চট্টগ্রামে এনআইডি বাণিজ্যে কোটি টাকার কারবার, দালাল-কর্মকর্তার গোপন জোট

টাকা ঢুকছে চার অ্যাকাউন্টে

চট্টগ্রামে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) সংশোধনে টাকা না দিলে মেলে না সেবা। এভাবে দালাল ও অসাধু কর্মকর্তারা মিলে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সেবাপ্রত্যাশীদের কাছ থেকে। এসব টাকা লেনদেন হয়েছে চারটি ব্যাংক অ্যাকাউন্টের মাধ্যমে। এমন বেশ কয়েকটি অভিযোগ দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) জমা পড়েছে। এরই প্রেক্ষিতে চট্টগ্রাম আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে অভিযান চালিয়েছে দুদক। এসব বিষয়ে সত্যতা যাচাইয়ে তথ্য সংগ্রহ করেছে দুদক।

বুধবার (১৮ জুন) দুপুরে এ অভিযান পরিচালনা করেন দুদক চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইনের নেতৃত্বে ৪ সদস্যের টিম।

এসময় আঞ্চলিক নির্বাচন কমিশন ও জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে তারা কথা বলেন এবং অনিয়মের বিষয়গুলো খতিয়ে দেখেন।

অভিযানের বিষয়ে দুদক চট্টগ্রাম মেট্রো কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক এমরান হোসাইন সাংবাদিকদের জানান, দীর্ঘদিন ধরে চারটি এনআইডি সংশোধন না হওয়ার বিষয়ে অভিযোগ ছিল আমাদের কাছে। আঞ্চলিক নির্বাচনসহ অনান্য বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা এসব সংশোধনে মোটা টাকার অংক লেনদেন করেছে। এনআইডিগুলোর সংশোধন সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি সংশোধনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা আর্থিক লেনদেনের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে। সে বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি।

তিনি আরও জানান, আমাদের কাছে চারটি ব্যাংক একাউন্ট নম্বর রয়েছে। যেগুলোর মাধ্যমে আর্থিক লেনদেন হয়েছে বলে অভিযোগ রয়েছে। আমরা এ বিষয়ে কর্তৃপক্ষের কাছে তথ্য চেয়েছি। এই ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলোর নম্বর যাচাই করছি আমরা। এছাড়া অফিসের দুই কর্মকর্তার সঙ্গে দালালদের সখ্যতা রয়েছে বলেও অভিযোগ পেয়েছি।

দুদকের অভিযানের বিষয়ে আঞ্চলিক নির্বাচন কর্মকর্তা বেলায়েত হোসেন জানান, যে চারটি এনআইডি সংশোধনের বিষয়ে তথ্য নিতে এসেছে, তা আগেই নিষ্পত্তি হয়ে গেছে। পাশাপাশি কার্যালয়ের বিভিন্ন বিষয়ে তথ্য চেয়েছেন দুদক কর্মকর্তারা, আমরা তা দিয়ে দিয়েছি।

তিনি বলেন, কারো বিরুদ্ধে কোনো অনিয়ম থাকলে তাদের বিরুদ্ধে অবশ্যই ব্যবস্থা নেবে দুদক। আমরা এমন অভিযানকে সাধুবাদ জানাই।

আইএমই/ডিজে

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!

ksrm