কক্সবাজারের পেকুয়া উপজেলার টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মনোনীত চেয়ারম্যান পদপ্রার্থী ও ত্রাণের চাল আত্মসাতে অভিযুক্ত জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে আচরণবিধি লঙ্ঘনে অভিযোগ ওঠেছে।
বুধবার (১৭ মার্চ) দুপুর ১২টার দিকে দলীয় প্রতিক নৌকার মনোনয়ন পাওয়ায় মোটর শোভাযাত্রার মাধ্যমে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন। এতেই তিনি নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করছেন অন্যান্য প্রার্থীরা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বুধবার দুপুরে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী তাঁর সমর্থকদের নিয়ে খোলা জিপে করে বিশাল মোটর বহর সহকারে নির্বাচনী এলাকায় প্রবেশ করেন। এ সময় তার সমর্থকরা মাইক ব্যবহার করে মিছিল করেন, বাদ্যযন্ত্র বাজান। দুই শতাধিক গাড়ির এ মোটর শোভাযাত্রা চকরিয়া উপজেলার হারবাং ইনানী রিসোর্ট থেকে শুরু হয়ে পেকুয়া উপজেলা সদরের চৌমুহনী বাজার প্রদক্ষিণ করে টৈটং ইউনিয়নে গিয়ে শেষ হয়। গাড়িবহরটি টৈটং ইউনিয়নের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এছাড়া ইউনিয়নের ধনিয়াকাটা, হাজী বাজার, টৈটং বাজার ও জুম পাড়া স্টেশনে নির্ধারিত পথসভায় বক্তব্য দেন চেয়ারম্যান প্রার্থী জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী। যা নির্বাচনী আচরণবিধির সুস্পষ্ট লঙ্ঘন।
এ বিষয়ে জানতে জাহেদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে তার মুঠোফোনে সংযোগ পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে টৈটং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মুহাম্মদ ইরফান উদ্দিন বলেন, জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী মোটর শোভাযাত্রা করার কথা শুনেছি। এই বিষয়ে কোন প্রার্থীর লিখিত অভিযোগ পেলে তার কাছ থেকে ব্যাখ্যা চাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, সরকারি ত্রাণের ১৫ মেট্রিক টন চাল আত্মসাতের অভিযোগে গত বছরের ২৮ এপ্রিল জাহেদুল ইসলাম চৌধুরীর বিরুদ্ধে পেকুয়া থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা দায়ের করেন উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম। মামলা রুজু হওয়ার পরদিন ২৯ এপ্রিল স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ইউপি চেয়ারম্যান জাহেদুল ইসলামকে সাময়িক বহিষ্কার করেন। একই সঙ্গে ৩০ এপ্রিল তাকে কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ টৈটং ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ থেকেও বহিষ্কার করা হয়।
স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের তদন্তে জাহেদুল ইসলাম চৌধুরী চাল আত্মসাতের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হওয়ায় গত বছরের ২৯ জুলাই স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় তাকে ওই পদ থেকে স্থায়ী বরখাস্ত করে চেয়ারম্যান পদ শূন্য ঘোষণা করে।
এসএ