কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ১৬ জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে

রাঙামাটির কাপ্তাই লেকের পানির উচ্চতা বিপদ সীমার ওপর অতিক্রম করায় অবশেষে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রের ১৬ টি জলকপাট ৬ ইঞ্চি করে খুলে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ড ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে গিয়ে পড়ছে।

সোমবার (৪ আগস্ট) রাতে এসব জলকপাট খুলে দেওয়া হয়।

টানা বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলে কাপ্তাই হ্রদের পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় এসব গেট খুলে দেওয়া হয়। টানা ও ভারী বৃষ্ট্রির কারণে সাজেক পর্যাটক আটকা পড়েছে এবং ৬টি উপজেলা নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে রাঙ্গুনিয়া, বোয়ালখালী, হাটাহাজারীসহ কর্ণফুলী নদীর দুই পাশে বন্যা দেখা দিয়েছে বলে জানা গেছে।

নদীর নাব্যতা পলিমাটিতে ভরাট হয়ে গেছে, কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণ ক্ষমতা কমে যাওয়ায় প্রতি বছর ৬টি উপজেলা বন্যা দেখা দিয়েছে।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎকেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী মাহমুদ হাসান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ১৬টি গেটে ৬ ইঞ্চি করে পানি ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এতে প্রতি সেকেন্ডে ৯ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে ছেড়ে দেওয়া হচ্ছে।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র সূত্রে জানা গেছে, হ্রদে পানির চাপ বাড়ায় মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ৯টায় কাপ্তাই বাঁধের সব কটি গেট খুলে দেওয়ার কথা ছিল। তবে দ্রুত পানি বেড়ে যাওয়ায় রাতেই গেট খুলে দেওয়া হয়।

এদিকে কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ উৎপাদনকেন্দ্রের ৫টি ইউনিট থেকে বিদ্যুৎ উৎপাদন সচল থাকায় আরও ৩২ হাজার কিউসেক পানি কাপ্তাই হ্রদ থেকে কর্ণফুলী নদীতে নিষ্কাশিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির কর্মকর্তারা।

পানি ছাড়ার আগে কাপ্তাই হ্রদে পানি ছিল ১০৮ দশমিক ৫ ফুট। ১০৮ ফুট উচ্চতা কাপ্তাই হ্রদের পানির বিপৎসীমা হিসেবে নির্ধারণ করা হয়। কাপ্তাই হ্রদে পানির ধারণক্ষমতা ১০৯ ফুট পর্যন্ত কাছাকাছি থাকলেও বিপৎসীমার ওপরে ছিল বলে জানা গেছে।

ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm