কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার ফাসিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্রসহ ডাকাত দলের চারজন গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। তাদের কাছ থেকে চারটি এলজি, দুটি রাম দা, সাতটি মোবাইল, এবং তিনটি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়।
রোববার (৩০ জুলাই) গভীর রাতে চকরিয়া উপজেলার বিভিন্ন স্থানে র্যা ব অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেপ্তার করে। সোমবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলনে এই তথ্য জানান র্যাব- ১৫ এর সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ও সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. জামিলুল হক।
গ্রেপ্তার ডাকাত দলের সদস্যরা হলেন দলনেতা মো. তৈয়ব, হাবিবুর রহমান, মিজানুর রহমান ও মোশারফ হোসেন।
র্যাব কর্মকর্তা জামিলুল হক জানান, গত ২৯ জুলাই রাতে চকরিয়া উপজেলার ফাঁসিয়াখালী-লামা-আলীকদম সড়কে বেতার শিল্পী জাফর আলমকে তার মোটরসাইকেল গতিরোধ করে ডাকাতি করে একদল ডাকাত। ওইদিন রাতে ডাকাত দল আরও কয়েকটি মোটরসাইকেল আরোহীকে সড়কে গতিরোধ করে ডাকাতি করে এবং তাদের মোটরসাইকেল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বেতার শিল্পী জাফর চকরিয়া থানায় অভিযোগ করেন। বিষয়টি বিভিন্ন গণমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রচার হলে র্যাব ওই এলাকায় তদন্ত শুরু করে।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাবের এই কর্মকর্তা জানান, রোববার রাতে র্যাব-১৫ কক্সবাজার ব্যাটালিয়নের একটি আভিযানিক দল ফাসিয়াখালী এলাকায় অভিযান চালিয়ে ডাকাত দলের মূলহোতা মো. তৈয়বকে গ্রেপ্তার করে। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে চকরিয়ার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে বাকি তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই সময় উদ্ধার করা হয়েছে চারটি এলজি, দুটি রাম দা, সাতটি মোবাইল, এবং তিনটি মোটরসাইকেল।
জামিলুল আরও জানান, সংঘবদ্ধ একটি ডাকাত দল রয়েছে যারা ফাসিয়াখালী-লামা ও আলীকদম সড়ক এবং চকরিয়া বিশাল চিংড়িঘের এলাকায় ডাকাতি করে। তাদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত থাকবে। এই ব্যাপারে চকরিয়া থানায় মামলার প্রক্রিয়া চলছে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জাবেদ মাহমুদ বলেন, ‘র্যাবের পক্ষ থেকে এখনও কোনো আসামিকে থানায় হস্তান্তর করেনি।’
ডিজে