিকে চট্টগ্রাম নগরীর আকবর শাহ থানার কর্ণেল হাটের প্রভাতী স্কুলের বিপরীতে অবস্থিত বাসা থেকে আবেদীন আল মামুন ও তার ব্যক্তিগত গাড়িচালক মো. জুয়েলকে অপহরণ করে নিয়ে যাওয়া হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রতিনিধি পরিচয় দিয়ে অপহরণকারীরা আবেদীন আল মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তারের কাছে ২০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। মুক্তিপণের টাকা না আসা পর্যন্ত অপহরণকারীরা ওই কর্মকর্তা ও তার গাড়িচালককে একটি মাইক্রোবাসে ঢুকিয়ে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত, পাহাড়তলী কর্নেল হাট ও আকবর শাহ এলাকায় ঘোরাতে থাকে। এর একপর্যায়ে আবেদীন আল মামুনের স্ত্রী ফাতেমা আক্তার ৫ লাখ টাকা মুক্তিপণ নগদে আদায় করেন। এছাড়া বাকি ১৫ লাখ টাকার একটি চেকও লিখিয়ে নেয় অপহরণকারীরা।
ইতিমধ্যে অপহরণের খবর ছড়িয়ে পড়লে চট্টগ্রাম নগর পুলিশ পুরো শহরে তল্লাশি অভিযান শুরু করে। একপর্যায়ে ফয়’স লেক চক্ষু হাসপাতালের সামনে আবেদীন আল মামুন ও তার গাড়িচালককে রেখে চলে যায় অপহরণকারীরা।
ওই রাতেই নগরীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে পুলিশ অপহরণকারীদের মধ্যে নাজমুল আবেদীন, নইমুল আমিন, আরাফাত হোসেন ও রিসতি বিন ইউসুফকে আটক করে। এর মধ্যে নইমুল আমিনের কাট্টলীর বাসা থেকে মুক্তিপণের পাঁচ লাখ টাকা উদ্ধার করেছে পুলিশ।
সিপি